কুড়িয়ানা গ্রামের ভাসমান পেয়েরা বাজার ও বাগান

বরিশাল বিভাগ এর পিরোজপুর জেলায়

খরচ যা হয়েছে ঃ- ঢাকা – বরিশাল বাস ৫০০ টাকা

বরিশাল ১ রাত অবস্থান করে পরের দিন ভোর সকালে নুথুল্লাবাদ থেকে বাসে করে সরূপকাঠি ৫০ টাকা ভাড়া

বাস স্ট্যান্ড থেকে ২০ টাকা রিক্সা ভাড়া সরূপকাঠি বাজার এ

বাজার থেকে ২০ টাকা অটো ভাড়া কুড়িয়ানা গ্রামে।

বাজারে নেমে ইঞ্জিন ছাড়া নৌকা ঘন্টায় ২০০ টাকা দরে ভাড়া করে নিলাম আমরা ৩ জন ছিলাম

ঘুরা শেষে কূড়িয়ানা বাজারের ঘরোয়া হোটেলে খেয়ে নিলাম

খাওয়া শেষে অটো করে আটঘর বাজারে চলে এলাম। ভাড়া ২০ টাকা

আটঘর থেকে লেগুনা দিয়ে চলে আসি বরিশাল এর চৌমাথা, নুথুল্লাবাদ। ভাড়া ৪৫ টাকা।

তারপর আমি চলে গেলাম কুয়াকাটা। কিন্তু কেউ চাইলে ৪০০-৫০০ টাকায় লঞ্চের সোফায় করে বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে পারবে।

থাকা আর খাওয়া খরচ ছাড়া এই হলো আমার ভাড়া বাবদ খরচ।

আমি আমার ফ্রেন্ড এর বাসায় ছিলাম তাই থাকার টাকা বেচে গেছে। আর কেউ হোটেলে থাকতে চাইলেও চেস্টা করবেন বরিশাল সদর এ থাকার।

তবে থাকা আর খাওয়া খরচ ছাড়া ৩ জনের ৪৫০০ টাকা মতো খরচ হয়েছে মানে জনপ্রতি ১৫০০ টাকা প্রায়

কিছু টিপস ঃ বাজার এর সময় সকাল ৭-১১ টা। এর পর আর ভাসমান বাজার থাকে না।তাই যত সকালে সম্ভব যেতে হবে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পেয়ারার সিজন আর তার পরের কয়েক মাস আমড়ার সিজন। সব চেয়ে ভালো বরষার সিজন এ।

কূড়িয়ানা বাজার এ দুপুরের খাবার খেতে পারেন। খুব চিপ। আমরা ঘরোয়া হোটেলে কই মাছ, ভাত,ডিম আর করলা ভাজি দিয়ে খেয়েছি। ৩ জনের বিল হয়েছে ২৮০ টাকা। খাবার ও ভালো।

ওখান কার পেয়ারা বাগান এর পার্ক আছে প্রবেশ মুল্য ৩০ করে জনপ্রতি। তবে মাঝি মামা কে দিয়ে টাকা দেওয়াবেন উনি কমিয়ে দিয়ে পারবে কথা বলে

আর হ্যা পেয়ারা বাগান এ ঢুকে যত খুশি পেয়ারা নিজের হাতে পেরে খেতে পারেন। কিন্তু আনতে পারবেনা।

সবশেষে গুরুত্বপূর্ণ কথা অবশ্যই ইঞ্জিন ছাড়া নৌকা নিবেন। নইলে জাওয়ার আসল স্বাদ টাই পাবেন না। কারণ ট্রলার বাগান এর এত অল্প পানিতে ভিতরে যেতে পারে না। আপনি নৌকায় করে ঘুরতে চাইলে আমি যে নৌকায় সেটা বেস্ট ছিল। যেমন মাঝি মামার মন আর ব্যবহার টা ভালো তেমন শৈল্পিক ডিজাইন তার নৌকাতে। কেউ যেতে চাইলে কল দিয়ে উনাকে ভাড়া করতে পারেন। নাম ঃকামরুজ্জামান
মোবাইল ঃ০১৭৫৮৭৫৪৯৭২

সব শেষে নুথুল্লাবাদ থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় লঞ্চ ঘাট এ এসে খাবার খেয়ে লঞ্চে উঠে পড়ুন। মনে রাখবেন ৯ টার মধ্যে ঢাকার সব লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে আসে।

Source: মোঃ সাইফুল ইসলাম‎ <Travelers Of Bangladesh (TOB)

Share:

Leave a Comment