দালাল বাজার কামানখোলা জমিদার বাড়ি

দালাল বাজারে ৩০০ বছরের পুরান জমিদার বাড়ী এবং কামানখোলা জমিদার বাড়ি।

লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণব প্রায় ৪ শত বছর পূর্বে কলকাতা থেকে কাপড়ের ব্যবসা করতে দালাল বাজার আসেন। তার উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং পরে জমিদারী লাভ করেন। বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় স্থানীয়রা তাদেরকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেনি। তাদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। জমিদারগণ পালিয়ে গেলে তাদের পরিত্যাক্ত জমিদার বাড়ীটি রয়ে যায়।এটি আজ সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে। প্রায় ৫ একরের এ জমিদার বাড়ীর সম্মুখের রাজগেট, রাজ প্রাসাদ, জমিদার প্রাসাদ, অন্দর মহল প্রাসাদ, বাড়ীর প্রাচীর, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পুজা মন্ডপ, বিরাটাকারের লোহার সিন্দুক, কয়েক টন ওজনের লোহার ভীম প্রভৃতি দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। বিচার আসন ও নৃত্য আসন কে বা কারা সম্প্রতি নিয়ে গেছে।

যেভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে সড়কপথে ইকোনো অথবা ঢাকা এক্সপ্রেসে লক্ষ্মীপুর যায়।সময় লাগে সাড়ে ৫ ঘন্টা। বাস ছাড়ে সায়েদাবাদ থেকে। বাস গুলো দালাল বাজার এর উপর দিয়ে যায়।দালাল বাজার নেমে পড়বেন বাস থেকে।এছাড়াও চাঁদপুর হয়ে যেতে পারেন। চাঁদপুর ঘাট থেকে সিএনজি দিয়ে দালাল বাজার চলে যাবেন।সেক্ষেত্রে সময় কম লাগবে। বাজারের সাথে দালাল বাজার জমিদার বাড়ি।এইটা ঘুরা শেষ হলে রিকশা নিয়ে চলে যাবেন কামানখোলা জমিদার বাড়ি। ভাড়া নেবে ২০ টাকা। জমিদার বাড়ি ঘুরা শেষ হলে লক্ষীপুর চলে যান। লক্ষীপুরে ঘুরার জন্য মেঘনার চর, আলেকজান্ডার চর, মজুচৌধুরীর হাট আছে। সকাল সকাল গেলে একদিনে শেষ করতে পারবেন।

Source: Arman Hossain‎Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment