প্রকৃতির সৌন্দর্যে টানে মায়াবন ভ্রমণ

প্রকৃতি কন্যা সিলেট পরিচিত তার অপরুপ রুপের জাফলং, বিছানাকান্দি, পান্থুমাই, রাতারগুল দ্বারা। রাতারগুল দেশের প্রথম সোয়াম্প ফরেস্ট হলেও তারচেয়ে তিনগুণ বড় মিঠাপানির আরেক বন হলো মায়াবন। সিলেট হতে তামাবিল সড়ক পেরিয়ে ৩৭ কি.মি গেলে সারি ঘাট বাজার। এই বাজারে বামপাশের রাস্তা ধরে ছায়া সুনিবিড় গ্রামীণ জীবনযাত্রা দেখতে দেখতে পাওয়া যাবে বেখড়া খাল! সেখান থেকে পানসি দিয়ে যেতে হবে মায়া বনে! প্রায় ১১শ একরের বিশাল এ বনে মায়াবী সৌন্দর্যের যেনো শেষ নেই! নিরব বনের স্বচ্ছ জলাভূমির মধ্যে কোমড় ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। এরই মাঝে জানা অজানা পাখির গুঞ্জন কানে মধুবর্ষণ করে। পানির আবছায়ায় মাছেদের সরে যাওয়া অন্যরকম তৃপ্তি দেবে যেন কারোর চোখের মণিকোঠায়। বর্ষা মৌসুমে পূর্ন যৌবণপ্রাপ্ত হয় মায়াবন। তবে সারাবছর প্রায় জলের মধ্যে ডুবে থাকে এ বন! রাতারগুলের চেয়ে প্রায় তিনগুন বড় ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ মায়াবন হতে পারে দেশের অন্যতম আরেক পর্যটন কেন্দ্র। সম্প্রতি গতকাল এই মায়াবন দেখতে সিলেট থেকে চারজন বন্ধু সিলেট থেকে রওনা দেয়। মায়াবনটা এতো পরিচিত নাম না হওয়ার কারণে এখানে খুব কম মানুষ দেখতে আসে। যার দরুন আমাদের নৌকা পেতে বেগ হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একজন স্থানীয় মানুষের সহায়তায় মাছ ধরার নৌকা নিয়ে বেখড়া খালের অবগাহণে মিনিট ৬ পর পৌঁছে যাই এই মায়া বনে। পাখির গুঞ্জন আর নিস্তব্ধ পরিবেশের কারণে জায়গাটা আমার কাছে সেরাদের সেরা লেগেছে।

যেভাবে যাইঃ প্রথমে সিলেটের বন্দর বাজার থেকে লেগুনায় সারিঘাট। ভাড়া জনপ্রতি ৩০টাকা। সারিঘাট বাজার থেকে পশ্চিম দিকে গোয়াইনঘাট যাবার রাস্তা হতে সিএনজিতে বেখড়া খালের ব্রীজ পর্যন্ত জনপ্রতি ২০ টাকা। নৌকা ভাড়া চারজনের জন্য ২০০ টাকা।

** যেখানেই যাই না কেনো আমাদের প্রকৃতির প্রধান শত্রু আমরাই। প্রকৃতির ক্ষতি হয়ে এমন কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। সচেতনতা শুরু হোক নিজ থেকে।

Source: Kowsar Ahmed Kaif‎<Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment