সাজেক সফরনামা!

ইতিহাস ঐতিহ্য বা অন্যসব পারিপার্শ্বিক আলোচনায় যেয়ে লিখা বড় করতে চাইনি,শুধু প্ল্যানটাই দিয়েছি,যাতে এটা ফলো করেই ট্যুর শেষ করা যায়।

দিন ০১: ঢাকা থেকে রাতের বাস খাগড়াছড়ি পৌছবে সকাল ৮টার মধ্যে।শহরের শাপলা চত্বরে নেমে নাস্তা সেরেই রওনা দেবেন সাজেকের দিকে।জীপ এবং বাইক পাবেন শাপলা চত্বরেই, রিজার্ভ যেতে হয়,লোকাল কোন গাড়ি নেই। শাপলা চত্বরের একটু পেছনেই একটি ব্রিজ আছে, ব্রিজের পাশেই সিএনজি স্টেশন, ওখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ করতে পারবেন। চাইলে লোকাল সিএনজি-তে দিঘীনালা এসে দিঘীনালা থেকেও বাইক/ সিএনজি/জীপ- সাজেক যেতে পারবেন। শান্তি পরিবহণে সরাসরি দিঘীনালা এসে দিঘীনালা থেকেও যেতে পারেন। খাগড়াছড়ি -সাজেক ৩ ঘন্টা সময় লাগে।পথে মাচালং বাজারে নেমে নাস্তা করে নিতে পারেন। সাজেকে নেমেই হোটেলে চেক ইন দিয়ে খাবারের অর্ডার করে নেবেন,অর্ডার না করলে সাজেকে এমনিতে খাবার পাওয়া যায়না।রুইলুই পাড়ায় বেশকিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন যারা খাবার করে দেয়। ফ্রেশ হয়েই ঘুরে আসতে পারবেন হেলিপ্যাড ১,২ এলাকা থেকে।বিকেলটা রুইলুই পাড়াতেই কাটাবেন।

দিন০২:খুব ভোরে উঠেই কংলাক পাড়ায় চলে যাবেন,হেটে যেতে ৩০-৪০ মিনিট লাগবে।কাঁচা রাস্তা এবং কিছুটা পাহাড় আছে তাই ভালো গ্রিপ আছে এমন জুতো পড়ে যাবেন। রুইলুই পাড়ার ২নং হেলিপ্যাডের পাশ দিয়ে সোজা উত্তরে একটি রাস্তা চলে গেছে,সেই রাস্তা ধরে এগুলেই কংলাক পাড়ায় পৌঁছে যেতে পারবেন। কংলাক আগে মূলত লুসাই এবং পাংখোয়া অধ্যূষিত পাড়া ছিলো।এখন পাংখোয়া নেই বললেই চলে,কিছু লুসাই পরিবার আছে।আর আছে ত্রিপুরা। কংলাক সাজেকের সর্বোচ্ছ চূড়া। কংলাকে কারো বাসায় ঢুকতে চাইলে বিনা সংকোচেই ঢুকতে পারেন,তবে ঢুকার আগে অনুমিত নেয়া ভালো।আর অবশ্যই জুতোজোড়া বাহিরে রেখে! ওদের রুম গুলো অনেক পরিপাটি এবং গোছানো থাকে। যেকোন কারো সাথেই ছবি তুলতে পারবেন,আগে অনুমতি নিয়ে নেবেন। চাইলে কংলাক থেকে আরো সামনের দিকে যেয়ে ঘুরে আসতে পারেন।কিছুদূর গেলে কমলা বাগান দেখতে পারবেন। ঘুরে এসে দুপুরের আগেই গাড়িতে উঠবেন,আসার পথে বাঘাইহাট এলাকায় হাজাছড়া ঝর্ণা দেখে আসবেন।রাস্তা থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই ঝর্ণায় যাওয়া যায়,যাওয়ার পথে তেমন কোন পাহাড় নেই তাই যে কেউই যেতে পারে। দিঘীনালার লারমা স্কয়ারে নেমে উপজাতি রেস্টুরেন্ট -এ লাঞ্চ সেরে নিতে পারেন। গাড়ি খাগড়াছড়ি পৌছবে সন্ধ্যার আগেই।খাগড়াছড়িতে রাত্রিযাপন।

দিন ০৩:সকালে শহরের শাপলা চত্বর থেকে জীপ রিজার্ভ নিয়ে চলে যাবেন রিসাং ঝর্ণায়,সাথে করে দুএকটা পুরনো জিন্স প্যান্ট যেগুলো ফেলে দেয়ার সময় হয়েছে এমন প্যান্ট নিয়ে যাবেন,কাজে লাগবে! ঝর্ণা থেকে আসার সময় আলুটিলা প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ দেখে আসবেন।সুড়ঙ্গে ঢোকার জন্য মশাল কিনতে পারবেন ওখান থেকেই,তবে মোবালের ফ্ল্যাশলাইটই সবচেয়ে ভালো,মশালের আলোতে কিছুই দেখা যায়না,ওইটা শুধু সুড়ঙ্গের ভেতরে ছবি তোলার কাজে লাগে! grin emoticon ফিরে এসে শহরের পানখাইয়া পাড়ায় “সিস্টেম ” রেস্টুরেন্ট-এ লাঞ্চ। বিকেলে শহরের পাশের জেলাপরিষদ পার্কে পাহাড়, ঝুলন্ত ব্রিজ এবং লেকে বিকেলটা কাটিয়ে রাতের বাসে ঢাকা,রাতের সব বাস একসাথেই রাত ৯ টায় ছাড়ে।সব গুলো বাসের কাউন্টারই শহরের নারকেল বাগান এলাকায় পাবেন। *যাদের ট্রেকিং-এর অভিজ্ঞতা আছে তারা একদিন সময় বেশি নিয়ে দিঘীনালার তৈদুছড়া ঝর্ণা এলাকা ঘুরে আসতে পারেন,একই এলাকায় বেশ কয়েকটি ঝর্ণা পাবেন,যাওয়ার ঝিরিপথটাও অনেক সুন্দর! সকালে রওনা দিলে ফিরতে বিকেল হবে,পুরো পথটাই হেটে যেতে হয়।গাইড নিতে হবে সাথে না হয় চিনবেন না। *আরো একদিন বাড়তি সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন সিজুক ১,২ ঝর্না থেকে।সাজেক রোডের নন্দারাম এলাকা হয়ে যেতে হবে ঝর্নায়।৬-৭ ঘন্টার ট্রেকিং আসাযাওয়ায়। গাইড নিতে হবে সাথে।ওখানে স্থানীয় লোক পাবেন ৩০০-৪০০ দিলে ঘুরিয়ে আনবে।

যাবেন যেভাবে : ঢাকা থেকে এস আলম,সৌদিয়া,শ্যামলী, ঈগল,ইকোনো,সেন্টমার্টিন (এসি)এবং শান্তি পরিবহনের বাস আসে খাগড়াছড়ি।দিঘীনালায় শুধু শান্তি পরিবহণ আসে। ঢাকা-খাগড়াছড়ি ভাড়া ৫২০ টাকা,এসি ৮০০ টাকা।ঢাকা-দিঘীনালা ৫৭০ টাকা। চট্রগ্রাম থেকে ১ঘন্টা পরপর শান্তি পরিবহণ ছাড়ে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে,সকাল ৬/৭ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাবেন,তবে বিকেল ৫টার পরে লাস্ট বাস ৮টায়,এর মাঝে আর বাস নেই। চট্রগ্রাম -খাগড়াছড়ি ভাড়া ১৯০ টাকা, চট্রগ্রাম-দিঘীনালা ২৪০ টাকা। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক জীপ রিজার্ভ পাবেন ৯০০০+,একদিন দিয়ে আসবে,আবার যেদিন ফিরবেন সেদিন যেয়ে নিয়ে আসবে এবং আশপাশের স্পট ঘুরে দেখানোর জন্য এই ভাড়া।সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসলে ৫০০০+। দিঘীনালা-সাজেক ৭০০০+,দিনে দিনে ফিরে আসলে ৪০০০+।বাইক পাবেন দিঘীনালা-সাজেক একবার দিয়ে আসার জন্য ৬০০+ নিবে,দুইজন যাওয়া যায় এক বাইকে।বলে রাখলে যেদিন ফিরবেন সেদিন গিয়ে নিয়ে আসবে। সাধারণত সাজেকে কোন পরিবহণ পাওয়া যায়না,তাই যে গাড়িতে যাবেন তাদের সাথে কথা বলে রাখবেন ফিরে আসার ব্যাপারে। শাপলা চত্বর থেকে আলুটিলা প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ এবং রিসাং ঝর্ণা যাওয়াআসা জীপ রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০০-২০০০ টাকা। যে গাড়িতেই যান দরদাম করে ভাড়া ঠিক করবেন,এই রোডে নির্দিষ্ট করে কোন ভাড়া ঠিক করা নেই।

কোথায় থাকবেন: ইমানুয়েল রিসোর্ট : ডাবল বেডরুম১০০০ টাকা,৪/l জন থাকারমত রুম ২০০০ টাকা,বুকিং নাম্বার +8801869490868 (মইয়া লুসাই)।

মেঘ মাচাং:পাহড়ের চূড়ায় আদিবাসী মাচাং-এর আদলে নির্মিত একটি রিসোর্ট, এখানে থাকার সুবিধা হচ্ছে ভোরে জানালা খুললেই নিজেকে মেঘের সাগরের উপর আবিষ্কার করবেন।

তিনটি কটেজ রয়েছে এখানে, প্রতিটিতে ছয় জন থাকা যায়,ভাড়া ৩০০০ টাকা।

বুকিং এর জন্য- 01822168877

ক্লাব হাউজ : এটি মূলত ওখানকার উপজাতিদের জন্য সেনাবাহিনী নির্মাণ করে দিয়েছে।বড় হল রুম,ফ্লোরিং করে থাকতে হয়,বেড ওরাই দিবে।ভাড়া প্রতিজন ১৫০ টাকা খাবারের ব্যাবস্থা স্থানীয় রেস্তোরাঁয় করে নিতে পারবেন,ওদেরকে ১ঘন্টা আগে বলে রাখলেই করে দিবে।

আলো রিসোর্ট : এনজিও সংস্থা আলো পরিচালিত রিসোর্ট “আলো”এখানে প্রতিজন ১৬০০ টাকায় থাকা যায়। আলো রিসোর্টের বুকিং এর জন্য;tel: 0371-62067

সাজেক রিসোর্ট : সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঢুকে প্রথমেই রাস্তার বাম পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কতৃক নির্মিত সাজেক রিসোর্টের অবস্থান। পাঁচটি ফ্যামিলি থাকার মত ব্যাবস্থা রয়েছে এই রিসোর্টে। ভাড়া ৭০০০-১২০০০ টাকা।

রিসোর্ট রূনময়: এটিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট।এটি রুইলুই পাড়ার একেবারে শেষ প্রান্তে,এর আশেপাশে কোন বসতি নেই।ভাড়া ৪৫০০-৪৯৫০ টাকা। এখানেও পাঁচটি ফ্যামিলি থাকার মত ব্যাবস্থা রয়েছে। রিসোর্ট রূনময় এবং সাজেক রিসোর্টের বুকিং । এছাড়া সাজেকে স্থানীয়দের বাসায় থাকা যায় ১৫০-২০০ টাকায়।

শান্তি পরিবহণ দিঘীনালা কাউন্টার-০১৮৫৫৯৬৬১৪,০১৮১৩২৬৮৯১৯।
কলাবাগান কাউন্টার -০১১৯০৯৯৪০০৮,০৪৪৭৭৭০১১৯১
কমলাপুর কাউন্টার -০১১৯১১৯৭২৯৭।

*খাগড়াছড়ি শহরে থাকতে পারেন হোটেল ইকোছড়ি ইন-এ। শহর থেকে একটু বাহিরে পাহাড়ের উপর নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে উঠেছে হোটেলটি। ফোন: ০১৮২৮ ৮৭৪০১৪

*দিঘীনালায় রাত্রিযাপন করতে চাইলে থাকতে পারেন স্টেশনের পাশের দিঘীনালা গেস্ট হাউজ অথবা শাহজাহান হোটেলে *যারা তৈদুছড়া যাবেন তারা ভালো গ্রিপ আছে এমন জুতা আনবেন, সাথে দড়ি রাখবেন,কাজে লাগবে।

*বৃষ্টি হলে রাতে সাজেকে ঠাণ্ডা লাগে,তাই হাকলা কিছু প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন।

*রেইনকোট আনতে ভুলবেন না।

*শুক্র এবং শনিবারেই পর্যটকের সমাগম হয় বেশি,সেক্ষেত্রে খাগড়াছড়িতে জীপ না পেলে দিঘীনালা থেকে জীপ নেবেন। দিঘীনালাতেও না পেলে অপেক্ষা করবেন,অন্য রোডের জীপ গুলো আসলে যেকোনো একটার সাথে কথা বলে নিয়ে যাবেন।

*সাজেকে বারবিকিউ করা যায়,তবে সব উপকরণ দিঘীনালা থেকে নিয়ে যাওয়াই ভালো।

*সাজেকে ঘোরার জন্য গাইডের প্রয়োজন নেই। অনেকেরই ভুল ধারনা আছে সাজেক যেতে হলে আগে থেকে আর্মির অনুমতি নিতে হয়। বাস্তবতা হচ্ছে সাজেক যেতে হলে তেমন কিছু করতে হয়না। তবে নিজের গাড়ি নিয়ে সাজেক যেতে চাইলে যাওয়ার পথে আপনাকে চারটি আর্মি এবং একটি পুলিশ ক্যাম্পে আপনারা কিছু তথ্য দিতে হবে(এই রোডের কোন গাড়ি রিজার্ভ করে গেলে এই কাজ গুলো গাড়ির স্টাফই করবে)।

(১) খাগড়াছড়ি ঢুকতেই জিরো মাইল পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে আর্মির কাছে আপনার গাড়ির নাম্বার এবং কোথা থেকে আসছেন কোথায় যাবেন এমন কিছু তথ্য দিতে হয়।

(২) দিঘীনালা বাস স্টেশন থেকে তিন কিমি এগুলেই দিঘীনালা সেনানিবাস, এখানে গাড়ির নাম্বার দিতে হবে।

(৩) দিঘীনালা সেনানিবাস থেকে ৭কিমি পরেই দশনাম্বার নামক এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পে আপনাকে একই তথ্য দিতে হবে।

(৪) দশনাম্বার থেকে আনুমানিক ৭/৮ কিমি পরেই বাঘেরহাট আর্মি ক্যাম্প,এখানে আপনাদের যেকোন একজন নেমে নিজের নাম এবং ফোন নাম্বার দিতে হবে। (৫) মাচালং বাজারের একটু আগেই রয়েছে আরেকটি আর্মি ক্যাম্প, এখানেও গাড়ির নাম্বার অথবা এই ধরনের কিছু তথ্যা দিতে হয়। এরপর আর কোন ক্যাম্পে দাঁড়াতে হয়না। ১,২,এবং ৪ এ ফেরার সময়ও গাড়ি থামাতে হবে। ৩ এবং ৫ এ ফেরার সময় গাড়ি থামাতে হয়না। সেনাবাহিনী এইকাজ গুলো করে সবার নিরাপত্তার সার্থেই।তাই একটু ঝামেলা মনে হলেও এই স্পট গুলোতে দাঁড়িয়ে আপনার তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে সহযোগীতা করা উছিৎ।

*খাগড়াছড়িতে কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশন নেই।আসার পথে ফেনীতেই পাবেন সর্বশেষ সিএনজি স্টেশন।

*দিঘীনালার পরে সাজেকের দিকে আর পেট্রলপাম্প পাবেন না। বাঘাইহাট বাজারে দুএকটা দোকানে পেট্রল/ ডিজেল পাওয়া যায়,তবে সেটা সবসময় পাওয়ার নিশ্চয়তা নাই।

* ঈদের ছুটিতে সাজেক যাওয়ার প্ল্যান থাকলে অবশ্যই আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যাবেন। । – মেঘের রাজ্য সাজেক সম্পর্কিত কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর! *সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন, তবে যেতে হয় খাগড়াছড়ির দিঘীনালা হয়ে।

*ঢাকা-খাগড়াছড়ি বাস পাবেন,ভাড়া ৫২০ টাকা,এস আলম,সৌদিয়া,ঈগল, শ্যামলী, শান্তি এবং সেন্টমার্টিন(এসি) পরিবহণের বাস চলাচল করে এই রোডে। ঢাকা-দিঘীনালা বাস ভাড়া ৫৭০ টাকা,খাগড়াছড়ি -সাজেক জীপ রিজার্ভ ৯০০০+। দিঘীনালা- সাজেক জীপ রিজার্ভ ৭০০০+ যাওয়াআসা মিলিয়ে(একদিন দিয়ে আসবে আরেকদিন যেয়ে নিয়ে আসবে এবং আশপাশের স্পট গুলো ঘুরিয়ে আনবে)সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসলে ৪০০০+। দুইতিনজন হলে বাইক/ সিএনজি-তে যাওয়া যায়,বাইকে দুজন ৬০০+ শুধু যাওয়ার জন্য,সিএনজি রিজার্ভ ৩০০০+ যাওয়াআসা।

*একটি জীপ১৫ জন যাওয়া যায়। *দিঘীনালা থেকে সাজেক যেতে দুই আড়াই ঘন্টা লাগে।

*এই রোডে কোন লোকাল পরিবহণ নেই। *সাজেকে কোন গাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম,তাই যে গাড়িতে যাবেন তাদের সাথেই আসার ব্যাপারে কথা বলে রাখবেন।

*সাজেকে হোটেল রিসোর্ট -এর পাশাপাশি স্থানীয়দের বাসায় থাকা যায়।

* আর্মি পরিচালিত সাজেক রিসোর্ট এবং রিসোর্ট রূনময়ের সকল তথ্য পাবেন www.rock-sajek.com -এ।

*সাজেকে সর্বনিম্ন ১৫০ টাকায় থাকা যায়।২০০টাকায় মোটামুটি মানের খাবার পাওয়া যায়।

*ক্যাম্পিং করা যায় তবে ডিউটি আর্মি অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে।

*সাজেকে নিরাপত্তার কোন সমস্যা নাই।

*২জন যান অথবা ১০জন যান প্রতিজন ৪০০০ টাকার মধ্যেই ট্যুর শেষ করা সম্ভব।

*সাজেকে বিদ্যুৎ নেই,সবকিছু সোলারে চলে,এমনকি ল্যাম্পপোস্টও!

*সাজেকের রুইলুই পাড়া থেকে কংলাক পাড়া যেতে প্রায় ৩০-৪০মিনিট লাগে।

*প্রাইভেট কার নিয়ে সাজেক যাওয়া যায়।

*রবি এবং টেলিটক ছাড়া আর কোন নেটওয়ার্ক নেই ,রবি অপেক্ষাকৃত ভালো।

*সাজেকে যাওয়ার উপযুক্ত সময় সারাবছরই, যখনি যান সাজেকের একটা রুপ পাবেনই,সাজেক আপনাকে কখনোই নিরাশ করবেনা। (তবে আমার ভালো লাগে বর্ষার বিকেলের সাজেক এবং শরৎ অথবা হেমন্তে সাজেকের পূর্ণিমারাত!)

*সাজেকের উচ্চতা ১৮০০ ফুট (আমি নিজে মেপে দেখিনি,তবে আর্মি যেদিন তাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে মাপছিলো সেদিন সেখানে থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো!)

*যদি আর্মি অফিসারদের কোন অনুষ্ঠান না থেকে থাকে তাহলে রাতে যতক্ষণ ইচ্ছে বাহিরে থাকতে পারবেন। অফিসার গেলে সাধারণত ১১/১২ টার পরে বাহিরে থাকতে দেয়না।

*২-৩ ঘন্টা সময় নিতে ঘুরে আসতে পারেন সিকাম তৈসা ঝর্ণা,স্থানীয় কাউকে নিয়ে নেবেন গাইড হিসেবে,৩০০-৪০০ টাকা দিলেই হবে।

*মিনারেল ওয়াটার,বিস্কিট, সিগারেট এই ধরনের ছোটখাটো জিনিষ সাজেকে পাওয়া যায়,কষ্ট করে বয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

*শুক্রবার /শনিবার এবং যেকোন বন্ধের সময় সাজেক গেলে হোটেল বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভালো,অন্যান্য দিন তেমন বেশি মানুষ থাকেনা।

*সর্বশেষ একটি গোপন প্রশ্নের ওপেন উত্তর দেই! সাজেকে বিয়ার, হুইস্কি অথবা এই টাইপের কিছু এখন পাওয়া যায় না।স্থানীয় আদিবাসীদের তৈরি একটি পানীয় পাওয়া যায়,তবে ওইটা খেলে খুব মাথা ঘোরায় এবং আপনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না,যেখানেই দাঁড়াবেন সামনেপিছনে এবং ডানেবামে দুলতে থাকবেন!এটা থেকে দূরে থাকাই ভালো!)
আপডেট :এখন সাজেক যেতে হলে আর্মি এসকর্টের সাথে যেতে হয়।এসকর্ট যায় দিঘীনালা থেকে আরো ১৫/১৮ কি.মি. সামনে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প থেকে।সকাল ১০:৩০ এবং বিকেল ৩টায় এসকর্ট যায়সাজেক থেকেও একই সময়ে এসকর্ট ছেড়ে আসে।

Share:

Leave a Comment