সুপ্তধারা-সহস্রধারা ট্রেইল

ঢাকা থেকে রাতের বাসে বা মেইল ট্রেনে রওনা দিলে সকালে আপনাকে সীতাকুণ্ড নামিয়ে দিবে। সীতাকুন্ড নেমে সকালের নাস্তা সেরে নিন। সীতাকুন্ড বাজার থেকে যেতে হবে ইকোপার্ক। বাসে উঠে যান। সময় লাগবে ৫-৭ মিনিট।

ইকো পার্কের গেট থেকে সিএনজি নিয়ে পার্কের মেইন গেটে চলে যান, ভাড়া জন প্রতি ১০ টাকা। সেখানে ইকো পার্কের টিকেট জনপ্রতি ২০ টাকা। মেইন গেটে সিএনজি পাওয়া যায়, সহস্রধারা সিঁড়ি পর্যন্ত ৩০০ টাকা ভাড়া। তবে বলবো যাওয়ার সময় সিএনজি না নিয়ে হেঁটে রওনা দিন।
সুপ্তাধারায় যাওয়ার পথে ইকো পার্কের এই রাস্তাটির বিশেষত্ব হলো, কিছুক্ষণ পরপর বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা ছোট কবিতা বা কিছু অর্থবহ বিশেষ লাইন এবং সতর্কবার্তা।

২৫-৩০ মিনিট হেটে পৌঁছে যাবেন সুপ্তধারা ঝর্ণার প্রবেশপথে। প্রায় ৪২২টি সিঁড়ি নিচে নেমে যেতে হবে মূল সুপ্তাধারা থেকে প্রবাহিত পাহাড়ী ঝিরিপথের মুখে। ধীরে ধীরে সাবধানে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামবেন। তাড়াহুড়ো করবেন না একদম, বৃষ্টির দিনে কিছুটা পিচ্ছিল থাকে তাই ট্র‍্যাকিং শু বা ফ্রিকশন বেশি এরকম জুতা পরলে ভাল হয়। সিঁড়ি থেকে নেমে হাতের বাম পাশের ঝিরিপথ ধরে হাটা শুরু করুন। সাবধানে ধীরেসুস্থে আগাবেন। নীচে পিচ্ছিল পাথর। মোট এক থেকে দেড় ঘন্টা কষ্ট করে হেঁটে অনেকটা দূর থেকেই সুপ্তধারার পানি শব্দ কানে আসবে।
ছবি তোলার কাজ শেষ করে ঝর্ণাটার কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকুন, অনুভব করুন। শ্রদ্ধা করুন প্রকৃতির শক্তিকে।

ঝিরিপথ দিয়ে ঠিক যেই পথে গিয়েছেন ঠিক সেই পথ দিয়েই ফিরে আসবেন। সিঁড়িপথ দিয়ে উঠতে একটু কষ্ট হবে। উপরে উঠুন। উঠে সিটে বসে শুকনো খাবার খেতে পারেন, অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি নিয়ে নিবেন সাথে।

সুপ্তধারা থেকে আরও ২০-৩০ মিনিট হাঁটলে সহস্রধারার সিঁড়িপথ। সেখানে সিঁড়ি প্রায় ৪৮৭টি হলেও সুপ্তধারারর সিঁড়ির মত এবড়োখেবড়ো নয়। আর কোন ঝিরিপথও পাড়ি দিতে হবে না। সিঁড়ি থেকে নেমেই দেখতে পাবেন অনেক উঁচু থেকে পতিত হওয়া অবিরাম সহস্রধারা। তুলনামূলক ভাবে সুপ্তধারা থেকে অনেক সহজ।

আবার ৪৮৭ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে। এই ট্রেইল এর সবচেয়ে কষ্টদায়ক মুহূর্ত মনে হয় এটাই।

Source: Rbh Shornab‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment