ঘুড়ে আসুন বনলতা সেনের নাটোর
উত্তরা গণভবনঃ ঘুড়ে আসুন বনলতা সেনের নাটোর, খেয়ে আসুন নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা ।
প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ীটি নাটোরের উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নাটোর দিঘাপতিয়ার উত্তরা গণভবন। দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দয়ারাম রায়।
সাড়ে ৪১ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই গণভবন টি ।
অসম্ভব পরিপাটি আর গোছানো এই দর্শনীয় স্থান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করে হাজারো দর্শনার্থী, আপনিও এসে প্রাচীন ইতিহাসের এই দর্শনীয় স্থান দেখে নিজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ঝুলি কে করতে পারেন আরো পরিপূর্ণ ।
উত্তরা গণভবনের প্রবেশ পথের বিশাল ফটকটি আসলে একটি বিরাটাকৃতির পাথরের ঘড়ি। ঘড়িটি রাজা দয়ারাম সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে আনিয়েছিলেন। ঘড়িটির পাশে রয়েছে একটি বড় ঘণ্টা। এক সময় এই ঘণ্টাধ্বনি বহুদূর থেকে শোনা যেতো। প্রাসাদের ভিতর বহু প্রাচীন ও দুর্লভ প্রজাতির গাছের সমাবেশ ও সমারোহ। এখানে আছে রাজ-অশোক, সৌরভী, পরিজাত, হাপাবমালি, কর্পূর, হরীতকী, যষ্টিমধু, মাধবী, তারাঝরা, মাইকাস, নীলমণিলতা, হৈমন্তীসহ বিভিন্ন দুর্লভ প্রজাতির ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষ। প্রাসাদের মধ্যে পরিখা বা লেকের পাড়ে এসব বৃক্ষাদির মহাসমারোহ।
উত্তরা গণভবন চত্বরে গোলপুকুর, পদ্মপুকুর, শ্যামসাগর, কাছারিপুকুর, কালীপুকুর, কেষ্টজির পুকুর নামে ছয়টি পুকুর রয়েছে।
যেভাবে আসবেনঃ
ঢাকা থেকে আসতে চাইলে গাবতলী বা কল্যাণপুর থেকে রাজশাহী গামি যেকোনো বাস( হানিফ, শ্যামলী, তুহিন, ন্যাশনাল) উঠে পড়বেন।
ভাড়া পরবে নন এসি-৩৭০ টাকা , এসি ৯০০ টাকা ।
সময়ঃ জ্যাম না থাকলে ৫ ঘন্টা, জ্যাম থাকলে ৮/৯ ঘন্টা, যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে ।
নাটোর শহর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এই প্রাচীণ নিদর্শন, সেখানে যাবেন কোনো অটোরিকশা বা রিকশায় ।
প্রবেশ টিকিট মূল্যঃ ২০ টাকা প্রতিজন ।
বিঃদ্রঃ ছবি তোলার জন্য আদর্শ স্থান, ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না !!
আর আসার সময় শহরের ভেতর থেকে মৌচাঁক মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কাঁচাগোল্লা নিতে ভুল করবেন না ।।
Post Copied From:Mostafizur Rahman Apple>Travelers of Bangladesh (ToB)