জাতীয় ঝর্ণা খৈয়াছড়া

সবাই বলে এটা নাকি জাতীয় ঝর্ণা কারন খুব কম মানুষই আছে যারা এই ঝর্ণায় যায়নি আর পিছলা খায়নি। তবে বর্ষাকালে খৈয়াছড়ার রূপ যৌবন দেখে আমরা মুগ্ধ হলেও আজ শোনাবো নতুন গল্প, রাতের গল্প, ভোরের গল্প 🙂
গত সপ্তাহে আমরা ৭ জন গিয়েছিলাম খৈয়াছড়ার ৪ নাম্বার ঝর্ণায় ক্যাম্পিং করতে, ঝর্ণা হোটেলে দুপুরে লাঞ্চ করে একটু বিশ্রাম এর পর সূর্য যখন পাহাড়ের কোল ঘেঁসে বিদায় জানাচ্ছিলো, কাঠবিড়ালিরা যখন খেজুর গাছের আড়ালে লুকাচ্ছিলো ঠিক তখনি আমাদের হাটা শুরু হয় ঝর্ণার উদ্দেশে, ৪ টা টেন্ট, ৪ টা টর্চ, কিছু শুকনা খাবার, আকাশের জ্বলজ্বলে তারা এগুলো সাথে নিয়ে এক সময় পৌঁছে যাই কাঙ্ক্ষিত ঝর্ণার সামনে, দেখে মনে হচ্ছিলো প্রকৃতি যেন আগে থেকেই আমাদের জন্য বিছানা করে রেখেছিলো। একপাশে সঙ্গীদের গলা ছেড়ে গান আর আরেক পাশে ঝর্ণার ক্লান্তিহীন অবিরাম ঝুম ঝুম শব্দ আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে 🙂 ভোঁর বেলা কুয়াশার চাদরে চারপাশ যখন ঢাকা, শিশির ভেজা পাথরে খালি পায়ে হাঁটতে খারাপ লাগবে না আশা করি 😉 অনেকটা স্বপ্নের ম Copiedতো মনে হবে যেন মন ভরে শ্বাস নেবার আনন্দে আত্মহারা হবার উপক্রম 😀
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাস এ রওনা দিয়ে মিরেরসরাই, বড় তাকিয়া বাজার নেমে একটু হেঁটে সিএনজি নিয়ে ১০ মিনিট গিয়ে হাটার পথ শুরু …
সাথে নিতে হবেঃ টেন্ট (তাবু) শুকনা খাবার, গরম কাপড়, পাতলা কম্বল/চাদর, পানির বোতল (ঝর্ণার পানি খাওয়া যায়)
মনে রাখতে হবে ঘুরাঘুরি করেন, ক্যাম্পিং করেন আর যাই করেন, ভ্রমন স্পট নোংরা করা যাবেনা, প্লাস্টিক এর বোতল, প্যাকেট ফেলে আশা যাবেনা। সুন্দর মন নিয়ে ভ্রমণ করুন, প্রকৃতিকে ভালবাসুন <3

Post Copied From:Mohtadi Shahrier Maudood‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment