ডাউকি সোনাংপেডাং উমগট নদী ভ্রমণ ও খরচাবলি

উমগট নদী! যেখানে হাওয়ায় নৌকা ভাসে!
এই নদীর পানি এতটাই স্বচ্ছ, যে কেউ দেখলে মুগ্ধ হতে বাধ্য। এজন্যই এই নদীটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ওয়াটার, লাইভ একুরিয়াম নামে পরিচিত। উমগট নদীকে ভারতের অন্যতম স্বচ্ছ ও সুন্দর নদীও বলা হয়।

কিভাবে যাবেন: আমরা প্রথমেই সিলেটের তামাবিল বর্ডারে ইমিগ্রেশন শেষ করে ১৫ মিনিট পায়ে হেটে ডাউকি ব্রিজের কাছে চলে যাই। জাফলং থেকে মেঘালয়ের এই ব্রিজটিই দেখা যায়। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ডাউকি বাজার এসে একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে সোনাংপেডাং চলে যাই। সোনাংপেডাং এর সাসপেনশন ব্রিজ, নদীর চারপাশে ঘুরাঘুরি করে উমগট নদীতে বোটিং করি, এখানে গেলে সবাই বোটিং টা অবশ্যই করবেন। রাতে টেন্টে ক্যাম্পিং করি,ক্যাম্প-ফায়ার করি যেটা ছিল একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। পরেরদিনও খুবই রিলাক্সে সোনাংপেডাং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করি। এরপর সোনাংপেডাং থেকে বর্ডার পর্যন্ত ৮ কিলো পথ আমরা ইচ্ছে করেই পায়ে হেটে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে যাই এবং বর্ডার ক্রস করি।

খরচের হিসাব:
ট্রাভেল ট্যাক্স:৫০০
ঢাকা-সিলেট বাস:৪৭০
সিলেট-তামাবিল:১০০
সকালের নাস্তা:৩৫
বর্ডার টিপস: কোনো টাকা চায়নি আমাদের কাছে
ডাউকি বাজারে লাঞ্চ: ৯০ রুপি
ডাউকি-সোনাংপেডাং ট্যাক্সি ভাড়া: ২০০রুপি/৪=৫০রুপি
এন্ট্রি:৪০ রুপি/৪=১০ রুপি
বোটিং: ৫৫০ রুপি/৩=১৮৫ রুপি
ডিনার: ৬০ রুপি( হালকা খাবার খেয়েছি। এমনিতে চিকেন থালি ১৫০রুপি,ভেজ থালি১২০ রুপি)

দ্বিতীয় দিন ব্রেকফার্স্ট : ৫০ রুপি
লাঞ্চ:১৫০ রুপি
টেন্ট ভাড়া: ২ টেন্ট ১০০০ রুপি/৪=২৫০ রুপি
সোনাংপেডাং- বর্ডার: পায়ে হেটে যাই আমরা। ট্যাক্সি রিজার্ভ করলে ২০০-৩০০ রুপি নিবে।
ভারতে টোটাল:৮৪৫ রুপি=১০৪৫ টাকা
তামাবিল-সিলেট:সিএনজি ভাড়া ৬০০টাকা/৪=১৫০টাকা
রাতের খাবার:৩০টাকা(হালকা খাবার)
সিলেট -ঢাকা বাস:৪৭০
#টোটাল_খরচ: ২৮০০ টাকা
বিঃ দ্রঃ যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না,আর স্থানীয় লোকজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন তাহলে তাদের নিকট থেকে অনেক সহযোগীতা পাবেন ।

Source: Khaled Amin‎< Travelers of Bangladesh (ToB)

 

Share:

Leave a Comment