দমতুয়া ঝর্না লুকায়িত সৌন্দর্যের আরেক নাম

প্রথমে আমাদের নাফাখুম, আমিয়াখুম যাওয়ার প্ল্যান থাকলেও ওদিকে যেতে না দেয়ায় আমরা চলে আসি চকরিয়া। প্ল্যান করেছিলাম ১ দিনে দমতুয়া ঝর্ণা আর আলির গুহা ঘুরে দেখার। কিন্তু সকালে গাড়ির বিড়ম্বনার জন্য শেষে সময় হয়ে ওঠেনি আলির গুহা দেখার।
২১-১০-১৮ তারিখ সকালে ৭ টার দিকে আমরা চকরিয়া থেকে আলিকদমের জন্য লোকাল গাড়ির স্টেশন গিয়ে গাড়িতে (লোকাল জিপ) উঠে বসি।সকাল ৭ টায় উঠলেও সেই গাড়ি ছাড়ে সকাল ৯ টায় । আমরা মাত্র ৩ জন থাকায় চান্দের গাড়ি ভাড়া করতে পারিনি।
আলিকদম পৌঁছানোর পরে ওখান থেকে বাইক ভাড়া করে আমরা চলে যাই আদুপাড়া (১৭ কিঃমিঃ)। সেখানের আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু রাস্তা আর দু’পাশের দৃশ্য আপনার মন জুড়িয়ে দিবে।

আদুপাড়া থেকে লোকাল গাইড সাথে নিয়ে বের হলাম দমতুয়া ঝর্ণার খোঁজে। আমাদের যেতে সময় লেগেছিল ২ঃ২০ ঘন্টা।দমতুয়া যাবার পথেই দেখা মিলবে ব্যাঙঝিরি ঝর্ণার।

দমতুয়া ঝর্ণা এক কথায় অসাধারণ, অতুলনীয়। বর্ষার টাইমে এই ঝর্ণা হয়ে উঠবে আর ভয়ংকর। ঝিরিপথ আমাদের কাছে তখন শান্ত মনে হলে বর্ষায় এমনটা থাকবে না।

ঝর্ণায় স্থানীয় মানুষ কে মাছ ধরতে দেখে ভালো লেগেছিল অনেক।
সর্বোপরি দমতুয়া ঝর্না ভ্রমনটা ছিল অসাধারণ।

যেভাবে যাবেনঃ দেশের যেকোন স্থান থেকে চকরিয়া; আলিকদম;
আদুপাড়া; দমতুয়া ঝর্ণা।

#বিঃদ্রঃ আমরা ফেরার পথে সাথে করে অনেক বোতল, চিপস,চকলেটের প্যাকেট কুড়িয়ে এনেছি।দয়া করে আপনার খাবারের প্যাকেট, বোতল ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলবেন না।

Source:Md. Mehedi Hassan Tipu‎<Travelers of Bangladesh (ToB) – ভ্রমন গাইড বাংলাদেশ

Share:

Leave a Comment