পাহাড়ের ফাঁকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনুভূতি
ঝকঝকে নীল আকাশ। কর্ণফুলি নদীর পানি আর সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনুভূতি পেতে চাইলে চলে যান রাঙ্গামাটির শুভলং ঝরনায়। নীল আকাশ, ফাঁকে ফাঁকে দুধ সাদা মেঘ। সবুজ পাহাড় আর নীল জলরাশি দেখলে হারিয়ে যেতে চাইবে মন।
ঝরনাটির অবস্থান রাঙ্গামাটি সদর হতে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে। বর্ষা মৌসুমে প্রায় ১৪০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে বিপুল জলধারা কাপ্তাই লেকে আছড়ে পড়ে। এছাড়া শুভলং ঝরনা দেখতে যাওয়ার পথের সৌন্দর্য আপনাকে আবেগময় করে তুলতে পারে। দুই পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া লেক দেখে থাইল্যান্ড বলে ভ্রম হতে পারে!
শুভলং ঝরনা
রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার শিলার পাড়া এলাকায় সবচাইতে বড় ঝরনাটিই হচ্ছে শুভলং ঝরনা।
নির্দেশনা
শুভলং ঝরনা যেতে চাইলে প্রথমেই যেতে হবে রাঙামাটি। ঢাকার ফকিরাপুল মোড় ও সায়দাবাদে রাঙ্গামাটিগামী অসংখ্য বাস কাউন্টার রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটিগামী বিভিন্ন পরিবহণের লোকাল ও গেইটলক/ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। এরপর রাঙামাটি পৌঁছে চলে যান রিজার্ভ বাজার। সেখান থেকে শুভলং যাবার নৌকা সারাদিনের জন্য ভাড়া করুন। সারাদিনের জন্যে ভাড়া করলে শুভলং ঝরনা ছাড়াও অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। মাঝারি সাইজের একটা নৌকা ১৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে ভাড়া করা যায়। ১০-১৫ জন যাওয়া যায় এক নৌকাতে।
শুভলং এলাকায় থাকা ও খাওয়ার জন্য কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে দিনে গিয়ে দিনেই রাঙ্গামাটি ফিরে আসতে হবে। প্রয়োজনে হালকা খাবার সাথে নিয়ে ভ্রমণ করুন। বোট নিয়ে যদি পেডা টিং টিং এ যান তাহলে সেখানে খেতে পারবেন। তবে দাম একটু বেশি!