রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষদের জন্য কুল্লু মানালি
নিশ্চই ইতিমধ্যেই অনেকে ভেবে রেখেছেন এখানে ভ্রমণের কথা? কেন নয়? পর্বতে পর্বতে ঘেরা, নানান রঙ এর ফুলে ঢাকা, সবুজে মোড়ানো কুল্লু মানালি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বহু বছর ধরে। একে বলা হয় ‘Land of Gods’।আমার কিছু ক্যাপচারড্ শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।
তুষার ঢাকা পর্বত চূড়া থেকে শুরু করে উষ্ণ বসন্তের দেখা পেতে যেতে হবে ভারতের কুল্লু মানালিতে। প্রকৃতিপ্রেমীদের আদর্শ এক স্থান। রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষরা মানালিতে ছুটে যান। সেখানে আছে বরফাচ্ছাদিত পর্বতমালা, নদী আর অপূর্ব প্রকৃতি।
মানালি হিমাচল প্রদেশে বিয়াস নদীর উপতক্যায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি পাহাড়ি শহর। … শহরের একদম গাঁ ঘেষে কূলকুল রবে আঁকাবাঁকা ভাবে বয়ে চলা বিপাশা/বিয়াস নদী আসলেই প্রকৃতির এক অপরূপ বিস্ময়।
ঈশ্বরের এক অপরূপ সৃষ্টি এটি। পাহাড়ের কোল ঘেষে দাড়িয়ে থাকা ঘর-বাড়িগুলো ছোট হলেও ছবির মতো। মানালি শহরে প্রবেশের পথে কখনো চোখে পড়বে ঘন জঙ্গল, কথনো বরফগলা নদী আবার কোথাও ঝর্না। মনে হবে যেন, দানবাকৃতির পাহাড় শ্বেত-শুভ্র কাপড় পরে মায়ের আদরে আগলে রেখেছে এ জনপদকে।
গোটা মানালি বরফে ঢাকা পড়ে মূলত শীতের সময়। পূর্নিমার রাতে তখন অনন্য অপরুপা মানালি। বিপাশার পাড়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলে চোখ সত্যিই জুড়িয়ে যাবে। কোন মূল্য গুনতে হবেনা মানালির এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। ‘বিপাশা’ বহমান এ নদীর প্রাচীন নাম। বর্তমানে এটি ‘বিয়াস’ নদী নামে পরিচিত।
এলাকার মানুষজন বলে, ব্রাহ্মন বিধান কর্তা মনু তাঁর নৌকা থেকে মানালিতে নেমেছিলেন মানুষকে নবজীবন দিতে। পরবর্তীতে তার নামানুসারে মানালির নামকরন হয়। ‘মানালি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘মনুর বাসভূমি’। প্রবল বন্যায় পৃথিবী আক্রান্ত হবার পরে মানালি ‘দেব উপত্যকা’ নামে পরিচিত। পুরনো মানালি গ্রামে ঋষি মনুর নামে একটি প্রাচীন মন্দিরও আছে।
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে কলকাতা,কলকাতা থেকে দিল্লী,দিল্লী থেকে সিমলা প্রথমে।রুট সিলেকশনে আপনি আপনার কমফরটিবিলিটির উপর বেজ করে এয়ার/বাস/ট্রেন চুজ করতে পারেন।তারপর সিমলা থেকে মানালি ২ রাত ২ দিনের প্যাকজে গিয়েছিলাম আমরা।সিমলা হোটেলের লোকেরাই ঠি ক করে দিয়েছিলেন প্যাকেজটা।৩৬০০ রুপির প্যাকেজ ,আমাদের সাথে আরো ২ জন কাপল ছিলেন।শেয়ার জিপে যাই।মানালি যাওয়ার পথেই কুল্লু পড়ে।১ ঘন্টার মত থেকেছিলাম জায়গাটায়।River rafting করতে অবশ্যই ভুলবেননা।আমি করতে পারিনি।অনেক ঠান্ডা আর লম্বা জার্নিতে একটু অসুস্থ হয়ে পড়ি।