সৌন্দর্যের নিদর্শন পেতে ঘুরে আসুন নোয়াখালীর হাক্কানী জামে মসজিদ
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামের হাশেম সওদাগরের বাড়িতে অবস্থিত অপরুপ সৌন্দর্যের নিদর্শন হাক্কানী জামে মসজিদ। মসজিদটি চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে ব্যায়বহুল ও সৌন্দর্যময় ৩ তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ। অপরূপ সৌন্দর্যময়ী মসজিদটি স্থানীয়দের কাছে হাসেম সওদাগরের মসজিদ হিসেবে পরিচিত। সৌন্দর্য ও এর বিশালতায় এটিকে বাংলাদেশের মধ্যে আকর্ষণীয় সৌন্দর্যময়ী মসজিদগুলোর মধ্যে একটি বলা যায়।
জানা যায়, প্রায় ৮০’র দশকের প্রথম দিকে হাশেম হওদাগর বাড়ি ও আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় খুব ছোট পরিসরে হাক্কানী জামে মসজিদটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে আবুল খায়ের গ্রুপ কোম্পানীর অর্থায়নে ২০০৭ সালে হাক্কানী জামে মসজিদটি পুনরায় নিমার্ণ কাজ শুরু করা হয়। যা ২০১০ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের পণ্য সামগ্রী। যা দূর থেকে এক নজরে চোখ পড়লেই মানুষ মসজিদটির পাশে এসে দেখার আগ্রহ যোগায়। এ ছাড়া ও মসজিদটির পাশেই তৈরি করা হয়েছে বড় বড় কয়েকটি স্টল। রয়েছে গাড়ি পাকিং করার সুব্যবস্থা।
মাঠের স্টলগুলোতে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার দুপুরে আবুল খায়ের গ্রুপ কোম্পানীর অর্থায়নে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষদের ও গরীব, অসহায় দুঃস্থদেরকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই বেশীরভাগই মানুষ শুক্রবার এলেই এখানে জেলা শহরসহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ মসজিদটি দেখতে এবং এখানে নামাজ পড়তে ভিড় জমায়। মসজিদটি নির্মাণে প্রায় ব্যায় হয়েছে ৯ কোটি টাকা।
বর্তমানে মসজিদের উত্তর পাশে দুই তালা বিশিষ্ট একটি নূরানী ও হেফজখানা, পূর্ব পাশে বিশাল একটি ঈদগাঁহ এবং দক্ষিণে একটি মাজার অবস্থিত আছে। ১৯৯৯ সাল থেকে এই হাক্কানী জামে মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন কাবিলপুর গ্রামের অধিবাসী হাফেজ মো. শাহাদাৎ হোসেন।
স্থানীয় মামুন মিয়া জানান, মসজিদটি আবুল খায়ের গ্রুপ কোম্পানী তার নিজ অর্থায়নে বিপুল টাকা ব্যায়ে পুনরায় নির্মাণ করেন। তিনি এখানকার গরীব, অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের ব্যাপক সহযোগীতা করেন। এখানকার আশেপাশের বেকারত্ব নেই বলে চলে। তিনি সকল শিক্ষিত বেকার যুবককে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি জানান, মসজিদটি দেখতে অনেক মানুষ এখানে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে মানুষের একটু ভিড় হয়। মসজিদের পাশে রয়েছে মাদ্রাসা। এখানকার গড়িব ছাত্ররা মাদ্রাসায় বিনা পয়সায় পড়ালেখা করতে পারে। আর মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাথর। যা মসজিদটি নির্মাণের পর অনেক সৌন্দর্য হয়। মসজিদটিতে রয়েছে ৪টি বড় বড় মিনার। ৩টি ছোট বড় গম্বুজ।