২ দিনের ট্যুরে ঘুরে আসুন কোলকাতায়
মাত্র দুই দিনে যে কোলকাতা শহর পুরোটা ঘোরা সম্ভব না তা গিয়ে বুঝলাম। ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় কোন কিছু চিন্তা না করেই রওনা দিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে শ্যামলী এনআর এ শুক্রবার রাত সোয়া দশটায়। কোলকাকায় পৌছালাম সকালে, শনিবার সকাল সোয়া দশ টায় (বাংলাদেশ সময়)। হ্যা, এক্সাক্ট ১২ ঘন্টায়।
হোটেলে উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তাটা সেরে নিলাম #কস্তুরি হোটেলে। এরপর একটা ট্যাক্সি নিয়ে বের হলাম ঘুরতে। বেশি বিস্তারিত লিখছি না। বিস্তারিত তো গিয়ে দেখবেন।
দিন ১। প্রথমে গেলাম #ইন্ডিয়ান_মিউজিয়ামে, #নিউমার্কেট হয়ে। ৫০০ রুপি করে টিকেট। এরপর গেলাম #ইডেন_গার্ডেন আর #হাওড়া_ব্রিজ দেখতে। হালকা বৃষ্টির সাথে বাতাসও ছিলো, ভালোই লাগলো হাওড়া ব্রিজের বাতাস। #হাওড়া_রেল_স্টেশনে একটা পলক ফেলে চলে এলাম বিখ্যাত #ভিক্টোরিয়া_মেমোরিয়ালে। সেন্ট্রাল ইওরোপ ঘোরার অভিজ্ঞতা থাকায় বুঝলাম, সম্পুর্ণ ইওরোপিয়ান ধাঁচে তৈরি এই স্থাপত্যটি। একদম অসাধারণ। সাদা মার্বেল পাথরের এই প্যালেস আপনার মনে থেকে যাবে আজীবন। সত্যিই সুন্দর। বাংলাদেশিদের জন্য টিকেট ১০০ রুপি করে, গার্ডেন+মিউজিয়াম। ভিক্টোরিয়া থেকে বেড়িয়ে একটু চা টা খেয়ে মার্কেটিং করলাম হালকা। দাম ভালোই সহনিয় সবকিছুর।
দিন ২। সকালের নাস্তাটা করলাম এক কাশ্মীরির হোটেলে (হোটেলের নাম মারিয়া) সদর স্ট্রিট, দি ভোজ কম্পানির পাশে। এবার রওনা হলাম টেক্সিতে করে রবী ঠাকুরের বাড়িতে। #জোড়াসাঁকোর_ঠাকুরবাড়ি, সাথে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। টিকেট কেটে ঢুকতে হবে আর ছবি তুলতে হলে আলাদা কুপন করে নিতে হবে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম রবীর আলো কতো প্রখড়। এরপর খেয়ে নেয়ে গেলাম #সায়েন্স_সিটিতে, ১০৮ টাকার টিকেটে সিটিতে ঢুকলাম ক্যাবল কারে করে। পরিবার বা বন্ধুদের সাথে গেলে সায়েন্স সিটিতে একবার যাওয়া উচিৎ, খারাপ লাগবেনা।
দিন ৩ঃ সকাল ৬:০০ টার গাড়িতে রওনা দিয়েছি কোলকাতা থেকে (সৌহার্দ্য তে) এসে নামলাম রাত ৯:০০ টায়।
কোলকাতায় আরও যা দেখার ছিলোঃ
১। মিলেনিয়াম পার্ক
২। ইকো পার্ক
৩। নিক্কো পার্ক
৪। ওয়াক্স মিউজিয়াম
৫। আলিপুর চিড়িয়াখানা
৬। দক্ষিনেশ্বর মন্দির সহ আরও কিছু মন্দির
৬। বোটানিকাল গার্ডেন
৭। কফি হাউজ
৮। কলেজ স্ট্রিট
৯। নিজামস
১০। বিদ্যাসাগর সেতু
১১। বেলুর মঠ ইত্যাদি।
১২। বাড়লা প্লানেটেরিয়াম
সর্বপরি যেটা বলতে পারি, নিউমার্কেট থেকে কিছু কিনলে দামদর করে, ধরমতলার হোটেলগুলোতে থাকলে দু একটা হোটেল দেখে আর ট্যাক্সিতে চললে দামদর করে চলা উচিৎ। আর অবশ্যই যে কোন রকম দালাল হতে সাবধান! সে হোটেলেরই হোক আর মানি এক্সচেন্জেরই হোক।
আর অবশ্যই যেখানেই যান যেহেতু আমরা আমাদের দেশকে উপস্থাপন করি, আমাদের উচিৎ হবে সবার সাথে পর্যটকের মত আচরণ করা এবং টুরিস্ট স্পটকে পরিস্কার রাখা। কোলকাতার লোকজন খুব সহজেই বাংলাদেশের মানুষকে চিনে ফেলে তাই অযথা নিজের পরিচয় লুকিয়ে দেশকে ছোট না করা সম্মানের কাজ হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।