ছোট ভ্রমণ বিরুলিয়া, সাভার
কেন আসবেনঃ
১৫মিনিটের হাটাপথের ভেতর ১০-১৫টা জমিদার বাড়ি ।সাথে তুরাগ নদীর সোন্দর্য তো আছেই ।
আজকের ছোট্ট গ্রাম প্রায় ১০০ বছর আগে ছিল বিরুলিয়া নগরী। মিরপুর বেড়িবাঁধ থেকে নৌকায় তুরাগ নদী পার হলেই বিরুলিয়া। বর্ষাকালে গ্রামটিকে মনে হয় দ্বীপ। আগে ছিল ১৪-১৫টি, এখন আছে ৭-৮টি নকশাবহুল শতবর্ষী ভবন। এগুলোয় বসবাস করতেন তারকচন্দ্র সাহা, গোপিবাবু, নিতাইবাবু, রজনী ঘোষ প্রমুখ ব্যবসায়ী। বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগ নদী পথে তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তারা এখানে বসে নিলাম কিনতেন আর পরিচালনা করতেন জমিদারীর। আর এখানেই একসময় বসতি ছিল আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় এর কর্ণধার এর পিতৃপুরুষদের। চমৎকার ইট বিছানো রাস্তায় পশ্চিমে আগাতেই প্রথম চেখে পড়বে ৮৫ বছর পুরোনো শ্রী শ্রী বৃন্দাবন চন্দ্র জিউ বিগ্রহ মন্দির। সামেনে নানান ধরণের দোকান/বাড়ি – মাটির, টিনের, আধাপাকা, বিল্ডিং। বর্তমান বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র সাহা জানান, তাঁদের ইট-সুরকির বাড়িটি ১৩২৫ বাংলা সনে তাঁর দাদা তৈরি করেন। দাদা ছিলেন পাট ব্যবসায়ী। বর্তমানে গ্রামটিতে বাস করে আড়াইশ পরিবার। মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কবরস্থান, শ্মশানঘাট ও বাজার আছে। বহুদিন আগের তৈরি মাটির ঘরও চোখে পড়ে। গ্রামের প্রধান রাস্তাটি সরু এবং ইটের সোলিং করা। এটি তারকচন্দ্র সাহা সড়ক নামে পরিচিত।
কিভাবে আসবেন :
মিরপুর-১ থেকে রিকসা অথবা বাস এ বেড়িবাঁধ এর বিরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড , বাস স্ট্যান্ড এর পাশেই ঘাট… ২টাকা নৌকা ভাড়া
২টাকার নৌকা ভাড়া দিয়ে বিরুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ওপারে গেলেই দেখতে পারবেন এক অবাক নগরী…