কুয়াকাটা সম্পরকিত কিছু তথ্য
অনেকে দেখি কুয়াকাটা বরিশাল হয়ে যায় কিন্তু সবাই কি ভুলে গেছে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র পটুয়াখালীতে পড়েছে।তৃতীয় সমুদ্র বন্দর সেটাও কুয়াকাটাকে ঘিরে হচ্ছে টিয়াখালীতে।
ওখানকার স্থানীয় মানুষ অনেক ভালো।ইদানীং বাহির থেকে এসে যারা ব্যবসা করছে তাদের আচরন ভালো নয়।সবকিছুতে বেশি দাম নিচ্ছে।আগে তিনটি ফেরি পার হয়ে কুয়াকাটা ভ্রমন অনেক কষ্টদায়ক ছিল।এখন সব ব্রীজ হয়ে গেছে।পূর্ণিমায় জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকত ফেরি তখন গাড়ী আর যেতনা।ওখানেই কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো।
ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব প্রায় ৩৮০কি.মি।বীচটির দৈর্ঘ্য ১৮ কি.মি.দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।হোটেল নীলাঞ্জনা অনেক পুরানো হোটেল।মোটেল সহ অনেক ভালো মানের হোটেল আছে।সব মেইন বীচের কাছাকাছি।কুয়াকাটা শীতের সিজনে ঘুরলে ভালো হয়।গাড়ীর চেয়ে লঞ্চ ভ্রমন আরামদায়ক।এখানে আছে রাখাইদের মার্কেট,৪০০ বছর আগে মায়ানমার থেকে রাখাইনরা এসেছিল সেই নৌকা ঝড়ে ডুবে যায়।কিছু বছর আগে নৌকাটি উদ্ধার করা হয়।নৌকাটির নাম সোনার নৌকা।ইগো পার্ক,ইলিশ পার্ক ইলিশ মাছ নিয়ে ১০ টি পুকুর আছে।পুকুরে ইলিশ মাছ নিয়ে গবেষনায় সফলতা পেয়েছে।প্রতিদিন নাটক,টেলিফিল্ম নিয়ে অনেক শ্যুটিং হচ্ছে।এখানে খাবারের দাম একটু বেশী।চিংড়ি মাছ ভুনা ছোট এক বাটি ৮০ টাকা।শুটকি মাছ ভুনাসহ অনেক তাজা মাছ রান্না করা পাওয়া যায়।বর্তমানে রাখাইন মহিলা মার্কেটের কাছে রাখা আছে আলাদা বিল্ডিং তৈরি করে।মিশ্রি পাড়ায় আছে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় মূর্তি।কাউয়ার চর,ফ্যাতরার চর,লাল কাঁকড়ার চর আরো অনেক জায়গা আছে।চরগুলো দেখলে শীতকালে যেতে হবে।কারন সমুদ্র এখন উত্তাল।সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।
ঢাকা থেকে বিলাসবহুল লঞ্চ যায় পটুয়াখালী।৫/৬ টায় ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার টাকা ডবল দুই হাজার ফ্যামিলি কেবিন আরও একটু বেশী।সব বিলাস বহুল লঞ্চ তিনতলা।এসি,নন এসি,দুটো বেড,দুটো পাখা,টিভি সব আছে।দুজনের রুমে চারজন যাওয়া যায়।পরবর্তী দুজন ডেকের ভাড়া ২০০ করে।কেবিন যদি কেউ না নিতে চায় ডেকে ২০০ টাকা।ছেলেরা দলবেঁধে অনেকে ডেকে যায় যাদের পকেট মানি কম।খুব ভোরে ৬/৭ টায় লঞ্চ পটুয়াখালী যায়।অটো ভাড়া করে বাস স্ট্যান্ড চলে যান।জনপ্রতি ২০/৩০ টাকা।লঞ্চের টাইমে এই ভাড়ায় যাবেনা।একটু দরদাম করে যাবেন।কুয়াকাটা প্রচুর লোকাল বাস যায়।১৪০ টাকা।অনেকগুলি বাস পর পর যায়।খালি বাস দেখে টিকিট কাটবেন।বরিশাল থেকে যে বাস আসে তাতে উঠবেন না।লোক ভর্তি থাকে।একটু অপেক্ষা করে উঠবেন।দু ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন।যদি হোটেলে না থাকেন বীচে চলে যাবেন।ছাতার নীচে কাঠের বেড আছে বিশ্রাম করার জন্য ২০ টাকা।বীচে টয়লেট আছে।ভাড়া দেওয়া হয়।সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় অনেক বাস ছাড়ে।ওগুলো বীচে রাস্তার কাছে