সবাই বলে এটা নাকি জাতীয় ঝর্ণা কারন খুব কম মানুষই আছে যারা এই ঝর্ণায় যায়নি আর পিছলা খায়নি। তবে বর্ষাকালে খৈয়াছড়ার রূপ যৌবন দেখে আমরা মুগ্ধ হলেও আজ শোনাবো নতুন গল্প, রাতের গল্প, ভোরের গল্প :) গত সপ্তাহে আমরা ৭ জন গিয়েছিলাম খৈয়াছড়ার ৪ নাম্বার ঝর্ণায় ক্যাম্পিং করতে, ঝর্ণা হোটেলে দুপুরে লাঞ্চ করে
এর অবস্থান চট্টগ্রাম এর মিরসরাই তে। কিছুদিন আগেও এই ঝর্ণার তেমন পরিচিতি না থাকলেও, এইই ঝর্ণার বিশালতা ও সৌন্দর্যের কারনে এর সুনাম ছরিয়ে গেছে সারা দেশজুড়ে। রিতিমত এটি পর্যটনকেন্দ্র এ পরিনত হয়েছে। তাই তো প্রতিদিন ই ভিড় বাড়চ্ছে খৈয়াছড়ায় যা ঝর্ণাপ্রেমীদের কাছে মোটেও কাম্য নয়। আমি নিজেই ২ বার ছুটে গেছিলাম খৈয়াছড়া
গুরুজনরা বলেন, মানুষ চেনা যায় তিন উপায়ে। এক. দীর্ঘ ভ্রমণে। দুই. একসাথে খাওয়াদাওয়া করলে। তিন. রাত্রিযাপন করলে। এই তিনটিই হয়ে যায় যখন কারো সাথে ট্যুরে যাওয়া যায়। আমরা আটজন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম খৈয়াছড়া আর মহামায়া লেক। মূলত একদিনেই এই জায়গাগুলো ঘুরে আসা সম্ভব। রাতে রওনা দিয়ে সারাদিন ঘুরে আবার রাতেই ব্যাক।
খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, চন্দ্রনাথ, ইকোপার্ক, বাশবাড়ীয়া ট্যুর। এক ট্যুরে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, সমুদ্র, ঝর্না সব দেখে আসছি। বাংলাদেশের ট্রাভেলারদের মধ্যে সবচেয়ে হাইপ তোলা route এখন নিঃসন্দেহে খৈয়াছড়া+বাশবড়ীয়া/ নাপিত্তাছড়া+বাশবাড়ীয়া/সীতাকুণ্ড+বাশবাড়ীয়া। গ্রুপে পোস্ট দেখতে দেখতে আমি নিজেও বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, মনে হচ্ছিল এখানে না গেলে মনে হয় বাংলাদেশী ট্রাভেলার হিসেবে আর পরিচয় দিতে পারবো না। ফ্রেন্ডরা ডিসিশন