এই যেন চা ও বৃষ্টির দেশের গল্প
সকাল ৬ টা বেজে ৩০ মিনিট, পারাবত এক্সপ্রেসসের জন্য অপেক্ষা। যথাসময় তাঁহার উপস্থিথি। ভিড় সামলে আমার আমাদের আসনে বসলাম । সকাল ১১ টায় আমারা শ্রীমঙ্গল নামলাম।
মেঘলা আকাশ , গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এর মাজে গরম ধুয়া তোলা, করা লিগার এর এক কাপ চা।
হোটেলে চেক–ইন করেই আমরা বের হয়ে পড়ি। লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট, মাদবপুর লেক ঘুরে আমরা সন্ধ্যায় হোটেলে এ চলে আসি । চাচির হোটেল এর চা মিস না করাই ভালো। After freshen up আমার শহরে ঘুরাঘুরি করি। তারপর আদি নীলকণ্ঠ চা কেবিনে আট রঙের চা ,এর সঙ্গে সঙ্গে একখানা জম্পেস আড্ডাও হয়ে যায়। পানসি তে রাতের খাবার খেয়ে আমরা হোটেল এ চলে যাই।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠে আমারা বেড় হয়ে পড়ি। হেঁটে হেঁটে রাবার বাগান, বিটিআরআই, চা-বাগান, বাগানি-পল্লী , মনিপুরি পাড়া গুড়ে দশ টার দিকে নাস্তা করে হোটেলে চলে আসি। এগার টার দিকে বেড় হয়ে যাই খাসিয়া পুঞ্জি উদ্দেশ্য । এক টার মাজেই আমারা চলে আসি খাসিয়া পুঞ্জি। বেলা তিন টা পর্যন্ত ছিলাম খাসিয়া পুঞ্জিতে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সাজানো গুছানো, ছবির মত একটি জায়গা। পুঞ্জিতেই আমারা দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি। পুঞ্জি থেকে সরাসরি হোটেল, ফ্রেশ হয়ে হোটেল থেকে স্টেশান। বিকাল ০৫:৩০ পারাবত এক্সপ্রেস হাজির । রাত ১০ টা আমারা ঢাকা।
চকচকে রোদ, এই বৃষ্টি, কালো মেঘ, সবুজের ছিমছাম, শীতল বাতাস , অতিথিপরায়ণ লোকজন সব কিছুর মিশেলে অদ্ভুত সুন্দর এক শহর। পুরাটা সময় বৃষ্টি আমাদের সঙ্গী ছিল। বৃষ্টির আর চা এর সঙ্গ বেশ উপভোগ করেছি।
ট্রেন ভ্রমন বেশ সুখকর ছিল।
শ্রীমঙ্গল আর বৃষ্টির কি যেন একটা নাম নাজানা সম্পর্ক রয়েছে। এক জনকে ছাড়া আর একজন শ্রীহীন। আর এই দুই জন একত্র হলেই, প্রকৃতি তার সবটা ওঝার করে দেয়।
আদিবাসি পুঞ্জিতে খাসিয়া শিখে গেছে কিভাবে পরিষ্কার থাকতে হয়, কিভাবে পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হয়। কাজে কাজেই আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার।