কিছুটা মায়াদ্বীপ আর বাকিটা মধ্যের চর ভ্রমনে যেভাবে যাবেন
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাথায় চলমান এই ট্যুরের প্ল্যান।তারপর দিনক্ষণ ঠিক করে আমরা আজ রওনা হলাম মায়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে।যদিও যাত্রাপথে কোন কারণে আমাদের প্রায় ঘন্টাখানেক দেরি করেছি।বৈদ্যেরবাজার পৌছে আগে ট্রলার ভাড়া করলাম।তারপর বৈদ্যেরবাজার থেকে দুপুরের খাবার খেলাম।আমরা দশজন ছিলাম।এর মধ্যে দুজন মেয়ে ছিলো।প্রচন্ড সাহসী দুজন মেয়ে।
মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের সাথে চলতে চলতে আর মাস্তি করতে করতে আমরা মায়াদ্বীপ পেছনে ফেলে এক ঘন্টার ভেতরই চলে গেলাম মধ্যের চর (মইধ্যার চর স্থানিয় নাম)।নৌকা ভ্রমন যে এতো সুন্দর এবং আলাদা একটা অনুভুতির তা কখনো অর্জন করার সুযোগ পাওয়া হয়নি কিন্তু আজকে যেন ১২ কলা পূর্ণ হলো।আমার মতে এই সিজনে মেঘনা আরো উত্তাল থাকে।পাশাপাশি আশেপাশের দৃষ্টি সীমাতে ধরা পরে সুন্দরতম সব দৃশ্য।মধ্যের চর দ্বীপটা খুব সুন্দর আর সবুজে ঘেরা একটা দ্বীপ।চারিদেকে সবুজ তারপরই মেষনার সুশ্রাব্য কলকল ধ্বনি।আমরা ফুটবল খেলে + গোসল করে যথেষ্ট আরাম ও নিরাপদ অনুভব করেছি।পুরো দ্বীপটার কথা যদি বলি আপনার চোখ জুড়ানোর মতো একটা জায়গা।সেখানে প্রায় বেশিরভাগ সময় পার করে এবার আসলাম মায়াদ্বীপ এ।মায়াদ্বীপ পরে আসার কারণ হলো জায়গা টা ছোট।তাই আমরা ঐখানে কম সময়ে আমাদের ছবি তোলা সম্পন্ন করলাম।কিন্তু জায়গাটা খুব সুন্দর।প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এখানে।সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে থেকে মেঘনা আর মায়াদ্বীপের মায়া উপভোগ করলাম।
অস্তমান সূর্যের সাথে মেঘের ভালো বোঝাপরাটা হঠাৎ ই হয়ে গেলো।তাই আর সূর্যাস্ত টা দেখা হয় নি।রওনা হলাম সেখান থেকে এবং শেষ করলাম আল্লাহ্ তা’আলার এই সুন্দর সৃষ্টি গুলোকে কাছে থেকে দেখে আসলাম।
দিন শেষে একটা অসাধারণ পয়সা উসুল ট্যুর।
আলহামদুলিল্লাহ।
ঠিকানাঃ
সোনারগাঁও বৈদ্যেরবাজার ঘাট থেকে এক ট্রলারে দুই জায়গায় ই যেতে পারা যাবে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে সোনারগাঁও চৌরাস্তাগামী যে কোন বাসে চৌরাস্তা নেমে সেখান থেকে বৈদ্যেরবাজার পর্যন্ত ডিরেক্ট অটো বা সি এন জি পাবেন।
আসার সময় ও একইভাবে আসতে পারবেন।
যারা চৌরাস্তা যাওয়ার অন্য রাস্তা জানেন তাদের বলার বোধহয় প্রয়োজন নেই।
আমরা নবীগঞ্জ থেকে অটোতে চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়েছি।
ভাড়াাঃচৌরাস্তা থেকে অটো বা সি এন জি পার হেড ১৫-২০ টাকা।
ট্রলার ভাড়াঃ ১০০০ টাকা।
যদিও ৮০০ টাকা ভাড়ায় নিয়েছিলাম।
খাবার খরচঃ
ভাতঃ ১০ টাকা প্লেট
মাছঃ ৬০-৯০ টাকা
মুরগীঃ৮০ টাকা
খাসিঃ ১২০ টাকা
ডালঃ৫ টাকা।
আপনি কখনোই সেখানে গিয়ে চোখে না দেখার আগে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
আমরা পরিবেশ নষ্ট করবো না।
আজ এই ব্যাপারটা ভাল্লাগছে।
খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পেয়েছি জায়গা দুটো।