কুমিল্লা ওয়ার সিমেট্রি।
শ পাঁচেক টাকা খরচ করে দিনে দিনে ঘুরে আসতে পারেন কুমিল্লা ওয়ার সিমেট্রি।
বাংলাদেশে দুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওয়ার সিমেট্রি আছে। একটি কুমিল্লায়, অপরটি চট্টগ্রামে। কুমিল্লারটি তূলনামূলক বড় ও সুন্দর মনে হলো আমার কাছে। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি স্থানীয়ভাবে ইংরেজ কবরস্থান নামে পরিচিত। ময়নামতি রণ সমাধিক্ষেত্র মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) নিহত ভারতীয় (তৎকালীন) ও বৃটিশ সৈন্যদের কবরস্থান। ময়নামতি তখনকার সময়ে একটি ক্ষুদ্র গ্রাম হলেও তৎকালিন সেনাবাহিনীর একটি বড় ঘাঁটিতে পরিনত হয়। এখানে স্থাপিত হয় বড় একটি হাসপাতাল। এছাড়া কুমিল্লা ছিল যুদ্ধ-সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্র, বিমান ঘাঁটি, আর ১৯৪৪ সালে ইম্ফলে স্থানান্তরিত হবার আগে চতুর্দশ সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর। এই সমাধিক্ষেত্রের ৭৩৬টি কবর আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ হলেন সেসময়কার হাসপাতালের মৃত সৈনিকরা। তাছাড়াও যুদ্ধের পর বিভিন্ন স্থান থেকে কিছু লাশ স্থানান্তর করেও এখান সমাহিত করা হয়। বাহিনী অনুযায়ী এখানে এর মধ্যে রয়েছেন ৩জন নাবিক, ৫৬৭জন সৈনিক এবং ১৬৬জন বৈমানিক। সর্বমোট ৭২৩ জন নিহতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছিল। তাছাড়া কয়েকজন জাপানী সৈন্যের কবরও এখানে আছে। নীরব, শান্ত, টিলার উপর ধাপে ধাপে গড়ে উঠা এই সমাধিক্ষেত্রে সময় যেন থমকে আছে সেই পঞ্চাশের দশকে, সমাধির বিষাদমাখা এপিটাফগুলো মন উদাসী করে দেয়!
শ পাঁচেক টাকা খরচের মধ্যেই দিনে দিনে ঘুরে আসতে পারেন আরো কিছু লোকেশন। রাস্তায় অপর পারেই সিএনজি নিয়ে ভেতরে ঢুকলেই ময়নামতি, আনন্দ বিহার, শালবন বিহার ইত্যাদি।
ঢাকা কমলাপুর বা সায়েদাবাদ থেকে সারাদিনই বাস ছাড়ে। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্
ট নেমে হাতের বামে হাটা দূরুত্বে ওয়ার সিমেট্রি। আর ডানে সিএনজি নিয়ে ঘুরে আসেন বাকি লোকেশনগুলো।
Post Copied From:Apu Nazrul>Travelers of Bangladesh (ToB)