ক্যাম্পিং প্রেমিদের জন্য বেস্ট জায়গা মারায়াং তং

বন্ধুর কাছ থাকে শুনেছি আলীকদমে এক পাহাড় আছে, নাম তার মারায়াং তং। বড় কঠিন সে পাহাড়ের রাস্তা, একটানা দুই-আড়াই ঘণ্টা উঠতে হয়। সেখান থেকে নাকি হাত বাড়ালেই চাঁদ ছোঁয়া যায়। জ্যোৎস্নার আলোয় দূরের পাহাড় গোনা যায়—লিলুয়া বাতাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও কম্বল গায়ে ঘুরতে হয়! শুনেই আর তো সইছে না

অবশেষে জুনের ৮ তারিখ রাতে আমরা রউনা দিয়ে দেই আলিকাদম এর বাস এ বৃষ্টি হবে মনে করে রেইনকোট, ছাতা, পলিথিন নিয়ে নেই। সকাল বেলা বাস থাকে নামে ফ্রেশ হয়ে আমরা নাস্তা করি তারপর অটো তে করে আলির সুরঙ্গ ঘুরে এসে রউনা দেই মেরাইথং এর উদ্দেশে ক্যাম্পিং করবো তাই আমরা আবাসিক থাকে বাজার করে হাটা সুরু করলাম যেতে যেতে বৃষ্টি দেখা তারপরও আমরা আস্তে আস্তে হাটা সুরু করি বলে রাখা ভাল পুরটা রাস্তা উপরের দিকে উঠতে হবে সো কষ্ট হবে অনেক যত ধীরে উঠবেন ততই ভালো । আমরা বিরতি দিয়ে দুই ঘণ্টা সময় লাগছিলো।বিকাল চার টার দিকে আমরা মারায়াং তং সামিট করি করলাম। তারপর তাবু বসালাম এর মাঝেই মেঘে একবার ধেকে গেলো সে আক অপুরুপ দৃশ্য ।

রাতের খাবার শেষ করে আমরা শুয়ে পরি বলে রাখি চূড়ায় রাত যত বাড়তে থাকে ঠাণ্ডা তত বাড়তে থাকে তাই কিছুটা শীতের বা ভারি পোশাক নিয়ে যাওয়া ভাল। এভাবে একটি রাত ক্যাম্পিংকরে চলে আসি নামার সময় অনেক টা ইজি সমতলের দিকে নামতে হয় তাই সময় অনেক কম লাগে আমাদের লেগেছিল এক ঘণ্টা বিশ মিনিট।

নির্দেশনা
ঢাকা থেকে আলীকদম বাসস্ট্যান্ড ভাড়া পরবে ৮৫০ টাকা তারপর সেখান থেকে অটোতে দিয়ে আবাসিকে নেমে যাবেন, ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২০ টাকা করে। আবাসিকে নেমে ডান পাশের রাস্তাটা ধরে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আলীকদমের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মারায়াং তং। সেখানে খাবার ও পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, কাজেই শুকনো খাবার ও পানি সমতল থেকেই নিয়ে যেতে হবে।

## জায়গাটা এখন ভীষণ সুন্দর দয়া করে নোংরা করবেন না । ক্যাম্পিং করলে তার উচ্ছিষ্ট গুলো পলিথিন এ ভরে নিয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন ।

Source: Uzzal<Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment