খাগড়াছড়ি ভ্রমণ নামা

নিজ জেলা’র প্রতি ভালবাসা কখনো শেষ হবার নয় । ঘুরে বেড়িয়েছি জেলার বহু স্থানে । খাগড়াছড়িকে বলা হয় পাহাড়ের রাণী । ৮ উপজেলার সম্বনয়ে পুরো জেলা । পুরো জেলাটা কিন্তু পাহাড় নয় ,কোথাও সমতল ভূমিও আছে । যেমন-পানছড়ি.দিঘীনালা,মেরুন,বাবুছড়া এসব জায়গায় বেশ সমতল । যাহোক খাগড়াছড়ি জেলা এবং জেলার পাশেই বহু স্থান এখনো পর্যটকদের কাছে বেশ আর্কষণীয় । খাগড়াছড়ি শহর নিয়ে একটা ডক বানানো পরিকল্পনা অনেক দিনের,যারা কখনো খাগড়াছড়ি ভ্রমণ করেন নি তাদের কাছে,এই ডকুটা হয়তো সহযোগিতা করতে পারে ।
যে সব স্থানে বেড়াতে পারেন :

  • ১.অরণ্য কুটির,পানছড়ি রাবার ড্যাম-শহরের চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে বাস অথবা সিএনজি করে পানছড়ি শহরের কাছেই এসব জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন । রাস্তার পাশের সৌর্ন্দয্যটা আপনার কাছে বাড়তি পাওনা ।
  • ২.শহরের অদূরের পাহাড়ের উপর পুকুর যার নাম দেবতা পুকুর । শহর থেকে চাঁদের গাড়ি রির্জাভ করেই আপনি এখানে ঘুরে আসতে হবে । চাঁদের গাড়ি ভাড়াটা আগেই দরদাম করে নিতে হবে । শহরের শাপলা চত্বরে চাঁদের খোজ পাওয়া যাবে । আসার পথে জেলা পরিষদের হটি কালচার সেন্টারটা ঘুরে আসতে পারেন । জিরো মাইলের পাশেই এটা অবস্থান ।
  • ৩.আলুটিলা শহরে কাছেই রহস্যময়ী সুড়ঙ্গ । মশাল হাতে আপনি ১০ মিনিটের মধ্যে আপনি এই সুড়ঙ্গ দেখতে পারেন । সুড়ঙ্গের ভিতরে বেশ অন্ধকার মশাল ছাড়া কখনোই যাবে না । আলুটিলা সুড়ঙ্গের প্রবেশের মূল্য ৫ টাকা আর মশালের দাম ৫ টাকা । একটা কথা আলুটিলা পাহাড় থেকে পুরো শহরটাকে আপনি একটা লেন্সে ধরতে পারবেন ।
  • ৪.রিছাং ঝর্ণা রাস্তা থেকে হাঁটা’র দুরত্ব ২০ থেকে ৩০ মিনিটের হাঁটার পথ ।
  • ৫.শর্তবর্ষী বটগাছ মাটিরাঙ্গা উপজেলা’র ১০ নাম্বারে অবস্থিত । মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে ১৫ মিনিটে সময় লাগে মোটর সাইকেলে । ভাড়া ৩০-৪০ টাকা।
  • ৪.শিবছড়ি ঝর্ণা দিঘীনালা ট্রেক করে যেতে হবে ,সকালে রওনা হলে আসা-যাওয়ায় সারা দিনের পথ । দিঘীনালা বাস স্টেশনের পাশেই “দিঘীনালা গেষ্ট হাউসে আপনি থাকতে পারেন । দিঘীনালায় আরো আছে কাঠের তৈরি জুলন্ত সেতু । দিঘীনালা বনবিহার ।
  • ৫.”সাজেক ভ্যালী” অবস্থান যদিও রা্ঙ্গামাটি জেলায়,কিন্তু যাওয়ার সহজ পথ খাগড়াছড়ি অথবা দিঘীনালা থেকে । দিঘীনালায় রাতে অবস্থান করে সকালে মোটরসাইকেল বা চাঁদের গাড়ি করে রওনা হতে পারেন । মোটরসাইকেলের ভাড়া আসা-যাওয়া ১০০০-১২০০ টাকা আর চাঁদের গাড়ি’র ভাড়া ৪০০০ রুইলুই পাড়া পর্যন্ত ।
  • ৬.হাজাছড়া ঝর্ণা । দিঘীনালা থেকে ২০ মিনিটের গাড়ি’র পথ বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত । রাস্তা থেকেই এই ঝর্ণার দুরত্ব মাত্র ১০ মিনিটের হাটা পথ ।
  • ৭.শিজুক-১ ,শিজুক -২ ঝর্ণা বাঘাইছড়ি’র সাজেক ইউনিয়নের নন্দরামে এই সব ঝর্ণাদ্বয়ের অবস্থান । রাস্তা থেকে ৩- ৪ ঘন্টা ট্রেক করে পৌছানো যায় দিঘীনালা থেকে চাদের গাড়ি ৪০-৫০ মিনিটের পথ ।
  • ৮.নিঝুুমপুরী’র একাকি বসতি “জোস্না বাড়ি” । মাটিরাঙ্গা থেকে মোটর সাইকেল অথবা চাদেঁর গাড়িতে সময় লাগে ২০ মিনিট । পাহাড়ের উপর এই বাড়ি থেকে জ্যোস্না দর্শনটা ভাল লাগবে । আর বাগানের চারপাশে তাবু করেও থাকতে পারেন ।

কিছু প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার :

  • ১.চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি ভ্রমণযান: বিআরটিসি বাস(এসি)কদমতলী –বুকিং নাম্বার -০১৬৮২৩৮৫১২৫ ,সন্ধ্যা ৬ টার আগে ফোন করতে হবে ।
    সারা দিনে ৪ টি বাস চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি’র উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়-সময় সকাল ৭, সকাল ৮,৩০ দুপুর ২,১৫ বিকাল ৩.৪৫ একই সময় খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে বাস ছেড়ে আসে বুকিং নাম্বার -০১৫৫৭৪০২৫০৭ । এছাড়ার চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন থেকে শান্তি পরিবহনের ১ ঘন্টা পর পর গাড়ি পাওয়া যায় । চট্টগ্রাম বুকিং নাম্বার -০১৮১৭৭১৫৫৫২ শান্তি পরিবহনের নাইট কোর্স রাত ৮ টায় । বিআরটিসি ভাড়া ২০০ টাকা ,শান্তি পরিবহন ১৯০ টাকা
  • ২.ঢাকার ফকিরাপুল ,টিটি পাড়া ,কমলাপুর,সায়েদাবাদ ইত্যাদি জায়গায় থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ির বাস পাওয়া যায় । ভাড়া ৫২০ টাকা । বিআরটিসি এসি বাস ভাড়া ৬০০ টাকা এবং সেন্ট মার্টিন পরিবহনের এসি বাস পাওয়া যায় ভাড়া ৭০০ টাকা ।
  • ৩.’System Restaurant’ শহরের পানখাইয়া পাড়ায় অবস্থিত । এই হোটেলের খাবার বেশ মজা’র । পছন্দ হবে যে কারো । আগেই থেকেই বিশেষ কোন খাবারে বুকিংও দেয়া যাবে । মোবাইল নাম্বার ০১৫৫৬-৭৭৩৪৯৩ ( মং –সিষ্টেমের মালিক )

কিছু হোটেলের নাম্বার:

  • ১.ইকোছড়ি হোটেল-০১৮২৯-৮৭৪০১৪ (খাগড়াছড়ি সদর ) এসি রুম ২০০০,নন এসি ১২০০
  • ২.হোটেল গাইরিং -০১৫৫৩ ৬০৩৮৪১ (খাগড়াছড়ি সদর ) এসি রুম ১৫০০,নন এসি ৭০০
  • ৩.দিঘীনালা গেষ্ট হাউস -০১৮২৭ ৪৬৮৩৭৭ ডাবল ৭০০
Share:

Leave a Comment