গোলাপের গ্রাম সাভারের বিরুলিয়া

রাজধানীর মিরপুরের তুরাগ নদীর পাড় ঘেঁষে দ্বীপের মতো গড়ে উঠেছে একটি গ্রাম। যার নাম বিরুলিয়া। এই গ্রামের নামেই ইউনিয়নটির নামকরণ করা হয়েছে বিরুলিয়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটলে মনে হবে এ যেন গোলাপের রাজ্য। বাণিজ্যিক বা সখের বসেই হোক না কেন এ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই যেন গোলাপের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

প্রাচীন জনপদের নাম বিরুলিয়া। জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়ি, সঙ্গে প্রায় ১১টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত। ঢাকা শহরের কাছেই এমন একটি জায়গায় একবার ঘুরে আসতে পারেন। তুরাগ নদের পারে বিরুলিয়া আপনার মন কেড়ে নেবে আশা করি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরুলিয়ার মিরচিনি মুরালির খুব কদর। তাই তো সারা দেশের বিভিন্ন মেলায় সোনারগাঁয়ের পাশাপাশি বিরুলিয়ার এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। আর বিরুলিয়া বিখ্যাত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য। বিরুলিয়া গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে নদের পারে অবস্থিত ভাওয়াল রাজার জমিদারির একাংশ।জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়িটি। অসংখ্য গোলাপ বাগান রয়েছে।

সাভারের বিরুলিয়ায় গোলাপের বাগান

বিরুলিয়া ইউনিয়নের গ্রামবসীদের সঙ্গে কথা বলে জনা গেছে, ১৯৯০ সালে ঢাকার কয়েকজন যুবক অন্যের জমি লিজ নিয়ে এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু করেন। ফলন ভালো আর ওই যুবকদের সফলতা দেখে স্থানীয়রাও ধীরে ধীরে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ চাষ শুরু করে। খুব কম সময়ের মধ্যে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গ্রামটিতে।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫০ হেক্টর জমিতে গোলপের চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বিরুলিয়ার মোস্তাপাড়া, সামাইর ও শ্যামপুর এলাকায়। প্রায় দুই শতাধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে এ ফুলের চাষ করে আসছে। ফলন আর চাহিদা ভালো হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এ চাষির সংখ্যা।

যা যা দেখতে পাবেন
১/ সারি সারি গোলাপ বাগানে ফুটন্ত লাল গোলাপ।
২/ ভোমকা সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ারিং রেন্জ ।
৩/ জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য বাড়িটি।
৪/ তুরাগ নদীর ওপর দিয়ে নব নির্মিত বিরুলিয়া সেতু।
৫/ ঢাকার খুব কাছেই গ্রামের ছোয়া

যেভাবে যাবেন,

মিরপুর ১ নাম্বার মাজারের সামনেই কোনাবাড়ি বাস ষ্টান্ড, এখান থেকেই পাবেন বিরুলিয়া গামি বাস, ২০ মিনিট এর পথ , ভাড়া নিবে ২০ টাকা । নেমে যেতে পারেন বিরুলিয়া ব্রিজ এর গোরায়, অথবা ঐ বাস এ করেই বিরুলিয়া বাজার।

ব্রিজ এর গোরায় যদি নেমে যান, তাহলে নিয়ে নিন অটো রিকসা, রিজার্ভ নিয়ে নিবেন, ২০০ টাকার মত নিবে, ঐ অটো তে করেই ঘুরবেন সব খানে, অটো তে করেই ব্রিজ পার হয়ে চলে যাবেন ভোমকা সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র , মনে রাখবেন, অটো কিন্তু ছারবেন না,

ভোমকা ঘোরা হয়ে গেল ঐ অটো রিকশাতেই চলে যান গোলাপ বাগান।

অসংখ্য গোলাপ বাগান রয়েছে।
আপনারা চাইলে ফুল কিনে ও আনতে পারেন।
দাম ও কম, প্রতি পিছ ৩ / ৫ টাকা,

ভুলেও বাগানের ফুল নিজের হাতে ছিরবেন না।
তাহলে অপমানিত হবেন।
বাগান ঘোরা শেষ হলে বিরুলয়া বাজার থেকে মিরপুর গামী বাস অথবা সি এন জি নিয়ে চলে আসুন,

স্বল্প সময়ে কম খরচে বেরানোর ভাল একটি স্থান।

যাদের গাড়ি আছে, তারা গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, ছোট গাড়ি নিলে ভালো, গাড়ি নিয়েই ঘুরতে পারবেন পুরো গ্রাম,

চাইলে গুদারা ঘাট থেকে ট্রলারে করে ও যেতে পারেন,
বাইক নিয়ে ও যেতে পারেন। মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে আশুলিয়ার দিকে গেলে কিছু দূর পরেই হাতের বাম পাশে পরবে বিরুলিয়া ব্রিজ, ঐ ব্রিজ পার হয়ে একদম সোজা চলে যাবেন, একটা মোর পাবেন ৪ রাস্তার, হাতের বামের রাস্তা দিয়ে চলে যাবেন, কিছুদুর গেলে চোখে পরবে একটা বাজার, ফুলের পাইকারি বাজার, ডান পাশের রোড দিয়ে একদম সোজা চলে যাবেন, আর যাবার পথেই অনেক গোলাপ বাগান পরবে।

Source: Master Travelers 

Share:

Leave a Comment