ঘুরে আসুন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সমুদ্র-সৈকতের দ্বীপ দেশ ইন্দোনেশিয়া

বাংলাদেশ থেকে যে কয়টি দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যার ৮৫ ভাগই মুসলমান। শহরের মূল জানবাহন ট্যাক্সি, প্রাইভেট গাড়ী আর মোটর সাইকেল। তাই বলে বাস, টেম্পো, স্কুটার যে নেই তা নয়। তবে সংখ্যায় অল্প। শুধু জাকার্তায় নয় পুরো ইন্দোনেশিয়াতেই সাধারণ মানুষ নির্ভর করেন মোটর সাইকেলের ওপর। পাবলিক পরিবহন সংখ্যায় কম।
ইন্দোনেশিয়াতে খুব কম মানুষই ইংরেজী বোঝে । এই ভাষা সমস্যা আমরা সমগ্র ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। যে কোন দেশ ভ্রমণেই সেখানকার কিছু প্রাত্যহিক কথাবার্তা শিখে নেয়া খুব ভালো।

ইন্দোনেশিয়া সতের হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি দেশ। ফলে প্রত্যেক অঞ্চলেরই বা শহরেরই চারপাশে প্রচুর সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ। ফলে সৈকত, সৈকতকে ঘিয়ে নানা ধরণের
বিনোদন কর্মকাণ্ড, ওয়াটার রাইড, শপিংমল, বিলাসবহুল হোটেল, আন্তর্জাতিক রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আনচল সী বীচ সবচেয়ে বিখ্যাত। ভারত মহাসাগরের তীর ঘেঁষে এই বীচ। পাড় বাঁধাই করা। বাচ্চাদের জন্য আছে নানা রকম রাইড। কেবল কার। ওয়াটার স্পীড মোটরবাইক রেস। অনেকটা মহাসাগরের উচ্ছ্বলতাকে পোষ মানিয়ে এই বীচকে বিনোদন উপযোগী করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

জাকার্তা
আনচল সী বীচ সপরিবারে বেড়ানোর জন্য খুব ভালো জায়গা।
তবে গত কয়েক বছরে জাকার্তায় এসব কিছুর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে গড়ে উঠেছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। জাকার্তায় যে জায়গাগুলো দেখার মতো তার মধ্যে আছে জাকার্তার উত্তরে সিলিওয়াং নদীমুখের সবচেয়ে পুরানো বন্দর এলাকা সান্দু কেপালা, মারদুকা স্কায়ারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর মিউজিয়াম গাজাহ। সমগ্র ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহকৃত ১ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি শৈল্পিক নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়েছে এ জাদুঘরে। এছাড়া যারা ভ্রমনস্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে উৎসাহি তারা ম্যারিটাইম মিউজিয়াম, টেক্সটাইল মিউজিয়াম, ফাতাহিল্লাহ মিউজিয়াম এবং দ্য ওয়াইয়াং মিউজাম ঘুরে দেখতে পারেন। শহর ঘোরার এক ফাঁকে প্রেসিডিন্সিয়াল প্যালেসের সামনে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মনুমেন্ট মোনাস দেখে নেবেন। ১৩৭ মিটার উঁচু এই মনুমেন্টের চুড়ায় ৩৫ কেজি ওজনের সোনার তৈরি একটি শিখা আছে। লিফটে এর চূড়ায় উঠলে পুরো শহরটাকে দেখা য়ায়। শহরের ছবি তোলার জন্য দারুণ জায়গা। তামান মিনি না দেখলে তার জাকার্তা দর্শন অসম্পূর্ণ এ কথা সাহস করে বলা যায়।
‘তামান মিনি’এক কথায় মিনিয়েচার ইন্দোনেশিয়া, একটি সাংস্কৃতিক পার্ক। ইন্দোনেশিয়ার ৩০টি দ্বীপরাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্থাপত্য শৈলী, বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ির অনুরূপ মডেল বাড়ি আর তাদের জীবন যাপনের নানা ব্যবহার্য উপাদান দিয়ে এক অনবদ্য উপস্থাপনার নাম তামান মিনি।

প্রতি রবিবার সকালে এসব রাজ্যের প্যাভিলিয়নে তাদের ঐহিত্যবাহী গান, নৃত্যসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

শহরের দক্ষিণে অবস্থিত রাগুনান চিড়িয়াখানা। পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো এ চিড়িয়াখানা ১৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে ১৮৬৪ সালে তৈরি। অবশ্য দর্শনীয় এ চিড়িয়াখানায় ২৪০ ধরনের ও ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষিত আছে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

আরেকটি দারুন মজার জায়গা হচ্ছে জালান প্রামুকায় অবস্থিত একটি পাখির মার্কেট পাসার বুরাং। কত রকমের যে তাদের রং, আকার, ডাক, নানা কান্ড কারখানা সে বলে শেষ করা যাবে না। জাভাবাসীদের গর্ব অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়িকা পাখি পার্কুতুতও এখানে পাওয়া যায়। যারা পাখি ভালোবাসেন তারা কোনভাবেই এ মার্কেট একবার ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। নগরের ব্যস্ততা থেকে একটু দূরে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য পুলাউ সেরিবু বা থাউজেন্ড আয়ল্যান্ডের কোন তুলনা নেই। শহরের উত্তরে সুন্দা কেলাপা বন্দর থেকে ফেরি বা স্পীড বোট খুব সহজেই জাভা সমুদ্রের এই দ্বীপ অঞ্চলে যাওয়া যায়। প্রায় ১৪০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন আকর্ষন। আপনি চাইলে একটি আস্ত দ্বীপ ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করতে পারেন। হাজার হাজার নারকেল গাছের সারিবদ্ধ বিন্যাসের স্বর্গীয় সৌন্দর্য নিয়ে এই দ্বীপাঞ্চল সারা পৃথিবীর পর্যটকদের মন রঞ্জন করছে। স্কুভা ডাইভ, সার্ফিং, স্নোরকেলিংসহ হাজারো রকমের জলজক্রীড়া আয়োজনের শেষ নেই এখানে।

‘তামান মিনি’
আপনার পুরো তামান মিনি ঠিকভাবে ঘুরে দেখতে দুই/তিন দিন লেগে যাওয়ার কথা। পুরো এলাকা ভালো করে ঘুরে দেখার জন্য আছে রেলগাড়ি। অন্তত তিরিশ ফুট উপর দিয়ে চলে গেছে ফ্লাই ওভার
রেললাইন। এই রেলগাড়ি পুরো তামান মিনি ঘিরে চক্রাকারে ঘুরে বেড়ায়। পর্যটকদের জন্য আছে দৃষ্টি-নন্দন বাস। ভারায় সাইকেল পাওয়া যায়। একসাথে দুই জন, তিন জন, এমনকি চার জন চালাতে পারে এমন
সাইকেলও আছে। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে চাইলে ট্রলিও ভাড়া পাওয়া যায়। আর রাতে তামান মিনি জুড়ে দেখা যায় নয়নভিরাম আলোকসজ্জ্বা। এই মিনিয়েচার ইন্দোনেশিয়া অন্ধকার মহাকাশে জ্বলন্ত নক্ষত্রবিথীকার মতো উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।

বালি দ্বীপ
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান আকর্ষণ বালি দ্বীপ। ইন্দোনেশিয়ার বালি ভ্রমণে প্রধান আট থেকে দশটি স্পট ঘুরে দেখার মতো রয়েছে, যা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এই স্পট গুলোতে দেখার জন্য রয়েছে অনেক কিছু।
পর্যটন শহর বালি দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের স্বাগত জানাতে আন্তরিক। পর্যটন শিল্পকে প্রাধান্য দিয়েই শহরটি গড়ে উঠেছে। পর্যটকদের অগ্রাধিকার এখানে সব কিছুতে। বসবাসের হোটেল এলাকায় কোনো বাণিজ্যিক দোকান পর্যন্ত নেই। বালি দ্বীপ ভ্রমণের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। পৃথিবীর বহু দেশ থেকে ভ্রমণপিপাসুরা আসেন বালি দ্বীপের প্রাকৃতিক রূপে নিজেদের সিক্ত করতে।হোটেলে বসেই হবে সূর্যস্নান, সমুদ্র দর্শন এবং সৈকতের অন্যরকম আনন্দ। সেখানে দেখা যাবে আদিবাসীদের জীবন-যাপন, জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। দ্বীপে আছে স্পা’র বিশেষ ব্যবস্থা।

বালিতে কী দেখবেন চলুন জেনে নেই:
উবুদ:
উবুদ বালির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত। এটি এমন একটি জায়গা যা মিস করার নয়। কী নেই সেখানে। নির্মল প্রকৃতি, ভিন মানুষের বর্ণিল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বিশ্বখ্যাত ও মনোমুগ্ধকর মন্দির, জাদুঘর ইত্যাদি।
অজস্র ফুলের বাগান ও পার্ক তো সেখানকার সৌন্দর্যের বিশেষ অংশ। আশপাশে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে বাইকের ব্যবস্থা। এখানকার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ উত্তাল সামুদ্রিক ঢেউয়ের ওপর সার্ফিং করা। ইয়োগা ও মেডিটেশনের মাধ্যমে রিল্যাক্সেশনের সুব্যবস্থাও রয়েছে। এ সবের বাইরে উপভোগের জন্য রয়েছে নানা শিল্পকর্ম ও নাটকের প্রদর্শনী। শপিংয়ের জন্যও জায়গাটি উপযুক্ত বটে।

কুতা সৈকত:
কুতা সামুদ্রিক সৈকত হলো বালির সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত। প্রকৃত তথ্য হলো, কুতা ও তার সমকক্ষ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন সৈকতের কারণেই বালি পৃথিবীখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পার্টি আয়োজনের জন্য
কুতার খ্যাতি একটু আলাদাভাবে হলেও রয়েছে। প্রত্যেকের সামর্থের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যবস্থা। রয়েছে হার্ড রক ক্যাফে ও পাব। আপনাকে কেবল বেছে নিতে হবে আপনার চাহিদা উপযোগী পার্টি।

নুসা দুয়া সৈকত:
ভ্রমণের বাজেট যদি একটু বেশি হয়ে থাকে তাহলে নুসা দুয়া সৈকতের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারেন। সেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে নীরব, নিঝুম একেবারে আদিম এক প্রকৃতি। হোটেলে বসেই আপনি মন ভরে সূর্য ও সমুদ্রস্নান দুটোই সারতে পারবেন। এই সৈকত মধুচন্দ্রীমার জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে বিবেচিত হয়।

কিন্তামানি মাউন্ট বাতুর:
জায়গাটি বালির পূর্বে অবস্থিত। ১৭০০ মিটার উঁচু এই পর্বতে একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি দেখার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে ব্যাতিক্রম। অনেকে এই উচ্চতা থেকে সূর্যোদয়ও দেখেন। এখান থেকে চারদিকের দৃশ্য এতটাই সুন্দর যে আপনি বিমোহিত হবেন এ কথা বলা যায়। এ ছাড়াও আপনি চাইলে পুলিনা ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে কফি প্লান্টেশন কেন্দ্র রয়েছে। কীভাবে কফি তৈরি হয় দেখে আসতে পারেন নিজ চোখে।

উলুয়াতু টেম্পল:
এটা হলো সমুদ্রের বুকে খাড়া উঁচু অথচ ঝুকে পরা একটি পাহাড়। আর তার উপর স্থাপিত একটি মন্দির। মন্দিরটি বুকিট উপদ্বীপে পাহাড়ের ৭০ মিটার উপরে অবস্থিত। এর পাশে রয়েছে বালির কিছু বিখ্যাত
সৈকত ও দরুণ সার্ফিং স্পট। স্থাপত্য নিদর্শনটি সেই এগারো শতক থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্বমহিমায়। তার আশপাশে একটুখানি বেশি উচ্চতায় আরোহণ করতে পারলে মন্দির গৃহের উপর অসাধারণ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন, এ দৃশ্য ভোলার নয়।

পুরা উলুন দানু ব্রাতা:
এটিও একটি মন্দির। যাকে স্থানীয়ভাবে ‘লেক টেম্পল’ বলা হয়ে থাকে। লেকের একেবারে কিনারে অবস্থিত। সুনিপুণ গঠনশৈলীর এই মন্দিরের প্রকৃত সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে লেকের শান্ত স্বচ্ছ জলের বুকে।
যা দেখার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা অধির আগ্রহে সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করে।

লোভিনা:
ডলফিন দেখার জন্য লোভিনা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো স্থানগুলোর একটি। সেখানে ডলফিন দেখার জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের নৌকার ব্যবস্থা। আপনার ভ্রমণ তালিকায় লোভিনা যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে থাকলে রওনা করতে হবে একেবারে ভোরে। এর চেয়ে অধিক স্মরণীয় স্মৃতি আর কিছুই হবে না, যখন দেখবেন ঝাকে ঝাকে ডলফিন আপনার সামনে লাফালাফি করছে ও সাঁতার কাটছে।

পুরা তানাহ্ লোট:
রাজসিক প্রস্তরশৈলী, যা প্রকৃতপক্ষে তীর্থযাত্রীদের জন্য পবিত্রতম একটি জায়গা। এটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো মন্দিরের নির্মল ও শান্ত পরিবেশ। অধিকন্তু একে নিয়ে রয়েছে নানা কল্পকথা। আপনি অবশ্যই ভাটার সময় সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। তাহলে হেঁটে ভালোভাবে সবকিছু দেখতে পাবেন।

খাবেন কোথায়
ইনোদনেশিয়ার বিখ্যাত খাবার ‘নাসি গোরেং’। ফ্রাইড রাইস, চিকেন আর ডিম ভাজি মিলেমিশে এক দারুণ উপাদেয় খাবার। সাথে থাকে দুই তিন ধরনের চিপস ও পাপড় ভাজা। নানা মানের রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি যারা স্ট্রীট ফুড পছন্দ করেন জাকার্তা তাদের জন্য খুব ভালো স্থান হতে পারে। বেশ পরিচ্ছন এই সব স্ট্রীট রেস্টুরেন্ট।

চাকরিজীবী, ছাত্র, তরুন, বৃদ্ধ সব ধরনের মানুষরাই এসব রেস্তোরায় বসে সান্ধ্যকালীন সময় কাটান, গল্প করেন, খাবার খান। কেউ কেউ সামান্য বখশীষের আশায় পুরো পরিবেশে এক অনবদ্য মাত্রা যোগ করে গীটায় বাজিয়ে গান গান। চাইলে কিছু বখশীষ দিয়ে গীটায় বাজিয়ে গান শুনতে পারেন।

থাকবেন কোথায়
সেন্ট্রাল জাকার্তায় মাঝারি মানের হোটেলে মধ্যে হোটেল সিপ্টা, ইবিস, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ভাড়া রাত প্রতি ৫ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে। আরো উন্নতমানের হোটেলের মধ্যে আছে গ্র্যান্ড হায়াত,
আরিয়াদুতা হোটেল, বরোবুদুর, সাংরি লা, গ্র্যান মালিয়া, শেরাটন, গোল্ডেন বুটিক, সারি প্যান প্যাসিফিক হোটেলসহ আরো অনেক পাঁচ তারকা মানের হোটেল। এগুলোর ভাড়া রাত প্রতি ষোল হাজার টাকা থেকে শুরু।

কেনাকাটা
অজস্র দারুন দারুন শপিংমল সারা শহর জুড়ে বিস্তৃত। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এসব শপিংমল সর্বত্র ছড়ানো। তবে অল্পদামে কেনাকাটা করার জন্য জালান সুরাবায়াসহ আইটিসির (্ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার) অনেকগুলো শপিংমল আছে, এখানে আছে ১০ হাজারেরও বেশি দোকান, এছাড়া মল আংগ্রেক, ডাব্লুটিসি মাঙ্গাডুয়া, মল গুনুং আগুং, সানায়ান সেন্টার, সানায়ান সিটি, মল পুরী ইনডাহ ইত্যাদি। আছে কম্পিউটার ও ইলেট্রিক জিনিসপত্রের আলাদা বিশাল মার্কেট।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে জাকার্তায় সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই। সিঙ্গাপুর হয়ে কানেক্টিং ফ্লাইট ধরে আসতে হয়। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর আসতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। আর সিঙাপুর থেকে জাকার্তায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ফ্লাইট। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সই অধিকাংশরা বেছে নেন। তবে টাইগার এয়ারওয়েজে কম খরচ পড়ে।

Source: Trip Bangladesh

Share:

Leave a Comment