ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ, বারিক্কাটিল্লা, জাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান এবং শহীদ সিরাজি লেক
সিলেট বিভাগের অসাধারণ সুন্দর এই জেলায় ঘুরতে যাওয়ার এখন মৌসুম না।
একেতো হাওরে পানি কম। বেশিরভাগ অংশ শুকিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ হয়ে আছে। যেদিকে তাকাবেন ধান ক্ষেত আর খোলা মাঠ।
অন্যদিকে শিমুল বাগানে ফুল তুলা কিছুই নেই।
সুনামগঞ্জে বাস থেকে নেমে কমপক্ষে হলেও ১৫০-২০০ কি.মি. বাইকে রাউন্ড ট্রিপ দিতে হবে।বাইক ছাড়া এখন চলাচলের আর উপায় নেই।
প্রথম দিনে আমরা তাহেরপুরের শিমুল বাগানে চলে যাই। এই সিজনে ফুল না থাকলেও রাজকীয় গাছগুলো আপনার বিশেষ নজর কাড়বে।
বারিক্কা টিলা বা বারিক টিলাতে যাই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলটির এতটাই চমৎকার যা টাইপ করে বোঝানোর ক্ষমতা হয়ত কারই নেই।
এর পর চলে যাই নিলাদ্রীতে। যদিও আলোর স্বল্পতার কারণে ছবি-ভিডিও নিতে পারিনি আমরা।
এর পর বাধাঘাট ইউনিয়নের একটি খালের সামনে ভেড়ানো নৌকায় বসে জোৎসনা বিলাশ করি সবাই।
দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গুয়ার হাওরের দিকে চলে যাই। বাইকে বসে প্রায় দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কম পানি থাকলেও দূর থেকে হাজারো বক উড়ে যেতে দেখিছি আমরা।
নোট
ঢাকা-সুনামগঞ্জ শ্যামলি নন এসি সাড়ে ৫০০ টাকা।
বাইক ভাড়া মৌসুমের উপর নির্ভর করে।
বর্ষায় হাওরের মজা নিতে পারবরন।
জানুয়ারি ফ্রেবুয়ারিতে শিমুল বাগানের আসল সময়টা উপভোগ করতে পারবেন।৷
#বিঃদ্রঃ এই দেশ ও পরিবেশ আমাদের, তাই এই অপরূপ স্থানগুলোর সৌন্দর্য্য ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই দয়া করে, পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করবেন না।
তাই ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে পানির বোতল, পলিথিন ফেলবেন না। নিজে সচেতন হোন এবং প্রয়োজনে অন্যকে সচেতন করুন।
source: