চট্টগ্রাম ভ্রমণ সহায়িকা ২০১৫
ভূমিকা:
বাংলাদেশের ২য় গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্ট্রগ্রাম। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরে অবদানও কম নয়। পাহাড়, নদী, সৈকত, লেক, খাবার সব কিছু মিলে চট্টগ্রাম অনেক ট্যুরিস্টের কাছেই একটি আকর্ষণীয় জায়গা। প্রতি বছর অনেক ট্যুরিস্ট আসে চট্টগ্রামে। শীতের সময় এ সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশী থাকে। বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রামে রয়েছে অনেক গুলো ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গাও। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর দেশের বিখ্যাত বেশ কিছু পর্যটন শহরের ট্রানজিট হিসেবে কাজ করে। এগুলো হচ্ছে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাংগামাটি, কক্সবাজার।
কিভাবে যাবেন:
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর হবার কারণে দেশের অনেক গুলো শহরের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক ও রেলপথে সংযুক্ত। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় প্রতি ৩০ মিনিট পর পর গাড়ী ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।
বাস:
নন এসি: ইউনিক, শ্যামলী, ইগল, সৈাদিয়া, এস আলম, টি আর, রিল্যাক্স, হানিফ। প্রায় সব নন এসি গাড়ী ছাড়ে সায়েদাবাদ থেকে। ভাড়া ৪৮০ টাকা। টিকেট কেনা যাবে কলাবাগান, ফকিরাপুল এবং আরামবাগ থেকে। এছাড়া অনলাইনে সহজ.কম থেকেও কিনতে পারেন। নন এসি গুলোর মধ্যে ইউনিক বেশ ভালো (নিরাপদ চালানো ও সিট হিসেবে)
এসি বাস: দেশের সেরা এসি বাসগুলো চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। দেশ ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, রিল্যাক্স পরিবহন, গ্রীনলাইন, সোহাগ পরিবহন, সেন্ট মার্টিন পরিবহন ইত্যাদী। ভাড়া ইকোনমি ক্লাস ৯০০ এবং বিজনেস ক্লাস ১২৫০ টাকা।
ট্রেন: ঢাকা চট্টগ্রামের মধ্যে বেশ কিছু ভালো ট্রেন চলাচল করে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলী, তূর্ণা নীশিথা ও চট্টগ্রাম মেইল। এর মধ্যে তূর্ণা ও মেইল চলে রাতে, বাকীগুলো দিনের বেলায়। ভাড়া ও বিস্তারিত রেলওয়ে ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.railway.gov.bd বলে রাখা ভালো চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকেটের সব সময় সংকট থাকে, ট্রেনে যাবার ইচ্ছা থাকলে অন্তত ৫ দিন আগেই টিকেট কেটে নিবেন।
বিমান: ঢাকা-চট্টগ্রাম অনেকগুলো বিমান চলাচল করে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান, নভো এয়ার, ইউএসবাংলা, ইউনাইটেড, রিজেন্ট। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিমান চলাচল করে। ভাড়া ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)।
কোথায় থাকবেন:
অন্যান্য শহরের তুলনায় চট্টগ্রাম শহর একটু বেশী এক্সপেনসিভ। শহরের জিইসি মোড়ের আসে পাশে অনেকগুলো ভালো হোটেল আছে, কিন্তু এগুলোতে খরচ পড়বে ২.০০০-৬,০০০০ টাকা। যেমন: হোটেল লর্ডস ইন (৪,০০০ টাকা), গ্র্যান্ড পার্ক (২,৫০০ টাকা), এম্বেসেডর রেসিডেন্সি (২,০০০ টাকা), ওয়েল পার্ক (৫,০০০ টাকা)।
কম খরচে থাকলে যেতে হবে ইস্টিশন রোড। সেখানে হোটেল প্যারামাউন্ট (৮০০-১,৪০০) টাকা, এশিয়ান আর এস হোটেল, গোল্ডেন ইন সহ অনেক হোটেল।
- কি কি দেখবেন:
- অনেক বড় লিস্ট। চট্টগ্রাম শহরে ও আসে পাশে দেখার অনেক জায়গা রয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু দেয়া হল:
- পতেংগা বীচ
- নেভাল ড্রাইভ
- সিআরভি
- কাট্টলি বীচ
- ফয়েজ লেক
- বায়েজীদ বোস্তামির মাজার
- অভয়মিত্র ঘাট
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- পার্কি বীচ
- বার আউলিয়ার মাজার
- খৈয়াছড়া, নাপিত্তছড়া, সহ অনেক ঝর্ণা
- সীতাকুন্ডে ইকো পার্ক
- কাপ্তাই (জুম রেস্তরা)
- ভাটিয়ারি
- বাশখালী ইকো পার্ক
- কুতুবদিয়া