চন্দ্রনাথ পাহাড়, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্ক, গুলিয়াখালি সী বিচ ভ্রমণ বিতান্ত
একদিনের জন্য এটা বেস্ট ট্যুর। কারণ একদিনেই আপনি পাহাড়,ঝরণা ও সমুদ্র এই তিনটার সাথেই আলিঙ্গন করতে পারবেন।
#চন্দ্রনাথ পাহাড়
হাজার কদম হাটার পর যখন চূড়ায় উঠে চারপাশে চোখ বুলাবেন দেখবেন আপনার ঝরে যাওয়া ঘামগুলো এতেই স্বার্থক।
#ইকোপার্ক
ঝরনার কলকল ধ্বনি বরাবরই ভেতরে এক তরঙ্গ সৃষ্টি করে দেয়। ইকোপার্কের ভেতরে হাটার পথে এবং ঝরনা আমাদের মনে সেই তরঙ্গই সৃষ্টি করেছিল।
#গুলিয়াখালী বীচ
এ বীচ অন্য সব বীচ থেকে আলাদা। অন্য বীচ বালুতে মাখানো থাকলেও এ বীচ দূর্বাঘাস আর বাহারি আকৃতির গাছ বীচকে সৌন্দর্য্যের এক মহিয়ানতা দিয়েছে।
যাতায়াতঃ
মেইল ট্রেনে রাত ১০:৩০ এ উঠে পড়ুন। সকাল ৭ টায় সীতাকুণ্ড বাজার। হালাকা নাস্তা সেরে … অতিরিক্ত পানি নিয়ে চলে যান পাহারের উদ্দেশে। বাজার থেকে সিনজি, জন প্রতি ২০ টাকা। নিচ থেকে বাশ কিনে নিন, ১০ টাকা। বাশ এর উপকারিতা উঠার সময়ই বুঝবেন। পাহাড়ের চলা শুরু করার পর কিছু দূর যেতেই একটা ঝর্না পাবেন। এখান থেকেই আপনার যাত্রা শুরু।
এখানে ২টা রাস্তা বাম এবং ডান। বাম দিকের টা উঠার জন্য আর ডান এর টা নামার জন্য ভাল (কষ্ট কম হবে আর কি)। ১ ঘণ্টা ১০/১৫ মিনিটে পৌছে যাবেন শীর্ষে। এখানে আপনার মন মত সময় কাটিয়ে নেমে আসুন।(তবে দুপুর হবার আগেই নেমে পড়লে ভালো।সূর্যের প্রখর তাপটা আর সহ্য করতে হবেনা) সিনজি করে চলে আসুন সীতাকুণ্ড বাজারে।ভারি খারাব খেয়ে নিন।
এবার গন্তব্য ঝর্না। বাজার থেকে বাস জন প্রতি ১০ টাকা সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক। মেইন রোড থেকে হাটা দিন। ১০ মিনিট এর মধ্যে মেইন গেট।(আমরা বাজার থেকে অটো রিজার্ভ নিয়েছিলাম ৮০ টাকা)। ইকো পার্ক এর এন্ট্রি ৩০ টাকা জন। একটাই পিচ ঢালা রাস্তা, হাটা দিন। গেইট থেকে ঝর্নার দুরুত্ত ১.১ কিলো। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চলে আসবেন, কিছুক্ষন পর দেখবেন ডান দিকে সিঁড়ি পাহাড়ের নিচে যাবার। নামুন (অনেক খাড়া সিঁড়ি, সতর্ক ভাবে নামুন)। পথের বাম পাশ দিয়ে চলুন। কান পাতুন, ঝরনার শব্দ শুনতে পাবেন। কিছু দূর যাবার পরি দেখা মিলবে অপরূপ সৌন্দর্য্যের সুপ্তধারা ঝর্নার। এটি জেগে উঠে বর্ষায়।ঝর্না দেখা শেষে মেইন রোড থেকে বাসে করে চলে আসুন বাজারে।
এবার আসা যাক গুলিয়াখালি নিয়ে কিছু কথা বলা। এখানে বিকালে যাওয়াটাই ভাল। বিকাল ভাঁটা এর সময়। জোয়ারে এ গেলে দেখবেন সুন্দর গাছ গুলো পানির তলে।
তাই বিকালে বাজার থেকে সিনজি করে চলে আসুন বীচের দিকে। জন প্রতি ৩০ টাকা।
সময় বিবেচনাঃ
১২টা পর্যন্ত থাকুন পাহারে। ৪টা পর্যন্ত ঝর্নার সাথে সময় কাটান। ৬টা পর্যন্ত বিচে।
৫-৬ জনের গুরুপ করে গেলে সিনজি নিতে ভাল হবে। আমাদের বার বার রিজার্ভ করতে হয়েছিল।
ঢাকা আসার সময় এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা বাস এ করে চলে আসলে ভাল হবে। বাজার থেকে ঢাকার বাস এভেইলএভল
সসতর্কীকরণঃ পাহারে উঠার সময় পানির বোতল গুলা সিঁড়ি এর আশে পাশে ফেলবেন নাহ।মন্দিরের দেয়ালে আকা আকি করবেন নাহ।বীচের পানিতে কোন প্রকার ময়লা ফেলবেন না। যেখানেই যান পরিবেশ পরিষ্কার রাখবেন।