চন্দ্রনাথ পাহাড় সুপ্তধারা ঝর্না গুলিয়াখালি সী বিচ
বর্তমানে চন্দ্রনাথ পাহাড় হচ্ছে আলোচিত বিষয় এর শীর্ষে।
সবাই একদিনের টুর হিসেবে চন্দ্রনাথ+গুলিয়াখালি+মহামায়া এ কায়াকিং এর দিকেই যাচ্ছে
আমার আগে কায়াকিং করা হয়েছে…তাই এবার আমি মহামায়া নাহ গিয়ে টুর প্লেন করলাম একটু অন্য ভাবে
চন্দ্রনাথ পাহাড়+সুপ্তধারা ঝর্না+গুলিয়াখালি
বলে রাখি, একদিনের জন্য এটা কষ্টের…একটু সময় বিবেচনা করলেই করা যায়।
তাহলে শুর করা যাক … …
মেইল ট্রেন ই আমাদের ভরশা, চিটাগং মেইল, ভারা ১১০ করে …৭ টায় সীতাকুণ্ড বাজার। হালাকা নাস্তা সেরে … অতিরিক্ত পানি নিয়ে চলে যান পাহারের উদ্দেশে। বাজার থেকে সিনজি, জন প্রতি ২০ টাকা। নিচ থেকে বাশ কিনে নিন, ১০ টাকা। বাশ এর উপকারিতা উঠার সময়ই বুঝবেন। পাহাড়ের চলা শুরু করার পর কিছু দূর যেতেই একটা ঝর্না পাবেন। এখান থেকেই আপনার যাত্রা শুরু। এখানে ২টা রাস্তা বাম এবং ডান। বাম দিকের টা উঠার জন্য আর ডান এর টা নামার জন্য ভাল (কষ্ট কম হবে আর কি)। আমরা ৩জন ছিলাম (তাল পাতার সেপাই) ১ ঘণ্টা ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মন্দিরে। এত কষ্টের পর শীর্ষে যাবার পর যা দেখবেন তা এক কথায় অসাধারন। এখানে আপনার মন মত সময় কাটিয়ে নেমে আসুন। সিনজি করে চলে আসুন সীতাকুণ্ড বাজারে।
ভারি খারাব খেয়ে নিন।
এবার গন্তব্য ঝর্না। বাজার থেকে বাস জন প্রতি ১০ টাকা সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক। মেইন রোড থেকে হাটা দিন। ১০ মিনিট এর মধ্যে মেইন গেট। ইকো পার্ক এর এন্ট্রি ২০ টাকা জন। একটাই পিচ ঢালা রাস্তা, হাটা দিন। গেইট থেকে ঝর্নার দুরুত্ত ১.১ কিলো। প্রকিতির সুন্দরজ দেখতে দেখতে চলে আসবেন, (রাস্তা বাম দিকে বাক নিয়েছে) একটি দোকানের কাছে। এখান থেকে ডান দিকে সিঁড়ি পাহাড়ের নিচে যাবার সিঁড়ি। নামুন (অনেক খাড়া সিঁড়ি, সতর্ক ভাবে নামুন)। সিঁড়ি শেষে ঝিরি পথ। পথের বাম পাশ দিয়ে চলুন। কান পাতুন, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন। কিছু দূর যাবার পরি দেখা মিলবে অপরূপ সুন্দরযের সুপ্তধারা ঝর্নার। এটি জেগে উঠে বর্ষায়। এতো কষ্টের ফল বিফলে যায় নি। টাণ্ডা পানিতে সব ধুয়ে গেছে।
মেইন রোড থেকে বাসে করে চলে আসুন বাজারে। নাস্তা করে নিন।
এবার আসা যাক গুলিয়াখালি নিয়ে কিছু কথা বলা। এখানে বিকালে যাওয়াটাই ভাল। বিকাল ভাঁটা এর সময়। জোয়ারে এ গেলে দেখবেন সুন্দর গাছ গুলো পানির তলে।
তাই বিকালে বাজার থেকে সিনজি করে চলে আসুন বিচের দিকে। জন প্রতি ৩০ টাকা। এখান থেকে আবারো হাটা দিন। সমুদ্রের শীতল বাতাসে হাটতে কষ্ট হবে না বলাই বাহুল্য। আর গুলিয়াখালি সী বিচ নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। ইতি মধ্যে সবাই জানে এর সুন্দরয এর কথা। বাজারে চলে আসুন বিচে একটু দাপাদাপি করে।
সকল ঘুরাঘুরি শেষ। এবার নীড়ে ফিরার পালা।
সময় বিবেচনাঃ
১২টা পর্যন্ত থাকুন পাহারে। ৪টা পর্যন্ত ঝর্নার সাথে সময় কাটান। ৬টা পর্যন্ত বিচে।
৫-৬ জনের গুরুপ করে গেলে সিনজি নিতে ভাল হবে। আমাদের বার বার রিজার্ভ করতে হয়েছিল।
খরচঃ
(মেইল) কমলাপুর থেকে ট্রেন ১১০
সীতাকুণ্ড বাজার থেকে পাহাড় ২০
পাহাড় থেকে বাজার ২০
বাজার থেকে ইকো পার্ক মেইন রোড ১০
পার্কে এন্ট্রি ২০
পার্ক থেকে বাজার ১০
বাজার থেকে গুলিয়াখালি ৩০
গুলিয়াখালি থেকে বাজার ৩০
বাজার থেকে বাসে চিটাগং ৩০
(মেইল) চিটাগং থেকে ট্রেন কমলাপুর ১২৫
(জনপ্রতি ভাড়া) মোট ৪০৫
খাওয়া দাওয়া আপনার উপর। এখানে শুধু যাতায়েত খরচ।
*****ঢাকা আসার সময় এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা বাস এ করে চলে আসলে ভাল হবে। মেইল এ মেলা কষ্ট।
সর্বশেষঃ আসছেন আপনি প্রকিতি দেখতে, নষ্ট করতে নাহ। পাহারে উঠার সময় পানির বতল গুলে সিঁড়ি এর আশে পাশে ফেলবেন নাহ। আকা আকি করবেন নাহ। মন্দিরে উঠে চিল্লা পাল্লা করবেন নাহ। যেখানেই যান পরিবেশ পরিষ্কার রাখবেন।