চরভৈরবী নদীর পাড় চাঁদপুর যেভাবে যাবেন

যেভাবে যাবেন-ঢাকা লালকুঠি ঘাট থেকে চরভৈরবী গামী লঞ্চে উঠে চরভৈরবী ঘাট(শেষ ঘাট) এ নামলেই হবে।ডেক ভাড়া ১৫০ টাকা।চাইলে কেবিনও নিতে পারেন।সেক্ষেত্রে কেবিন ভেদে ৫০০-১০০০ টাকা লাগবে।আর চাঁদপুর থেকে যারা যেতে চান তাদের ডেক ভাড়া ৫০ টাকা লাগবে।

✵চাইলে লঞ্চেই দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন! কিংবা চরভৈরবী নেমে মেঘনা নদীর পাড়ে লঞ্চ ঘাট এলাকায় অনেক ফুসকা; চটপটি ও খাবারের দোকান আছে।এছাড়াও রয়েছে খাঁটি দুধের মালাই চা!

✵চরভৈরবী থেকে ইলিশ সহ নদীর তাজা মাছও চাইলে কিনতে পারেন।বর্ষাকালে আড়ৎ এর কাযর্ক্রম দেখতে বেশি পাওয়া যায়।সব মিলিয়ে মেঘনা পাড়ের সহজ-সরল জনজীবন ও প্রকৃতি দুটোই আপনাকে মুগ্ধ করবে।

✵প্রতিদিন সকাল ৯ টা ১০ মিনিট এ ঢাকা থেকে চরভৈরবীগামী লঞ্চটি ছেড়ে যায়।মাঝে চাঁদপুরে বেলা ১২ টা ৪০ মিনিট এ ঘাট দেয়।চরভৈরবী (শেষ ঘাট) দেয় দুপুর ৩ টার একটু আগেই। আবার সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে একি লঞ্চটি সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।সব মিলিয়ে পুরো ১ দিনের ভ্রমণ।

✵অনেকে জানতে চেয়েছেন রাতে যাওয়া যায় কিনা?হ্যা রাতে যায়।রাতে দুটি লঞ্চ রয়েছে। রাত ১১ টায় এবং ১১ টা ৩০ এ ঢাকা থেকে চরভৈরবীগামী লঞ্চ লালকুঠি ঘাট হতে পাবেন।সেক্ষেত্রে ভোর বেলায় আপনি চরভৈরবী নামতে পারবেন। আর ঘুরার জন্য অনেক সময়ও হাতে পাবেন।নদীর মধ্যে কিছু চর এলাকাও ঘুরতে পারবেন ট্রলার দিয়ে যেয়ে।নেমে স্থানীয় হোটেলে নাস্তা করে ট্রলার ঘাট এ চলে আসুন। ট্রলার গুলো সকাল ৮ টার পর লঞ্চ ঘাটের একটু পাশ থেকে ছেড়ে যায়। স্থানীয় দের জিজ্ঞাসা করলেই হবে যে চরে যাওয়ার লোকাল ট্রলার কোথা থেকে ছাড়ে।তারা দেখিয়ে দিবেন। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ এর মতো। মনে রাখবেন চর থেকে ফেরার ট্রলার এর সময়সূচি ও স্থান আগেই জেনে নিবেন। দুপুর ২ টার একটু পর ফিরতি ট্রলার পাবেন। চাইলে আপনি এরপর সিএনজিতে করে চাঁদপুর ঘাট এ চলে এসে চাঁদপুরের লঞ্চেও ঢাকা ব্যাক করতে পারেন। বিকেল ৫ টা সন্ধ্যা, ৬ টা আর সন্ধ্যায় ৭ টায় শেষ লঞ্চটি পাবেন। যা আপনাকে যথাক্রমে রাত ৮ টা, ৯ টা আর ১০ টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছে দিবে।

Share:

Leave a Comment