চাঁদপুর ট্যুর
ট্রাভেলস group দেখে আইডিয়া নিয়ে প্লান করলাম চাঁদপুর ট্যুর এবার দিয়েই ফেলবো ।অনেক বার নানান কারনে যাওয়া হয়নি ।যাই হোক , প্রথমে ঢাকা সদরঘাট আসতে হবে ।সদর ঘাট এসে লালকুঠির টার্মিনাল এ চলে আসতে হবে ।সেখানে ৫ টাকা করে প্রবেশ টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে । প্রতি ৩০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছাড়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ।লঞ্চ ঠিক সময়ে ছাড়ে ।
১ মিনিট ও লেট করলে মিস হয়ে যাবে ।এই বিষয় টা সত্যই খুব ভালো লেগেছে । লঞ্চের ভিতরে চেয়ারে যেতে চাইলে প্রথমে টিকিট কেটে নেওয়া ভালো ।নাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর টিকিট পাওয়া যায় না।আমরা টিকিট না পেয়ে ডেকে বসে পড়লাম ।ডেকের ভাড়া ১০০ করে। ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট লঞ্চের দারুন হাওয়া খেতে খেতে কেটে গেলো আর আমরা চাঁদপুর পৌছে গেলাম ।লঞ্চ থেকে নেমে একটি খাবারের হোটেল চোখে পড়লো ।নাম ”খাবারের হোটেল ”।
একজনের পরামর্শে কালিবাড়ি গেলাম খাবার খেতে । কিন্ত ইলিশ খাওয়ার মতো কোন হোটেল ছিল না।অটো ভাড়া ১০ টাকা করে কিন্ত অটো ভারা যাওয়ার সময় নিলো ২০ টাকা করে ।কারন আমরা দামাদামি করিনি ।ভেবেছি ভাড়া এরকমই ।ফেরার সময় অন্য অটো বললো ভাড়া ১০ টাকা করে ।সুতরাং এই ব্যাপারে সাবধান ।কালিবাড়ি থেকে আবার লঞ্চ ঘাট এসে সেই একটি হোটেল ছিলো তাতে ঢুকলাম ।আইটেম খুবই কম ।আর দাম দ্বিগুন বলা যায় ।মাওয়াতে ৬০ টাকার ইলিশ সেখানে ১২০ টাকা করে .১ পিস বয়লার মুরগি ৭০ টাকা ।দাম শুনে কিছুই বলার ছিলো না । তৃপ্তি করে ইলিশ খাওয়া হলো না ।
পরে অটোতে ১০ টাকা করে বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনায় চলে গেলাম ।জায়গা টা সত্যিই সুন্দর । সেখান থেকে ট্রলারে করে ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মিনি কক্সবাজার নামে একটি জায়গা আছে যাওয়া যায় । সাধারনত রিজার্ভে যায় ।কিন্তু লোকাল ভাবেও যেতে দেখেছি ।আমরা যখন লোকাল ভাবে ৫০ টাকা করে যেতে চাইলাম , আমাদের নিলো না ।রিজার্ভ ছাড়া আমাদের নিবে না । কারন আমরা ট্যুরিস্ট । তিন নদীর মোহনায় সময় কাটানোর জন্য অসাধারন ।সেখানে খাওয়ার মতো ফুসকা , ঝালমুড়ি , আচার , হাওয়াই মিঠাই পাবেন ।আর সাথে কিছু বিচ্ছু সন্ত্রাস টাইপ মেয়ে আছে ।
কাউকে শান্তি মতো বসতে দেয় না ।খাবার ছিনিয়ে নিয়ে যায় .১ মিনিট পর পর এসে নোংরা ভাষায় কথা বলে । একটা কাপলাকে এতো বিরক্ত করছিলো যে , তারা শেষে আমাদের পিছন দিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে ,বসতে পারেনি ।আচরন এতো বাজে ।ছোটদের মায়া হয় দেখে ,আদর করে আমরা খাবার , টাকা দেই কথা বলি ।আর এগুলো সন্ত্রাসের মতো আচরন করছিলো ।কিছু বলার ছিলো না।হতভম্ব।তিন মোহনা থেকে ৪০ টাকা দিয়ে ওয়ান মিনিট আইসক্রিম খেতে আসবেন,যার মূল্য ৪০ টাকা।তারপর সেখান থেকে ১০ টাকা করে লঞ্চ ঘাটে চলে আসবেন ।লঞ্চ শিডিউল অনুযায়ী ছাড়বে ।
ঘুরার মতো আরো বেশ কিছু জায়গা আছে ,কিন্তু এত গরম আর রোদ আমাদের যাওয়া হয়নি । তিন নদীর মোহনা অসাধারন লেগেছে ।কিন্তু চাঁদপুর সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা ছিলো না ।এবার হলো যা একদমই ভালো না। আমার ছোট ভাই তো , আম্মুকে এসে ডিরেক্ট বলে দিছে , চাঁদপুরের কোন ছেলের সাথে আমাদের বিয়ের সম্বন্ধ না করে।