চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদীর সাথে একদিন
এক বন্ধুকে চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদী ঘুড়াব এই বলে ময়মনসিংহ নিয়ে আসি। এর আগেও আরো একবার সে হতাশ হয়ে ঘুরে যায় কারন প্রচুর বৃষ্টি থাকার কারনে আর যাওয়া হয় নাই, তাই সবার জন্য এই উপদেশ রইল যে চিনামাটির পাহাড় আর সোমেশ্বরী নদীরর প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে হলে শীতকালে আসবেন।
প্রথমেই বলা ভাল যে বিরিশিরি যাবার রাস্তা খুব ই খারাপ,তাই ট্রেনেই যাওয়া ভালো হবে। সকাল ৫:৩০ টায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে বাসা থেকে বের হয়ে পরলাম ৬:৩০টার জারিয়ার লোকাল ট্রেন ধরার জন্য ভাড়া ২০টাকা। ট্রেন ৩০ মিনিট দেরি করে ছাড়ল। ৯ টায় জারিয়া পৌছায় স্টেশনের সামনের হোটেল থেকে ২৫ টাকায় ডাল পরোটা দিয়ে নাস্তা করে স্টেশনের সামনে থেকেই বিরিশিরি পর্যন্ত সি.এন.জি ঠিক করলাম প্রতিজন ভাড়া ৫০/-, মোটরসাইকেলে গেলে প্রতিজন ভাড়া লাগবে ৭৫/- আর মাহিন্দ্রতে ভাড়া প্রতিজন ৪০ টাকা। সি.এন.জি আপনাকে সোমেশ্বরী ব্রীজ এর মাথায় নামায় দিবে সি.এন.জির ড্রাইভার আপনাকে বলে দিবে যে ঘাট টা কোন দিকে। ঘাট থেকে ৫ টাকা দিয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হলেই দেখতে পারবেন যে মোটরসাইকেল, টমটম দাঁড়ায় আসে। আপনারা চাইলে সারাদিন এর জন্য রিজার্ভ করতে পারেন বা ভেংগে ভেংগে ও ঘুরতে পারেন। তবে আমার মতে ভেংগে ভেংগে ঘুরাই ভালো হবে কারন রিজার্ভ নিলে ড্রাইভাররা খুব তাড়াহুড়া করে। সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে সাদামাটি পর্যন্ত প্রতিজন ৩০ টাকা করে মোটরসাইকেল ঠিক করলাম। সাদা মাটিতেই চিনা মাটির পাহাড় আর নীল পানির লেক। সাদা মাটি নামতেই একটা বাচ্চা আমাদের সাথে হাটা শুরু করলো। নাম- রহমান, ক্লাস টু তে পরে। কিছু দূর যাবার পরে বুজতে পারলাম যে কিছু না বলেই সে আমাদের গাইড হয়ে গেছে। প্রথমে একটু বিরক্ত হলাম কিন্তু পরে ভালোই লাগলো ছেলেটাকে। রহমান এর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে সে স্কুল এর পাশাপাশি মানুষ কে পাহার ঘুরায় দেখায়। রহমান খুব দক্ষতার সাথে আমাদের সবকয়টি লেক ও পাহাড় ঘুড়ায় দেখাল। পরে আসার সময় তাকে ৩০ টাকা দিলাম। তাতেই সে মহা খুশি। সাদা মাটি থেকে টমটম নিলাম বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতিজন ভাড়া ২৫ টাকা।বিজিবি ক্যাম্প যাবার সময় চার্চ ঘুরে যাবেন। বিজিবি ক্যাম্পএ সোমেশ্বরী নদীতে নামার জন্য ঘাট করা আসে। সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানি ঝাপাঝাপি করে সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। ফিরার সময় বিজিবি ক্যাম্প এর সামনে থেকে টমটম নিয়ে (ভাড়া প্রতিজন ৩০/-) সোজা চলে যাবেন শিবগঞ্জ বাজার। বাজার থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে দূর্গাপুর থেকে জারিয়া স্টেশন পর্যন্ত মাহিন্দ্রতে উঠলাম ৪০ টাকা প্রতিজন। জারিয়া থেকে ময়মনসিংহ এর ট্রেন ৬:১০ টায়।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন:
ঢাকা – ময়মনসিংহ ২২০/- (এনা)
ময়মনসিংহ – জারিয়া ২০/- (ময়মনসিংহ হতে জারিয়া পর্যন্ত দিনে ৪ বার লোকাল ট্রেন চলাচল করে।সকাল ৬:৩০ টায় , সকাল ১১ টায়, বিকাল ৪ টায় , রাত ৮:৩০ টায়।)
জারিয়া-বিরিশিরি সি.এন.জি ৫০/-(প্রতিজন)
Post Copied From:Md Asif Imtiaz>Travelers of Bangladesh (ToB)