ছবিমুড়া,গোমতী নদী,রাজখাং,অমরপুর,ত্রিপুরা ভ্রমন
আগরতলা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর অমরপুর শহর। এ শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পরই রাজখাং এলাকার গোমতী নদীতে ‘ছবিমুড়া’ নৌকা ঘাট। সেখান থেকে নৌকায় যেতে হয় ছবিমুড়া এলাকায়। নদীর দু’দিকে ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কিছুক্ষণ নৌকায় ভেসে গেলে নদীর গায়ে দেখা মিলবে প্রতীমার।
কথিত আছে, প্রাচীনকাল থেকে জমাতিয়া উপজাতি সম্প্রদায়ের বসবাস এখানে। জমাতিয়া লোককথা অনুসারে ছবিমুড়া হলো রুদ্রভৈরবী দেবীর স্থান। রাজা চিচিংফার প্রপিতামহ’র রাজত্বকালে তৈরি হয় দেবতামুড়া পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা গোমতী নদীর তীরের গায়ে খোদাই করা শিল্পকর্ম।এছাড়া ছবিমুড়াতে পাবেন চিচিংফার গুহা।
স্হানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, ১৫-১৬শো শতাব্দীর সময়কালেই নির্মাণ হয়েছিল এই সব শিল্পকর্ম। এখানকার বিশেষত্ব হল গোমতী নদীর জলে নৌকা বা মোটরবোটে ভেসেই দেখতে হবে এই সব অনুপম সৃষ্টি। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, গণেশ, কার্তিক, বিশ্বকর্মা-সহ আরও অজস্র দেবদেবী ও পশুপাখির মূর্তি খোদাই করা রয়েছে পাহাড়ের উঁচু প্রাচীরে।
তবে এই জলযাত্রায় সব চেয়ে বেশি যেটা নজর কাড়বে তা হল দশভুজা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তিটি। প্রায় ২০ ফুট উঁচু বিশাল এই দেবীমূর্তিকে স্থানীয় উপজাতিরা অবশ্য ‘চক্রাকমা’ নামেই মানে। দেবীমূর্তির চুলের জায়গায় জড়ানো আছে অসংখ্য সাপ, আর পদতলে মহিষাসুরের পাশে রয়েছেন রুদ্রভৈরব।
যেভাবে যাবেন:-
ঢাকা-আগরতলা-আগরতলা থেকে ৮০ কিমি দূরে অমরপুর শহর-অমরপুর শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পরই রাজখাং এলাকার গোমতী নদীতে ‘ছবিমুড়া’ নৌকা ঘাট।
আসুন ভ্রমনে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকি।ভ্রমনে গিয়ে ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
source: Dip Biswas