ঢাকা-বুড়িমারী> বাস
পথপরিক্রমাঃ
ঢাকা-বুড়িমারী> বাস
দিন-1
সকাল দশটা নাগাদ ইমিগ্রেশন সেরে
চ্যাংরাবান্ধা-শিলিগুড়ি> শেয়ারড ট্যাক্সি
শিলিগুড়ি-ঘুম(দার্জিলিং)> শেয়ারড জীপ
ঘুম-মানেভঞ্জন> রিজার্ভ ট্যাক্সি
মানেভঞ্জনে রাত্রিযাপন।
দিন-2
মানেভঞ্জন থেকে গাইড নিয়ে সীমান্তরক্ষী খাতায় নাম লিখিয়ে ফরেস্ট এন্ট্রি টিকেট নিয়ে সকাল আটটায় ট্রেকিং শুরু।
চিত্রে-লামেধুরা-মেঘমা হয়ে আড়াইটায় টংলু। টংলুতে রাত্রিযাপন।
দিন-3
খারাপ আবহাওয়ার কারণে দশটায় টংলু থেকে যাত্রা শুরু। টুমলিং-ঝাউবাড়ি(নেপাল) হয়ে আড়াইটায় গৈরিবাস। বৃষ্টির কারণে যাত্রা স্থগিত করে গৈরিবাসে রাত্রিযাপন।
দিন-4
বৃষ্টির মধ্যে একটা ডেলিভারি জীপে গৈরিবাস থেকে যাত্রা শুরু সকাল ছয়টায়। সাড়ে আটটায় কালাপোখরি পৌঁছে রোদ ও ভালো আবহাওয়া দেখে জীপ ছেড়ে ট্রেকিং এর সিদ্ধান্ত। আধ ঘণ্টার মধ্যে আবার ভারী কুয়াশা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেড়টায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে হাঁটা শুরু। বিখেভঞ্জন হয়ে সাড়ে পাঁচটায় সুর্যাস্তের মুহূর্তে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে রাত্রিযাপন।
দিন-5
অলৌকিক ভাবে সকালে দুই ঘন্টার জন্য ভালো আবহাওয়া পাওয়ার পর কুয়াশা বাড়তে থাকায় সান্দাকফু থেকে ফালুটের বদলে বনের মধ্য দিয়ে ট্রেকিং রুটে গুরদুম এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। সন্ধ্যা নাগাদ টিম্বুরে পৌঁছে রাত্রিযাপন।
দিন-6
সকালে হেঁটে শ্রীখোলা পৌঁছে শেয়ারড জীপে রিম্বিক। রিম্বিক থেকে এগারোটার জীপে দার্জিলিং। চারটায় দার্জিলিং পৌঁছে সন্ধ্যেটা মল চত্বরে কাটিয়ে হোটেলে রাত্রিযাপন।
দিন-7
সকাল ন’টায় যাত্রা শুরু, শেয়ারড জীপে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে দেড়টায় ঢাকার বাসে যাত্রা শুরু। পরদিন সকাল আটটা নাগাদ ঢাকা।
(গাইড চার্জ দিনপ্রতি আটশ রুপি, এটাই সর্বনিম্ন, এর মধ্যে গাইডের থাকা খাওয়া অন্তরভুক্ত। পথের হোটেলগুলোর ভাড়া দেড়শ থেকে পাঁচশ রুপি জায়গা ও রুমের ধরন অনুযায়ী, খাবার খরচ প্রতিবেলা এক থেকে দুইশ রুপি। শেয়ারড জীপের ভাড়া সর্বোচ্চ 160 রুপি। মানেভঞ্জন এর পর রিম্বিক পর্যন্ত প্রায় কোথাও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।)
তথ্য দিয়ে সহায়তা ও একাই ট্রেকিং করতে সাহস যোগানোর জন্য মাহমুদ ফারুক ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
Post Copied From:Shariful Bari Milton>Travelers of Bangladesh (ToB)