তাইওয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত

#তাইওয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করেছি তাই অনেক বড় হয়ে গিয়েছে!বিরক্ত হলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!আর আমি যেহেতু দেশে থাকি না তাই দেশ থেকে তাইওয়ানের ভিসা সম্পর্কিত তথ্য জানা নেই! তথ্যগত ভুল থাকতে পারে,তার জন্যও আমি দুঃখিত!

তাইওয়ান হচ্ছে ফুল কম্বো প্যাকেজ, মরুভূমি ছাড়া সকল কিছুই বিদ্যমান ছোট্ট এই দেশটাতে!কতটা বৈচিত্রে সাজানো এই দেশ তা হয়ত ভাল লিখতে পারলে বুঝাতে পারতাম!তাইওয়ানে কাটিয়েছি মাত্র ৬ দিন,সুযোগ পেলে হয়ত আবার যাব,অবশ্য আক্ষেপের কারনে আমায় আবার যেতে হবেই!কারন আমার পছন্দের yushan আর zhuilu old trail এ যেতে পারিনি!

কোরিয়াতে চাইনিজ নিউ ইয়ারের ছুটি চলছিল, কোথায় যাব ভাবতে ভাবতে মাথায় চেপে বসল zhuilu old trail এর কথা!এই ট্রেইলটি তাইওয়ানের সুন্দর জায়গাগুলির একটি,তবে এখানে যাওয়ার জন্য অগ্রিম পারমিটের দরকার হয়!তাইওয়ানে অনেক জায়গায় নিয়ম হচ্ছে “no permit no hiking”এই বিষয়টা আমার কাছে জোস লাগে,এতে করে পরিবেশের উপর চাপ কমবে,আর যারা ঘুরতে যাবে তারাও তৃপ্তি নিয়ে প্রকৃতি দেখতে পারবে!দেড়ি না করে অনলাইনে পারমিট নিয়ে নিলাম!তবে সেখানে আর যেতে পারিনি!

তাইওয়ানের বিভিন্ন ট্রেইলের পারমিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা:-

সে যাজ্ঞে ভিসা পাবার পর china eastern এ টিকিট কেটে নিলাম!সিউল থেকে তাইপে যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টার মত,তবে চায়নাতে ট্রানজিটের কারনে সময় লেগেছিল মেলা!অবশ্য সেই সুবাদে ফ্রিতে ট্রানজিট নিয়ে nanjing দেখা হয়ে গেছে!ট্রানজিট শেষ করে চলে যাই তাইপে Taoyuan এয়ারপোর্ট!এয়ারপোর্টটি আকারে বিশাল বড় আর দেখতেও খুব সুন্দর!এয়ারপোর্ট থেকে ট্রেনে চড়ে চলে যাই taipei main station এ,আমার হোটেল এ জায়গাতেই!এখানে মোটামুটি প্রায় সবাই টুকটাক ইংরেজি বোঝে তাই তত ঝামেলায় পরতে হয়নি আমার!হোটেলে যেতে যেতে বেজে গেছে রাত ১২ টা!তাই আর বের হইনি!

তবে সকাল থেকেই ভ্রমণ শুরু,এক মূহুর্তের জন্যও তাইপে শহরকে নতুন নতুন লাগেনি!মনে হচ্ছিল আমি সিউলেই আছি!রাস্তাঘাট দোকানপাট,বাস-ট্রেন সবকিছুই কোরিয়ার মতন!তবে চেহারা এক নয়,এখন খুব সহজেই চেহারার পার্থক্য বুঝতে পারি!এরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ!আর আমি ভেবেছিলাম প্রচুর শীত হবে!অবশ্য তা হলেও সমস্যা ছিলনা,বসবাসই তো করি শীতের দেশে!তাইওয়ানের এভারেজ তাপমাত্র ১৫ ডিগ্রির মত!তবে yushan, hehuanshan,taroko এর মত স্থানগুলিতে প্রচুর শীত পরে,তুষারপাত ও হয় সেই এলাকাগুলিতে!তাইওয়ান ভ্রমণের সবচেয়ে খারাপ সময় জুলাই -অক্টোবর মাস(এই সময়টা টাইফুন আক্রান্তের সময়)তাইওয়ানে হরহামেসাই টাইফুন হয়ে থাকে!

তাইওয়ানে ট্যুরে ৬ দিন কাটিয়েছি বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায়!শহরে ছিলামনা বললেই চলে!৩৯৫২ মিটার সর্বোচ্চ উচ্চতার জাদে মাউন্টেন সহ প্রায় ২০০ এর অধিক ৩০০০ মিটার এর উর্ধে পাহাড় রয়েছে তাইওয়ানে!মোট আয়তনের প্রায় ৭০% এর ও বেশী উঁচু ভূমি এখানে!তবে সবচেয়ে যে জিনিষটা ভাল লেগেছে তা হল,এরা এদের পাহাড়ি অঞ্চলগুলি খুব একটা মোটিফাইড করেনি!অনেক স্থান সেভাবেই আছে যেভাবে সেই স্থানগুলির উৎপত্তি হয়েছে!এটাও কিন্তু খুব ভাল একটা দিক,প্রকিতৃকে তার মত বাচতে দেয়া!

***যেভাবে আমরা তাইওয়ানে ছিলাম তা ছোট্ট করে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম!

১:-yangmingshan,elephant mountain, city tour:-

taipei শহর থেকে ১ ঘণ্টার দুরত্বে অবস্থিত
youngminshan পার্কের!সেদিন ছিলাম আমি একা,তবে রাস্তায় একজন ডাচ সঙ্গী জুটিয়ে নিয়েছিলাম!ছেলেটা বড্ড পাখিপ্রেমী,একটু পর পর ঝোপঝারে ঢুকে যেত!বিভিন্ন ট্রেইল আছে এই পার্কে!সময় থাকলে stegosaurus ridge ট্রেইলটা ট্রাই করতে পারেন অনেকটা norway এর trolltunga ট্রেইল এর মত এর ভিউ(এই ট্রেইলে সময় লাগবে ৫-৭ ঘণ্টার মত)এখানে অনেকগুলা wild hot spring পাওয়া যাবে!কৃত্তিক hot spring গুলি মোটেও ভালনা!
গরমের সিজনে গেলে গোসল করে নেয়া যাবে!এমনিতে সরাসরি মাটি থেকে ধোয়া উরে যাওয়া দেখতে হলেও এখানে আসতে পারেন!

taipei main station থেকে ২৬০ নাম্বার বাসে চড়ে শেষ স্টপেজে নামলেই এখানে যাওয়া যাবে!ট্যুরিষ্ট অফিসে আধো আধো ইংরেজি চলে,তাদের সাথে কথা বলে ট্রেইল পছন্দ করে নিতে পারেন!বাসে ঘণ্টাখানেক জার্নি হবে!

এখান থেকে ফিরে এসে national museum place,National Chiang Kai-shek Memorial Hall এ ঘুরে দেখতে পারেন!এছাড়া taipei grand masque থেকেও ঘুরে আসতে পারেন(মসজিদের নির্মানশৈলী অনন্য)

সন্ধ্যার পরে ট্রাই করতে পারেন elephant mountain!তাইপে শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই ট্রেইলে রাতের বেলায় গেলে ভাল ভিউ পাওয়া যায়,সবসময়ই মানুষ পাওয়া যায় এখানে!আমরা গিয়েছিলাম রাত ১০টার দিকে!২০-৪০ মিনিট হাইকিং করলে ১৮৩ মিটার উচ্চতার এই টিলা থেকে তাইপে শহরসহ taipei 101 tower এর রুপ দেখা যাবে!কাছাকাছি mrt sstation হচ্ছে xiangshan station!

২:-chiayi city,alishan,sun moon lake,double dragon waterfall:-

প্রপার প্লানিং না থাকার কারনে দ্বিতীয় দিনের অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে আমাদের!taipei main station থেকে প্রথমে যেতে হবে chaiyi station!লোকাল ট্রেনে ভাড়া ছিল ৪৯৬td আর সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টার মত,বুলেট ট্রেনে ভাড়া ছিল ১০৪৮ td আর সময় লাগতো মাত্র ১ ঘণ্টার মত!
কেউ গেলে ভোর সকালে প্রথম ট্রেনে (বুলেট ট্রেনে)রাতে গেলে শেষ ট্রেনে (লোকাল ট্রেনে)chaiyi গিয়ে একটা বাইক ভাড়া করে ছোট্ট একটা সিটি ট্যুর দিয়ে chiayi বাস স্টপ থেকে ৭৩২২ নং বাসে চড়ে
সরাসরি alishan hub চলে যেতে পারেন(সর্বশেষ বাস দুপুর ২.০৫ মিনিটে) alishan সূর্যোদয়ের জন্য খুব জনপ্রিয় একটি স্পট!

৩ ঘণ্টার সম্পূর্ণ এই রাস্তা ছিল ব্যাপক পরিমাণে পেচানো ছিল,কিছু স্থানে ৩৬০° ঘুড়িয়ে নিয়ে গেছে!এই রাস্তাটি সমূদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ২৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত!ওয়েদার ভাল থাকলে বাসের জানালা দিয়ে পাহাড়ি দৃশ্য দেখতে পারবেন!সেখানে যাওয়ার পর ১৫০td এন্ট্রি ফি দিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন!যেই হোটেলে উঠবেন তারাই আপনাকে পরবর্তি করনীয় বুঝিয়ে দিবে!এই এলাকায় পাহাড়ি ট্রেইল, ফরেস্ট,ঝর্ণা,মন্দির,হাজার বছরের পুরাতন গাছ দেখতে পাবেন!আর এখানেও আমাদের সাজেকের মত সবসময় মেঘ পাবেন!

alishan থেকে sun moon lake যেতে পারেন(alishan hub থেকে sun moon lake এর বাস দুপুর ১টা আর ২টা বাজে ছাড়ে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টার অন্যায় উপায় নেই)এই লেক তাইওয়ানের সর্বোচ্চ লেক,যার উচ্চতা প্রায় ৩৪০০ মিটার!

double dragon waterfall
তাইওয়ানের সবচেয়ে লম্বা ঝুলন্ত ব্রিজ এটা,আর ব্রিজের শেষেই রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট ঝর্ণা!অতিরিক্ত রিক্সি হওয়াতে এই ট্রেইলটা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে!
প্রোপার প্লানিং না থাকায় এখানে গিয়েও সময়,অর্থ,শ্রম সব বিফলে দিয়েছিলাম আমরা!এখানে কেউ গেলে অবশ্যই খোজখবর নিয়ে যাবেন!

৩:-pingxi trail,shifen city,shifen waterfall:-

pingxi ট্রেইলটা ব্যাপক সুন্দর,তবে একটু ভয়ংকর!এই ট্রেইলে তিনটা চূড়া যাওয়া যাবে!সরু এর পথ,মাটি কেটে ছোট্ট ছোট সিঁড়ির রাস্তা তৈরী করা হয়েছে!অনেকটা এডভেঞ্চার ট্রেইল এর মত!তিনটা চূড়ায় উঠতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টার মত!
taipei main station muzha bus থেকে ৭৯৫ নং বাসে চড়ে pingxi স্টেশনে নামলেই ট্রেইল পাওয়া যাবে!এখানে গেলে একটু সাবধান থাকতে হবে!

shifen waterfall তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা!এটা অবশ্য সাধারণ ট্যুরিষ্ট স্পট!
তবে তাইওয়ানের যে তিনটা জায়গায়ে আমার যাওয়ার শখ ছিল তার মধ্যে এটাও একটা!অনেকটা কানাডার নায়াগ্রা ফলসের মত দেখতে এটা!এখানে যাওয়ার পথে দুইটা ঝুলন্ত ব্রিজেরও দেখা মিলবে!
এখানে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে বাস(ট্রেনে গেলে অনেক ঘুরতে হবে)
taipei main station mouzha bus স্টপ থেকে ৭৯৫ নং বাসে চড়ে মাত্র ১ ঘণ্টায় এখানে যাওয়া যাবে!

এর আগের স্টপেজে নেমে shifen old street এ একটু ঢুঁ মারতে পারেন!এই জায়গাটা তাইওয়ানের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর!এখান থেকে ফানুশ উড়ানোর অভিজ্ঞতাও নেয়া যাবে!ফিরে যাওয়ার পথে lingjiao স্টপেজে নামলে আরেকটি ঝর্ণা পাবেন!যেহেতু এই রুটে ২০-৩০ মিনিটে বাস পাওউয়া যায় তাই ভয়ের কিছুই নাই!

৪:-keelung trail,bitoujiao coast trail,jufen city:-

ফিলিপাইন সাগরের পাড় ঘেসে এই দুইটা ট্রেইলে অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায়!এখন বর্ষাকাল আর আমাদের কপাল খারাপ ছিল তাই কুয়াশা ছাড়া আর কিছুই পাই নাই!৩-৪ কিলোর পুরো ট্রেইল সবুজ ঘাসে আবৃত থাকে!এখান থেকে পাহাড়,সাগর আর শহরের ভিউ সবকিছুই সহজে পাওয়া যায়!
মধ্যপথে golden waterfall jufein old street কিছু পুরাতন বৌদ্ধ মন্দিরেও ঢুঁ মারতে পারেন!

এখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে taipei থেকে ruifang স্টেশনে যেতে হবে!তারপর সেখান থেকে ৯৬৫/৭৮৮ নং বাসে চড়ে প্রথমে jufen শহর মন্দির তারপর mt.keelung trail তারপর golden waterfall হয়ে bitoujiao trail এ গিয়ে শেষ করতে পারবেন!

এছাড়া hehuanshan যেতে পারেন!এটা তাইওয়ানের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা!যার উচ্চতা প্রায় ৩২৭৫ মিটার উপরে!এই রাস্তা থেকে মাত্র ২ ঘণ্টা হাইকিং করে ৩৪১৬ মিটার উচ্চতার hehuanshan যাওয়া যাবে (এখানে বাস সার্ভীস নেই বললেই চলে)
hehuanshan এর আগে পাওয়া যাবে Qingjing farm এর!গুগল ঘাটলেই এই জায়গা সম্পর্কে ভাল ধারণা পাবেন!সময়ের অভাবে মিস করে ফেলেছি!

***taroko national park এ গেলে অবশ্যই
zhuilu old trail রাখতে পারেন(পারমিট নেয়ার পরেও যাতায়াত এর কারনে যেতে পারিনি)এছাড়া huilian সিটিতে একদিন কাটাতে পারেন(৪ জনের অধিক হলে ১০ ঘণ্টার জন্য গাড়ি ভাড়া নিতে নিলে সুবিধা হবে)ভাড়া পরবে ১০-১২ হাজার টাকা!
দক্ষ ড্রাইভার ছাড়া না যাওয়াই বেটার!

***ইন্টারনেট:-
সিমকার্ড পছন্দ করার জন্য বেগ পেতে হবেনা!এরাইভাল হল দিয়ে বের হলেই সিমকার্ডের স্টল পাওয়া যাবে!৫/৭/১০ দিনের যেকোন প্যাকেজ নেয়া যাবে!আমি নিয়েছিলাম ৫ দিনের প্যাকেজ,এই প্যাকেজে ছিল ১০ মিনিট টকটাইম আর আনলিমিটেড ইন্টারনেট আর দামটাও সাশ্রয়ী মাত্র ৪৫০/৫০০ td!

***যাতায়াত:-
যাতায়াতের জন্য easycard বেষ্ট অপশন!
কার্ডের মূল্য ১৫০td আর ৫ দিনের ট্যুরপ্লান হলে সর্বোচ্চ ১৫০০-২৫০০ হাজার td খরচ হবে!এই কার্ড যেকোন যানবাহনে ব্যবহার যোগ্য!এমনকি বিভিন্ন শপিংমলেও বিশেষ করে 7 eleven এ এই কার্ড এক্সেপ্টেবল!

মেট্রো এড়িয়ার ভিতরে থাকলে সাবওয়ে বেষ্ট অপশন,আর মেট্রো এড়িয়ার বাইরে গেলে বাসের অপশন বেটার!ক্যাশ/কার্ড দুই মাধ্যমেই ভাড়া দেয়া যাবে!আর হ্যা তাইওয়ানে গেলে গুগলের দেয়া টাইমে বিশ্বাস করা সবচেয়ে বোকামী হবে!৫ ঘণ্টার রাস্তা আমরা সেইম রুটে গিয়েছি মাত্র ২ ঘন্টায়!

তাইওয়ানের শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক ভাল,তবে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াত করা অনেক টাফ,বিশেষ করে সময়সাধ্য ব্যাপার!

***থাকার ব্যাবস্থা:-
থাকার জন্য জায়গাভেদে খরচ হবে!আমরা দুইজন ৪দিনই ছিলাম শহরের বাইরে,তাই খরচটা একটু বেশী হয়েছে!সোলো ট্রাভেলের জন্য শহরে ১৫০ tdতে মিক্স ডরমিটরি পাওয়া যাবে!৪ জন একসাথে থাকলে ১২০০-২০০০td ভাল মানের রুম পাবেন!alishan/sun moon lake এর ঐ দিকে ১২০০ এর নিচে রুম পাবেন না!তবে সেই রুমে ৪-৮ জন থাকা যাবে!

taipei main station এর আশেপাশে কমদামে থাকার কিছু হোটেল:-
I’m inn taipe
hotel 21
neosoho(আমি এখানে ছিলাম!মেট্রো থেকে মাত্র ৫ মিনিট)প্রতিরাত ২৫০td!

***খাওয়া:-
খাবার-দাবারে আমাদের তেমন সমস্যা হয়নাই,কারন এই টাইপের খাবার খেয়ে অভ্যস্ত!প্রায় রেস্তোরাঁতে “চিকেন রাইস” পাওয়া যায়(দেশীয় একটা স্বাদ পাওয়া যায় এতে)তাইওয়ানের অলিতে গলিতে 7 eleven আর Mcdonald পাওয়া যায়!তাই খাবার নিয়ে এত বেশী টেনশন নেয়ার দরকার নেই!Mcdonald এ চিকেন বার্গারের সর্বনিম্ন প্রাইজ ৪৯td!
এছাড়া তাইপেতে অনেক হালাল ফুডের দোকান পাবেন(ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ছাড়া সবকিছুই কমের মধ্যে হয়ে যাবে)

***খরচ:-৬ দিনে আমাদের দুইজনের খরচ হয়েছে১১৩২৩td=৩১০০০ টাকার কাছাকাছি(এয়ার ফেয়ার বাদে)শহরের ভিতরে থাকলে অনেক কমে হয়ে যাবে!
1td=2.80tk

***কিছু জরুরী মোবাইল এপ্স তাইওয়ান ভ্রমণে দরকার হতে পারে:-

১:-Google translator(চাইনি
জ অফলাইন ডাউনলোডেড)
২:-uber taxi!
৩:-ubike(সাইক্লিং এর জন্য)
৪:-booking.com
৫:-metroman taipei(সাবওয়ে ম্যাপ)

***ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় তাইওয়ান সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য:-

১:-কোনা কাঞ্চিতেও 7 eleven পাওয়া যায়!
২:-তারা বাইকিং প্রচুর ভালবাসে!
৩:-বাংলাদেশকে তারা mengjiala বলে জানে!
৪:-বিড়াল খুব পছন্দের প্রাণী!
৫:-প্রতিটি বাস/ট্রেনে অসয়ংসম্পূর্ণ মানুষদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা!
৫:-no drugs(ওদের এম্বাসী ওয়েবসাইটে বোল্ড অক্ষরে লিখা ছিল ড্রাগ নিয়ে ধরা পরলে সরাসরি মৃত্যুদন্ড)
৬:-পরিচ্ছন্নতা ভালবাসে!
৭:-প্রচুর পরিমানে ঘড়ছাড়া মানুষের দেখা পাওয়া যাবে!
৮:-এরা নিজেদের তাইওয়ানিজ হিসেবে পরিচিতি দিতে ভালবাসে!আমি একজনকে শুধু বলছিলাম তাইওয়ান তো চায়নার একটি অংশ তাই না?সে রাগে ফেটে যায় অবস্থা(পরে আমাকে সে বুঝিয়ে বলেছে)

source:  শ্রাবন ইসলাম স্বপন <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment