থ্রী! টু! ওয়ান! বাঞ্জি!!!
যেদিন প্রথম বাঞ্জি জাম্পিং এর ভিডিও দেখলাম সেদিন থেকে নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ দিলাম যেভাবেই হোক এটা আমাকে করতেই হবে! কারন চ্যালেঞ্জটা যে রক্তের ভিতর লুকিয়ে আছে!
তখন থেকে নিজের মধ্য লালন করতে থাকি একটি স্বপ্ন একদিন করবোই 😉 যে কথা সেই কাজ। নেপাল যাওয়ার এয়ার টিকেট করে ফেল্লাম।সফর সঙ্গী আরো ৪ জন। সন্ধা ৬ টায় হোটেলে উঠই দুপুরের খাবার না খেয়ে প্রথমে বাঞ্জি অফিসে কারন উদ্দেশ্য বাঞ্জি জাম্পিং। লাস্ট মুহূর্তে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করি।
পরের দিন ভোর ৫:৩০ এ সম্পূর্ণ প্রস্তুত সেচ্ছায় মৃত্যুর উদ্দেশ্য যাত্রা!প্রায় চার ঘন্টা বাস জার্নির শেষে গন্তব্যস্থানে যাই।গিয়ে দেখি সব কিছু প্রস্তুত অপেক্ষা শধু আমাদের জন্য।যাওয়ার পর প্রথমে আমাদের ইন্সট্রাকশন দিলো ও ২ টি গ্রুপে আলাদা করে দিলো। ৪০-৫৯ ও ৮০-১০০ গ্রুপ এ ৬০-৭৯ গ্রুপ -বি। আমার ওজন ৬৭ কেজি হওয়ায় গ্রুপ -বি তে।তারপর একটা পেপারস দিলো যেটাতে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় আমি নিজে দায়ী!
তারপর একে একে সবারটা দেখতে থাকি।অবশেষে চলে আসে আমার পালা সেই মুহূর্ত। ইলাস্টিক দড়ির এক প্রান্ত গোড়ালিতে বেঁধে অন্য প্রান্ত উঁচু শক্ত কিছুর সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হলো। একটু একটু করে আগাচ্ছি আর মনের মধ্য কি যেনো হচ্ছে। সেই সাথে পিছন থেকে ইন্সট্রাক্টরের কন্ঠে ভয়ঙ্করতম শব্দগুলো বেজে উঠলো….!!
থ্রী! টু! ওয়ান! বাঞ্জি!!!
এরপর ইন্সট্রাকটর ধাক্কা দেওয়ার আগেই নিজেই লাফ দেই! করান কথায় আছে অন্যর হাতে মরার চেয়ে নিজের ইচ্ছায় মরা অনেক ভালো :p
২ সেকেন্ডের কিছু সময় লাগে নিচে পরতে। তবে পুরোটা ২-৩ মিনিটের আয়োজন। তারপর উপরে উঠানোর পর আবার ও দিতে ইচ্ছে হলো তাই সাথে সাথে গিয়ে সুইং এর রেজিস্ট্রেশন করে সুইং টা ও করে ফেলি 😉
সুইং এর ভিডিও পরে দেওয়া হবে।
নেপালি রুপির ৮০০০ লাগবে ডালারে পেমেন্ট করতে চাইলে ৮০ ডালার। তবে বাঞ্জি জাম্পিং সুইং এক সাথে করলে ১০০০০ হাজার নেপালি রুপি বা ১০০ ডলার লাগবে। শুধু যে কোনো একটা করলে ৮০০০ রুপি। ফটো ও ভিডিওর জন্য বাঞ্জি জাম্পিং ২০০০ ও সুইং ১২০০ নেপালি রুপি লাগবে।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা-কাঠমন্ডু-লাস্ট রিসোর্ট।
Post Copied From: