নেত্রকোনার দুর্গাপূরের চিনা মাটির পাহাড়ে যেভাবে যাবেন
নেত্রকোনার দুর্গাপূরের চিনা মাটির পাহাড়ে আমরা অনেকেই গিয়েছি কিন্তু সেখান থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরেই অবস্থিত লেঙ্গুরা। এই যায়গাটার কথা আমরা অনেকেই হয়ত যানিনা। বাংলাদেশ আর ভারতের বর্ডারে এই যায়গা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারবেননা। ছোট ছোট পাহাড় সবুজ জলের সান্ত নদী সব কিছু মিলিয়ে এক কথায় অসাধারন একটা যায়গা।
যাওয়ার উপায়: ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে যেতে পারবেন। কমলাপুর থেকে নেত্রকোনায় হাওড় এক্সপ্রেস ছাড়ে রাত ১১:৫০ মিনিটে ভাড়া ১৬৫ টাকা (শোভন সাধারন) ভোর ৪:৩০/৫:৩০ মিনিটে ট্রেন পৌছে যাবে শ্যামগঞ্জ স্টেশনে। ট্রেন থেকে নেমে সিএনজি নিয়ে যেতে হবে দুর্গাপুর বাজার ভাড়া ২০০ টাকা একটু মুলামুলি করলে ১৫০ টাকায় যাওয়া যায় সময় লাগবে ২/২:৩০ ঘন্টা। দুর্গাপুর বাজার থেকে মাহিন্দ্রা, অটো রিকশা, সিএনজি, নিয়ে সোজা লেঙ্গুরা ভাড়া ৫০ টাকা সময় লাগবে ২ ঘন্টার মত। দূর্গাপুর বাজার থেকে মোটর সাইকেল নিয়েও যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে।
আর যদি ঢাকা থেকে বাসে যেতে চান, মহাখালি বাস স্ট্যান্ড থেকে সন্ধার পরে কয়েকটা বাস যায় দুর্গাপুর আর কলমাকান্দা তে ভাড়া ৩৫০ টাকা(নেত্র পরিবহন, হজরত সাহাজালাল র: পরিবহন নন এসি আরো কিছু বাস আছে)।
লেঙ্গুরা বাজারে খাওয়ার তেমন কোন ভালো হোটেল নাই। সকালের নাস্তা দুর্গাপূর বাজার থেকে করে যেতে হবে আবার দুপুরের খাবারও দুর্গাপুর বাজারে এসেই করতে হবে। দুপুরের খাবার খেয়ে সময় থাকলে বাইক নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বিরিসিরির চিনামাটির পাহাড়। বাইক ভাড়া ৩০০/৪০০ টাকা নিবে। অথবা একটা বিকাল সোমেশ্বরী নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দিতে পারেন।
আর যদি দুইদিনের প্লান করেন তা হলে দ্বিতীয় দিন বাইক বা অটো রিকশা নিয়ে দুর্গাপুরের বিজয়পুর চিনামাটির পাহাড়, লেক, বিজয় নগর বিজিবি ক্যাম্প, গারো পাহাড়, কমলা বাগান, রানীখং মন্দির, ওয়াচ টাওয়ার, সোমেশ্বরী নদী, কালচারাল ক্লাব এই সব যায়গা গুলোও ঘুরে দেখতে পারবেন। বাইক নিলেই ভালো হবে। বাইকের খরচ ৫০০/৬০০ টাকা(মুলামুলি করতে হবে)। বিরিসিরি বাজারে কয়েকটা থাকার মোটামুটি মানের হোটেল আছে। দুর্গাপুর বাজার থেকে বিরিসিরি বাজারের দূরত্ব ১:৬ কিমি। আটো/সিএনজি ভাড়া ১০ টাকা।
দুর্গাপুর থেকে রাত ১০:৩০ মিনিটে ঢাকার বাস ছাড়ে।
অবশেষে যেখানেই ঘুরতে যান ময়লা আবর্জনা (বিশেষ করে অপচনশীল দ্রব্য) যত্রযত্রতত্র ফেলে পরিবেশ নস্ট করবেননা।