পাঁচ গম্বুজ
ঐতিহাসিক কুতুব শাহী মসজিদটি পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট। এটি বাংলার সুলতানী ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত।মসজিদের নির্মান কাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়।কেউ কেউ এটাকে ১৬শ শতাব্দীতে নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিকগণ এটা ১৭শ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন।১৭শ শতাব্দীর প্রথমদিকে নির্মিত বলেই এই মসজিদটিতে সুলতানী ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্টে পরিলক্ষিত হয়। বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহ নামনুসারে এই মসজিদটির নাম করণ করা হয়েছে।মসজিদের পাশে এই দরবেশের কবর অবস্থিত । আয়তকার এই মসজিদটি উত্তর-দক্ষিনে ৪৬’-১১” এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৭’-১১”।বাংলার চৌ-চালা ঘরের চেয়েও এর কার্নিশ গুলি অধিক বক্র।এর চার কোনে আট কোন বিশিষ্ট চারটি মিনার রয়েছে।বহির্গাত্রে প্যানেলিং এর কারুকার্য রয়েছে।এর পুর্ব দেয়ালে ৩টি এবং উত্তর-দক্ষিনে ২টি করে ৪টি সর্বমোট ৭টি সুলতানী খিলান যুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে।পুর্ব দেয়ালে প্রবেশপথের বিপরীতে পশ্চিম দেয়ালে ৩টি মেহরাব রয়েছে।১৯০৯ ইং সালে সরকার মসজিদটিকে সংরক্ষিত পূরাকীর্তি হিসাবে ঘোষনা করে।
কিভাবে যাবেন:
সবচেয়ে ভালো হলো ট্রেনে যাওয়া। প্রতিদিন সকাল ৭ টায় এগারসিন্দুর প্রভাতি (বুধবার বন্ধ) ছাড়ে কিশোরগন্জের উদ্দ্যেশ্যে। এতে উঠে কুলিয়ারচর নেমে পড়ুন। এছাড়া সায়েদাবাদ তিশা এবং গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া থেকে বিআরটিসি বাসে করেও কুলিয়ারচর যাওয়া যায়। যারা ভৈরব হয়ে যেতে চান তারা ভৈরব নেমে সিএনজিতে করে কুলিয়ারচর যাবেন। শেয়ারে ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৫০ টাকা।কুলিয়ারচর নেমে একটা রিক্সা নিয়ে চলে যান লঞ্চঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন সকাল ৬ টা, ৮ টা, ৯ টা, ১১ টা এমনি করে ৩ টা পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যায় অষ্টগ্রাম।সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘন্টা। তারপর অষ্টগ্রাম থানা বা ডাকবাংলো কাছ থেকে ১০ টাকা অটো ভাড়ায় ঐতিহাসিক কুতুব শাহী মসজিদে যাওয়া যায়। থাকার জন্য সরকারী ডাকবাংলো আছে যাওয়ার পর ও অনুমতি নিয়ে থাকা যাবে।
Post Copied From:Adv Kamrul Hasan Sumon>Travelers of Bangladesh (ToB)