প্রকৃতিক সৌন্দর্য, বাংলাদেশ ও আমাদের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান দর্শনীয় স্থানগুলি:

প্রকৃতিক সৌন্দর্য, বাংলাদেশ ও আমাদের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান।

দর্শনীয় স্থান:

১.নীলাচল

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ ও হেমন্ত— তিন ঋতুতে আকাশ ছোঁয়া যায় মেঘ,শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫ কি:মি:

২. নীলগিরি

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চে অবস্থানের কারণে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র সর্বদা মেঘমণ্ডিত,শহর থেকে চান্দের গাড়ি করে নীলগিরি যাওয়ার আনন্দটা বলে বুঝানো যাবেনা। শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৩ কি: মি:। যাওয়ার পথে মিলনচড়ি থেকে নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে যেনো একদম ভুল না হয় 😊

৩. তাজিংডং

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১২৮০ মিটার, জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

৪. সাকা হাফং

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১০৫২ মিটার।

৫. কেওক্রাডং

সমুদ্রপৃষ্ট হতে উচ্ছতা ৮৮৩ মিটার,জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

৬. রাইখিয়াং খাল

বাংলাদেশের দীর্ঘতম খাল।

৭. মেঘলা:

বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৫ কি:মি: আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। ঝুলন্তব্রীজ মেঘলার প্রধান আকর্ষন।

৮. নাফাখুম জলপ্রপাত:

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রোমাক্রি ইউনিয়নে অপস্থিত। পানি প্রবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত।

৯. সাফাখুম জলপ্রপাত

১০. আমিয়াখুম জলপ্রপাত

১১. সাতভাইখুম জলপ্রপাত

১২. বগাকেইন লেক

১৩.বগা লেক
প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে পাহাড়ের উপর জলরাশি সঞ্চার করে তৈরি করেছে এই হ্রদ। সমুদ্র সমতল হতে প্রায় ১৭০০ ফিট উপরে পাহাড় চূড়ায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই অত্যাশ্চর্য হ্রদটি। বিষয়টি যতটা না অবিশ্বাস্য, যতটা না অলৈাকিক তার চাইতেও বেশী এর সৌন্দর্য। শান্তজলের হ্রদ আকাশের কাছ থেকে একমুঠো নীল নিয়ে নিজেও ধারন করে নিয়েছে সেই বর্ণীল রং।

১৪. জাদিপাই ঝর্না

১৫. বুদ্ধ ধাতু জাদি

বুদ্ধ ধাতু জাদি যা বান্দরবন স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিত। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির,পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি বালাঘাট থেকে ৪ কিমি এবং বান্দরবন সদর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত।

১৬. জাদিপাই ঝর্ণা

১৭.আলীকদম গুহা:

আলীকদম বাজার অথবা পানবিবির বাজার থেকে আপনাকে প্রায় এক থেকে দুই ঘণ্টা হাঁটতে হবে। নদী, পাহাড় আর সবুজ ক্ষেতের অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে হাটার কাজটি কষ্টসাধ্য মনে হবে না যদিও শেষের দিকে আপনার চলার পথটি একটু দুর্গম আর আপনাকে কিছু স্থানে পাহাড়ের গায়ে সৃষ্ট ফাটল ব্যবহার করে বেয়ে উঠতে হবে।

১৮. চিম্বুক পাহাড় ও উপজাতীয় গ্রাম
রেমাক্রী

১৯. শৈলপ্রপাত:

বান্দরবান শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে থানচিমুখী সড়কে শৈলপ্রপাত নামক এই ঝর্ণাটি অবস্থিত।

২০. রাজবিহার এবং উজানিপাড়া বিহার

২১. প্রান্তিক লেক

২২. জীবননগর

২৩. কিয়াচলং লেক

২৪. চিংড়ি ঝর্ণা

২৫. সাঙ্গু নদী:

মন পাগল করা,অদ্ভুত সুন্দর এক পাহাড়ী নদীর নাম শঙ্খ বা সাংগু । পাহাড়ের কোল বেয়ে এঁকেবেঁকে চলছে । মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের পাহাড় থেকে শুরু করে বান্দরবানের ভিতর দিয়ে ১৭৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অবশেষে কর্ণফুলি হয়ে বঙ্গপোসাগরে পড়েছে ( ভালো লাগার দিক থেকে নৌকা দিয়ে সাঙ্গু নদী ভ্রমণ আমার কাছে সবার প্রথমে )

Share:

Leave a Comment