বর্ষাকালের মনপুরা ভ্রমণ বিতান্ত ও খরচাপাতি

ঢাকা থেকে লঞ্চে মনপুরা কেবিন সিংগেল ৮০০ টাকা , ডাবল ১৮০০ টাকা , ডেক ৩০০ টাকা । হাজির হাট এ থাকার জন্য আবাসিক হোটেল পাওয়া যায় । ডাক বাংলো তে ৫০০-৬০০ টাকা । অন্যান্য ৩/৪ টা হোটেল আছে ,হোটেল হানিফ ভাল মানের ডাবল বেড এর রুম ৬০০ টাকা সর্বোচ্চ । মনপুরার প্রধান খরচ হলো রিক্সা ভাড়া অথবা মোটর সাইকেল , লঞ্চ ঘাট থেকে হাজির হাট ১০০ টাকা প্রতি মোটরসাইকেল , সর্বোচ্চ ২ জন উঠা যায় । হাজির হাট থেকে সাকুচিয়া যেতে রিক্সায় পড়বে ৫০০ টাকা ৩ জন যাওয়া যায় সাকুচিয়া যাওয়ার পথে পরবে কেওড়া বন (১ রিকসা) যাওয়া + আসা , দামাদামি করে নিবেন মোটরসাইকেল ও এমন ই ,পুরো দিনের জন্য প্রতি মোটর সাইকেল ১০০০ টাকা করে চাইছিল কিন্তু আমরা রিক্সায় গিয়েছিলাম ধীরে যাইতে পারি সব দেখতে দেখতে এ জন্য । হাজির হাট থেকে চৌধুরী প্রজেক্ট ৭০-১০০ টাকা প্রতি রিক্সায় । ডাক বাংলো হাজির হাট বাজার থেকে একটু দূরে , হেটেই যাইতে পারবেন , রিক্সায় ১০ টাকা পার পিচ , হাজির হাট ল্যান্ডিং স্টেশনে হেটে যাওয়া যায়।

এবার আসি খাবারে, হোটেল সকাল ৭ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । মুরগী ৭০-৮০ টাকা , টেংরা মাছ ৬০ টাকা, আরও অনেক মাছ পাবেন সকালের নাস্তার জন্য রুটি , পরোটা পাওয়া যায় , সাথে মিষ্টি , ফিরনী , সবজি ডাল পাবেন , দাম কম ই । মিষ্টি ১০ টাকা আর ২০ টাকা পিচ এর পাওয়া যায় ।

সব মিলিয়ে খুব ভালোভাবে চললেও ১৮০০-২০০০ বেশী যাবে না আশা করি

যেভাবে যাবেনঃ

সদরঘাট থেকে সন্ধ্যায় তাশরীফ ১/২ (৬ টা) , এম ভি ফারহান(৫.৩০ টা) লঞ্চ ছেড়ে যায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ।তাশরীফ এর মান ফারহান এর থেকে ভাল পরদিন ভোর ৬ টার মাঝে নেমে দিবে মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটে, নেমে মোটর সাইকেল অথবা রিক্সায় সব জায়গায় যেতে পারবেন । ঢাকায় ফেরার সময় দুপুর ১,৩০ এ ফারহান এবং দুপুর ২ টার তাশরীফ লঞ্চ মনপুরা ছেড়ে আসে । কেবিন নিলে আগে থেকে বুকিং দিবেন

সতর্কীকরনঃ পুরো দ্বীপ খুব পরিষ্কার , আমরা রাস্তা, নদীর পার এমন সব জায়গাতে অপ্রয়োজনীয় কিছু পড়ে থাকতে দেখি নি ! ঝকঝকে পরিষ্কার ছিল সব । তাই আমরাও কোন ময়লা করবো না আশা করি আর মানুষ গুলা কে আমদের অনেক সহজ সরল মনে হইছে, বিদ্যুৎ সারাদিন থাকে না রাত ৬ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত থাকে।

Source:  Anik Ovishek‎ < Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment