বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট- তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়.
#আমার_অদেখা_বাংলাদেশ_০পয়েন্ট_বাংলাবান্দা_তেতুলিয়া_পঞ্চগড়
আপনার কি মনে শান্তি নেই? অফিসে বস দাব্রানি দেয়, বাসায় গেলে বউ ঘেন ঘেন করে? একদিকে সিজিপিএ ক্রমাগত নিম্নমুখি, অন্যদিকে ফুডব্যাংকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেস্টুরেন্টের পোস্টে গফের টেগানি খেতে খেতে মানিব্যাগ আর মন দুটোই ঝাঁঝরা? তাহলে এই পোস্ট আপনারই জন্য!! এখনি ব্যাগ গুছিয়ে নিন আর চলে যান কল্লানপুর বাস স্ট্যান্ডে। পঞ্চগড়গামি হানিফ, নাবিল বা অন্য যেকোনো বাসে উঠে পরুন। সকালে নেমে যান পঞ্চগড় শহরে। তারপর লোকাল বাস বা সিএনজি নিয়ে তেতুলিয়ার পথে। শহর থেকে রওনা দেয়ার ১০ মিনিটের মাথায় হাতের বাম দিকে আপনি যেই দৃশ্য দেখবেন আশা করি ঢাকা শহরে ফেলে আসা গেঞ্জাম অর্ধেক ভুলে যাবেন তখনি। এর পর চলে যান তেতুলিয়া ডাকবাংলোর পাশে। সামনে নিল রঙের মহানন্দা নদী, ওইপারে ইন্ডিয়ার চা বাগান, চা বাগানের ভিতর দিয়ে ট্রেন যাবার শব্দ, এবং তার পরে ……
জি, তেতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার কথাই বলছিলাম এতক্ষন। সিজন শুরু হয়ে গেছে, মধ্য অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সবচে ভাল দেখা যায় এই দৃশ্য। সূর্যের আনুভূমিক অবস্থানের কারনে এই সময়ে সকালবেলায় সূর্যের আলো কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রতিফলিত হয়ে আমাদের এইদিকে ফিরে আসে, তাই বছরের অন্য সময়ে এটা দেখা যায়না। তারপরও কপাল খারাপ হলে দার্জিলিং সাইডে মেঘের কারনে দেখা নাও যেতে পারে, তবে মন খারাপ করার কিছু নেই। ডাকবাংলোর সান্মের বাগানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা আপনার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে, কথা দিতে পারি। বস, বউ বা গফের যাবতীয় প্যারা এক নিমিষেই ভুলে যাবেন 😉 তাছাড়া আছে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, দেশের একমাত্র সমতল ভুমির চা বাগান কাজি অ্যান্ড কাজি টি এস্টেট।
সারাদিন ঘুরে রাতের গাড়িতে চাইলে আবার ঢাকা ফিরে আসতে পারেন। তেতুলিয়ায় থাকার জায়গা কম। ডাকবাংলো একটা অপশন, আরেকটা কি জানি আছে নাম ভুলে গেছি। আর যদি রাতে থাকেন তবে অবশ্যই সূর্য উঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা বরাবর তাকায়ে থাকবেন। প্রথম সূর্যের আলো কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে পড়ার দৃশ্য, সিম্পলি অপার্থিব !!!!
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে পঞ্চগড়, তারপর বাস বা সিএনজি তে করে তেতুলিয়া। দেরি না করে রওনা দিয়ে দিন। এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য। 😉