বোটানিক্যাল গার্ডেন
#বাকৃবির_নিসর্গ_বোটানিক্যাল_গার্ডেন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অপার সৌন্দর্য্যকন্যা বোটানিক্যাল গার্ডেনটিকে একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ ছুটে আসে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সম্পর্কে অতি সহজে ধারণা পাওয়া যায় এ বাগানে।
যা বিমোহিত করে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের। বোটানিক্যাল গার্ডেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা বোটানিক গার্ডেন্স কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল (বিজিসিআই) কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেন এটি।
বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় গাছেদের মানুষের কাছে তুলে ধরতে ১৯৬৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওসমান গণির হাত ধরে ২৫ একর (প্রায় ৭৫বিঘা) জমি নিয়ে গার্ডেনটি যাত্রা শুরু করে। গার্ডেনটি শুধু যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য এনে দিয়েছে তাই নয়, এর মাধ্যমে পুরো ময়মনসিংহ শহরে পেয়েছে নতুন মাত্রা। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে গড়ে ওঠা এ গার্ডেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনোদনের পাশাপাশি ভ্রমনপিপাসু ও স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, চিরহরিৎ বনাঞ্চল, ঝাউ-থুজা, ঊষর মরুর বুকে প্রাণ জাগানিয়া রক গার্ডেন, শাপলা-পদ্মফুলের ঝিল, কৃত্রিম দ্বীপ, নারিকেল কর্ণার, বিলুপ্তপ্রায় বাঁশঝাড়সহ বিচিত্র উদ্ভিদরাজির সমাহার এ বোটানিক্যাল গার্ডেন।
#যেভাবে_যাবেন :
ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ১৫-২০ মিনিট পরপর ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। এনা, শ্যামলী বাংলা, আলম এশিয়া, সৌখিন, সোনার বাংলা প্রভৃতি বাসে চড়ে আসতে পারেন। সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। এনা গাড়িতে আসলে ভাড়া নেবে ২২০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য ইত্যাদি গাড়িতে ভাড়া প্রায় ১২০-১৫০ টাকা। এছাড়া আপনি ট্রেনে চড়েও আসতে পারেন। বাসে আসলে ময়মনসিংহ এসে মাসকান্দা বা ব্রিজ মোড় নামিয়ে দিবে। মাসকান্দা হতে ক্যাম্পাসে আসতে অটোতে সবোর্চ্চ ভাড়া ২০ টাকা এবং ব্রিজ মোড় থেকে অটোতে ১০ টাকা লাগবে।