বান্দোস আইল্যান্ড রিসোর্ট, মালদ্বীপ

বান্দোস আইল্যান্ড রিসোর্ট, মালদ্বীপ।

লাইফের অন্যতম বেস্ট ট্যুর ছিলো। স্রেফ স্বর্গের মত একটা জায়গা,জাস্ট উপভোগ করেছিলাম।

বান্দোস আইল্যান্ড রিসোর্ট, মালদ্বীপ।লাইফের অন্যতম বেস্ট ট্যুর ছিলো। স্রেফ স্বর্গের মত একটা জায়গা,জাস্ট উপভোগ করেছিলাম।ট্যুর রিভিউঃঢাকা থেকে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স এর কলম্বো কানেকটিং বিরক্তিকর ফ্লাইট শেষ করে মালে'র ভেলানা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট যখন পৌছাই তখন রাত ১২:৩০,এয়ারপোর্ট এ আগে থেকে অপেক্ষমাণ হোটেল এজেন্ট তাদের গাড়িতে করে নিয়ে যায় পাশের হুলুমালে বীচ এরিয়ার হোটেল রিপল বীচে। প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম,গিয়েই ফ্রেশ হয়ে ডিনার শেষ করেই শুভ রাত্রি করে ফেললাম।পরদিন সকালে আট টার দিকে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে হাত বাড়ানো দুরত্বে ভারত মহাসাগর এর নীল জলরাশি দেখেই বুঝে ফেললাম মালদ্বীপ তার পুরো সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। হোটেলের ডাইনিং এ ব্রেকফাস্ট সেরে অফিশিয়াল কাজে ছুটলাম মালের উদ্দেশ্যে,হুলুমালে ফেরীঘাট থেকে সাড়ে পাচ রুফিয়া দিয়ে টিকেট নিয়ে রওনা হলাম সাগরকন্যা মালদ্বীপ এর রাজধানী শহরের দিকে। ২০/২৫ মিনিট লাগলো যেতে,গিয়ে যেটা বুঝলাম,পৃথিবীর সবচেয়ে সরু আর ছোট স্ট্রীটের শহরে চলে এসেছি😂😂 জাস্ট স্কুটি আর বাইকের শহর মালে,অল্প কিছু ট্যাক্সি আছে বাট রাস্তা গুলো এতো সরু যে একটু ওয়াইড বডি গাড়ি হলে সমস্যা হয়ে যাবে। যাইহোক,মালে তে কাজ শেষ করে সেদিনই ব্যাক করলাম হুলুমালে'র হোটেলে।রাতে জাস্ট হুলুমালে বীচেই কাটিয়ে দিলাম।পরদিন রওনা হলাম পরম আকাঙ্ক্ষিত বান্দোস আইল্যান্ড রিসোর্ট এর উদ্দেশ্যে,এয়ারপোর্ট এর সামনে জেটি থেকে রিসোর্ট এর স্পীডবোটে উঠে রওনা হলাম তুলনামূলক উত্তাল ভারত মহাসাগর এর বুক চিরে দৌড় দেয়ার জন্য। প্রায় ৬০০ দ্বীপ এর এই দেশে রিসোর্ট গুলোও এক একটা দ্বীপ,হুলুমালে থেকে বান্দোস আইল্যান্ড যেতে স্পীডবোটেও সময় লাগলো ৪০ মিনিট,সাথে উথালপাতাল বুকে কাপন ধরিয়ে দেয়া ঢেউ,একটু ভয় লাগেনি যে তা না😁😁 কিন্তু বোট থেকে নামার পর যা দেখতে শুরু করলাম তা কীবোর্ড এর চাপে,বা মুখের ভাষায় প্রকাশ করা আদতে সম্ভব নয়।ভিডিওতে দেখে নিয়েন। ছোট অভ্যর্থনা থেকে শুরু করে সেখানকার পরিবেশ,খাবারদাবার,অন্যান্য সুযোগসুবিধায় যে চমৎকার গোছানো এবং চরম বিলাসিতার সাথে পরম সাধারনের অসাধারণ যোগসুত্র পেয়েছিলাম তা কোনোদিন ভুলতে পারবোনা সে আমার মেমোরি যতই গোল্ডফিশ এর কাছাকাছি হোক!!কি ছিলোনাঃ স্কুবা ডাইভিং,স্নরকেলিং,ডীপ সি ডাইভিং,সার্ফিং,আন্ডারওয়াটার রিসার্চের সুবিধা,বোট ট্রাভেলিং আরো অনেক কিছু পেয়ে আপনি পুরোপুরি নিজেকে একজন ডীপ সী মেরিনার কিংবা আন্ডারওয়াটার সায়েন্টিস্ট ভাবতে পারেন কিছুক্ষনের জন্য!!!ব্যুফে মেনুগুলোও ছিলো ভুড়িরসিকদের জন্য আরামদায়ক,ল্যাম্ব স্টেক,চপ,টুনা(ঐতিহ্যবাহী) কারি,টুনা সালাদ,টুনা কাটলেট,বীফ মোলোংগানা, চিকেন ফেস্টিভ্যাল সহ আরো হাবিজাবি নাম না জানা মেন্যু,অগুনতি কেকে,ডেজার্ট,পেস্ট্রি সহ লোভ দেখানো ব্যাপারস্যাপার।পুরান ঢাকার লোকজন গেলে কোপ দিবে শুধু কোপ😂😂😂মাছে ভাতে বাঙালি আমি ওখানেও গিয়েও স্মার্ট হতে পারিনি,খুজেছি শুধু স্টিম রাইস, মাত্র একটা পদের রাইস আইটেম পেয়ে মুখটা চুপসেই গেছে সংগে সংগে😁😁এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় রিসোর্টে কালচারাল প্রোগ্রাম হয়,সব গেস্টরা অতিথি হিসেবে উপভোগ করে,সাথে স্ন্যাক্স,বিয়ার(যার প্রয়োজন) সহ অনেক কিছুই থাকে।রিসোর্টের ভিলা গুলোও দারুণ ভেরিয়েশনে ভাগ করা ছিলো,গার্ডেন ভিলা,বীচ ভিলা,কোয়ার্টার।এই গরীব গার্ডেন ভিলা তেই ছিলো,ওয়াটারে যাবার সাহস হয়নি😉😉যাইহোক,কীবোর্ড দিয়ে তো সব প্রকাশ সম্ভব না। বাট সারাজীবন মনে রাখার মত একটা ট্যুর ছিলো,ট্রাভেল প্রেমীরাও ঘুরে আসতে পারেন যেকোনো সময়।পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।এপ্রোক্সিমেট কস্টিংঃএটা অনেকটাই নিজের উপর। টিকেট ফেয়ার পার পার্সন আসা যাওয়া ৫০০০০ টাকা,হুলুমালে তে আমি যে হোটেলে ছিলাম,সেখানে পার নাইট কস্ট ৬০ ডলার। আর রিসোর্ট এ পার নাইট টোটাল কস্ট উইথ ব্যুফে ১২০ ডলার।থাকা খাওয়া ছাড়া বাকী ফিচার গুলোর জন্য আলাদা প্রাইস আছে।আমাদের দুইজনের টোটাল খরচ হয়েছিলো প্রায় ২.৫ লাখ টাকা,এর ভেতর নিজেদের বিভিন্ন খরচ আছে।**পানির ব্যাপারটা খুব কেয়ারফুলী হ্যান্ডেল করতে হবে,পানি খুবই এক্সপেনসিভ মালদ্বীপে। রিসোর্টে পানি/ড্রিংক্স আপনাকে আলাদা কিনে খেতে হবে,প্যাকেজের বাইরে।পানির দাম, লোকাল ব্র‍্যান্ড-০৪ ডলার,এভিয়ান-০৬ ডলার, পেরিয়ার-০৮ ডলার।সবগুলো ২ লিটার বোতল।রিসোর্ট ভেদে আরো বেশিও হতে পারে।

Posted by Mahbub Elahi on Thursday, November 2, 2017

ট্যুর রিভিউঃ

ঢাকা থেকে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স এর কলম্বো কানেকটিং বিরক্তিকর ফ্লাইট শেষ করে মালে’র ভেলানা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট যখন পৌছাই তখন রাত ১২:৩০,এয়ারপোর্ট এ আগে থেকে অপেক্ষমাণ হোটেল এজেন্ট তাদের গাড়িতে করে নিয়ে পাশের হুলুমালে বীচ এরিয়ার হোটেল রিপল বীচে।
প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম,গিয়েই ফ্রেশ হয়ে ডিনার শেষ করেই শুভ রাত্রি করে ফেললাম।

পরদিন সকালে আট টার দিকে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে হাত বাড়ানো দুরত্বে ভারত মহাসাগর এর নীল জলরাশি দেখেই বুঝে ফেললাম মালদ্বীপ তার পুরো সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। হোটেলের ডাইনিং এ ব্রেকফাস্ট সেরে অফিশিয়াল কাজে ছুটলাম মালের উদ্দেশ্যে,হুলুমালে ফেরীঘাট থেকে সাড়ে পাচ রুফিয়া দিয়ে টিকেট নিয়ে রওনা হলাম সাগরকন্যা মালদ্বীপ এর রাজধানী শহরের দিকে। ২০/২৫ মিনিট লাগলো যেতে,গিয়ে যেটা বুঝলাম,পৃথিবীর সবচেয়ে সরু আর ছোট স্ট্রীটের শহরে চলে এসেছি😂😂
জাস্ট স্কুটি আর বাইকের শহর মালে,অল্প কিছু ট্যাক্সি আছে বাট রাস্তা গুলো এতো সরু যে একটু ওয়াইড বডি গাড়ি হলে সমস্যা হয়ে যাবে। যাইহোক,মালে তে কাজ শেষ করে সেদিনই ব্যাক করলাম হুলুমালে’র হোটেলে।রাতে জাস্ট হুলুমালে বীচেই কাটিয়ে দিলাম।

পরদিন রওনা হলাম পরম আকাঙ্ক্ষিত বান্দোস আইল্যান্ড রিসোর্ট এর উদ্দেশ্যে,এয়ারপোর্ট এর সামনে জেটি থেকে রিসোর্ট এর স্পীডবোটে উঠে রওনা হলাম তুলনামূলক উত্তাল ভারত মহাসাগর এর বুক চিরে দৌড় দেয়ার জন্য। প্রায় ৬০০ দ্বীপ এর এই দেশে রিসোর্ট গুলোও এক একটা দ্বীপ,হুলুমালে থেকে বান্দোস আইল্যান্ড যেতে স্পীডবোটেও সময় লাগলো ৪০ মিনিট,সাথে উথালপাতাল বুকে কাপন ধরিয়ে দেয়া ঢেউ,একটু ভয় লাগেনি যে তা না😁😁কিন্তু বোট থেকে নামার পর যা দেখতে শুরু করলাম তা কীবোর্ড এর চাপে,বা মুখের ভাষায় প্রকাশ করা আদতে সম্ভব নয়।ভিডিওতে দেখে নিয়েন।

ছোট অভ্যর্থনা থেকে শুরু করে সেখানকার পরিবেশ,খাবারদাবার,অন্যান্য সুযোগসুবিধায় যে চমৎকার গোছানো এবং চরম বিলাসিতার সাথে পরম সাধারনের অসাধারণ যোগসুত্র পেয়েছিলাম।

কি ছিলোনাঃ স্কুবা ডাইভিং,স্নরকেলিং,ডীপ সি ডাইভিং,সার্ফিং,আন্ডারওয়াটার রিসার্চের সুবিধা,বোট ট্রাভেলিং আরো অনেক কিছু পেয়ে আপনি পুরোপুরি নিজেকে একজন ডীপ সী মেরিনার কিংবা আন্ডারওয়াটার সায়েন্টিস্ট ভাবতে পারেন কিছুক্ষনের জন্য!!!

ব্যুফে মেনুগুলোও ছিলো ভুড়িরসিকদের জন্য আরামদায়ক,ল্যাম্ব স্টেক,চপ,টুনা(ঐতিহ্যবাহী) কারি,টুনা সালাদ,টুনা কাটলেট,বীফ মোলোংগানা, চিকেন ফেস্টিভ্যাল সহ আরো হাবিজাবি নাম না জানা মেন্যু,অগুনতি কেকে,ডেজার্ট,পেস্ট্রি সহ লোভ দেখানো ব্যাপারস্যাপার।পুরান ঢাকার লোকজন গেলে কোপ দিবে শুধু কোপ😂😂😂

মাছে ভাতে বাঙালি আমি ওখানেও গিয়েও স্মার্ট হতে পারিনি,খুজেছি শুধু স্টিম রাইস, মাত্র একটা পদের রাইস আইটেম পেয়ে মুখটা চুপসেই গেছে সংগে সংগে😁😁

এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় রিসোর্টে কালচারাল প্রোগ্রাম হয়,সব গেস্টরা অতিথি হিসেবে উপভোগ করে,সাথে স্ন্যাক্স,বিয়ার(যার প্রয়োজন) সহ অনেক কিছুই থাকে।

রিসোর্টের ভিলা গুলোও দারুণ ভেরিয়েশনে ভাগ করা ছিলো,গার্ডেন ভিলা,বীচ ভিলা,কোয়ার্টার।এই গরীব গার্ডেন ভিলা তেই ছিলো,ওয়াটারে যাবার সাহস হয়নি😉😉

যাইহোক,কীবোর্ড দিয়ে তো সব প্রকাশ সম্ভব না। বাট সারাজীবন মনে রাখার মত একটা ট্যুর ছিলো,ট্রাভেল প্রেমীরাও ঘুরে আসতে পারেন যেকোনো সময়।পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।

এপ্রোক্সিমেট কস্টিংঃ

এটা অনেকটাই নিজের উপর। টিকেট ফেয়ার পার পার্সন আসা যাওয়া ৫০০০০ টাকা,হুলুমালে তে আমি যে হোটেলে ছিলাম,সেখানে পার নাইট কস্ট ৬০ ডলার। আর রিসোর্ট এ পার নাইট টোটাল কস্ট উইথ ব্যুফে ১২০ ডলার।থাকা খাওয়া ছাড়া বাকী ফিচার গুলোর জন্য আলাদা প্রাইস আছে।
আমাদের দুইজনের টোটাল খরচ হয়েছিলো প্রায় ২.৫ লাখ টাকা,এর ভেতর নিজেদের বিভিন্ন খরচ আছে।

**পানির ব্যাপারটা খুব কেয়ারফুলী হ্যান্ডেল করতে হবে,পানি খুবই এক্সপেনসিভ মালদ্বীপে। রিসোর্টে পানি/ড্রিংক্স আপনাকে আলাদা কিনে খেতে হবে,প্যাকেজের বাইরে।পানির দাম, লোকাল ব্র‍্যান্ড-০৪ ডলার,এভিয়ান-০৬ ডলার, পেরিয়ার-০৮ ডলার।সবগুলো ২ লিটার বোতল।রিসোর্ট ভেদে আরো বেশিও হতে পারে।

Copied from: Mahbub Elahi > Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment