বাড়বকুন্ড তীর্থধাম ও ঝর্ণা – বাড়বকুন্ড, সীতাকুন্ড

প্রাচীণ মন্দির, মসজিদ ও যে কোনো স্থাপত্য দেখার আগ্রহ আমার অনেক বেশি – প্রাচীণত্বে হারিয়ে যাওয়ার রাস্তা বলা যায় এটাকে!! আর তা যদি হয় পাহাড় আর প্রকৃতির মাঝের কোনো প্রাচীণ স্থাপত্য – তাহলে এর অনুভূতি কি বুঝিয়ে বলার দরকার আছে?? ☺️☺️

সীতাকুন্ড ট্যুরের তৃতীয় দিন আমরা সকালে হোটেল থেকে বের হয়েই বাড়বকুন্ড বাজারে চলে আসি – এখান থেকে পাহাড় সামনে রেখে একদম সোজা যেতে থাকলেই একসময় মন্দিরগুলি সামনে এসে পড়ে – ঘন্টা খানেক লাগে হেটে যেতে – দিনটা ছিলো মেঘলা আকাশ, টিপটিপ বৃষ্টি – মজার সময়! তারমধ্যে মন্দিরের সামনে দেখি আমের বাগান – গাছপাঁকা আম পেরে খেতে খেতে মন্দির দেখা হলো… 😋😋😋 মজার ব্যাপার প্রাকৃতিকভাবে জ্বলতে থাকা অগ্নিকুণ্ড… মজা পেয়েছি, জলে আগুন জ্বলছে!!

ঝর্ণার ট্রেইলটা হাতের ডাইনে- ট্রেইল বেশি বড় না, ত্রিশ চল্লিশ মিনিট হাটলেই বড় বড় পাথর ভেঙে পড়ে আছে দেখা যায় শেষমাথায়, তারও উপরে মূল ঝর্ণাটা – পানি ছিলোনা বলে তেমন মজা পাইনি – মূল মজা পেয়েছি পাঁকা আমে!! 😋😋😋

রুট : – দেশের যে কোনো স্থান থেকে চট্রগ্রামের বাড়বকুন্ড বাজার, তারপর পাহাড় সামনে রেখে সোজা হাটটে থাকা… স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই পথ দেখিয়ে দেবে… গাইড নেয়ার একদমই প্রয়োজন নেই, কারন পথে হারানোর ভয় নেই… কর্দমাক্ত পথ! কিছুটা ঝামেলার সৃষ্টি করবে – এইটুকুই!!

Source: Khalid Mahmud‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment