বিছনাকান্দি ডেথ জোন
**বিছনাকান্দি ডেথ জোন** বিস্তারিত… সচেতনতায় Tourist Police Bangladesh
বিছানাকান্দি ডেথ জোন আসলে কি ???
দেখুন আসলে যে কোন পানি পূর্ণ জায়গাই ডেথ জোন যদি আপনি সাতার না জানেন এবং সতর্ক ও সচেতন না থাকেন . গুগল ম্যাপ হতে নেয়া প্রথম ছবি টি দেখুন … সোজা লাল দাগটি বর্ডার … সবুজ অংশ টি পাথুরে জায়গা যেখানে পানির গভীরতা খুব বেশি হলে 1-2 ফিট এবং এখানেই ট্যুরিস্ট রা নেমে থাকেন. ট্যুরিস্টরা এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ … লাল দাগ দেয়া জায়গাটি আসলে পাথরের কুয়ারি . এখান থেকে পাথর তোলার কারণে বেশ গভীর গর্ত আছে (দ্বিতীয় ছবিটি দেখলে গর্তের গভীরতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন .
এবার বর্ষাকালের একটি ছবি দেখি (তৃতীয় ছবি ) এখানে দেখুন পানিতে ফেনা অংশটি আসলে সবুজ দাগ দেয়া অগভীর অংশ এবং লাল বৃত্তাকার অংশটি গভীর পানি যেখানে সাতার না জানা থাকলে আপনি সহজেই ডুবে যাবেন .. কিন্তু আসল কথা হচ্ছে আপনি যত বড়ই সাঁতারু হোন না কেনো এই অংশে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোত এত বেশি যে আপনিও পানির ঘৃর্নির টানে ডুবে যাবেন … তাই এই অংশে বা এর কাছাকাছি কারোরই নামা উচিত না ..নামলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নামবেন . আরো সুবিধার জন্য চতুর্থ ছবি দেখুন ……
ডেথ জোনের থেকে বাচতে কি করব ?
দেখুন আপনাদের সচেতনতাই পারবে আপনাকে বাচাতে. কক্সবাজার কুয়াকাটা মাধবকুন্ড জাফলং বিছানাকান্দি যে কোন পানি ও পানির স্রোত পূর্ণ এলাকায় সাতার না জানলে গভীর পানিতে নামবেন না .. সাতার জানা থাকলেও আগে জেনে নিন ওখানে পানির গভীরতা এবং স্রোত কেমন … কোন কিছু না জেনে না বুঝে আগেই গিয়ে পানিতে ঝাপ দেবেন না … লোকাল কাউকে আগে জিগাসা করুন.. আমাদের কে আগে ফোন দিয়ে বা পেজে মেসেজ দিয়ে জেনে নিন … prevention is always better than cure.
বিছানাকান্দি বেড়াতে যাবো কি ?
যাবেন .. তবে একটু সতর্ক হয়ে বুঝে পানিতে নামলে ভয়ের কিছু নেই..
আগে থেকেই কেন লাল পতাকা টাঙানো হয়নি ? কেন আপনাদের লোক টুরিস্টদের আগে সচেতন করেনি ?
দেখুন পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির পরিমানের উপর নির্ভর করে এখানকার স্রোত ও পানির গভীরতা পরিবর্তন হয় .. তাই আসলে লাল পতাকা দিয়ে কখনোই সঠিক ভাবে এই জায়গা চিন্নিত করা সম্ভব না .. এছাড়া সাধারণত টুরিস্ট রা সবসময় পাথরে ঢাকা অগভীর পানিতেই নেমে থাকেন ..কেউ যে সাতার না জানা থাকা সত্তেও এইরকম গভীর পানির কাছাকাছি নামটা পারে তা সবার চিন্তার বাইরে ছিল . এই দুর্ঘটনা ঘটার পর পরেই এই বেপারটি সবার নজর এসেছে …..আর এখানে সবসময় বিজিবি বা আমাদের লোক থাকে টুরিস্টদের সতর্ক করার জন্য …কিন্তু জনবল কম হওয়ায় এবং টুরিস্ট বেশি হবার কারণে অনেক সময় সবাইকে সতর্ক করা সম্ভব হয়না … এক্ষেত্রে আপনাদের সচেতনতা জরুরি ..
এখন কি ব্যবস্থা নিয়েছেন আপনারা ?
ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ , বিজিবির পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি ও পর্যটন কেন্দ্রিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে … শাহাবুদ্দিন শিহাব ,চেয়ারম্যান ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদ( বিছনাকান্দি) খুব তারাতারি সব কয়টি বিপদজনক পয়েন্টে লাল পতাকা লাগিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন .. এছাড়া আমরাও এই বেপারে সতর্কতা মূলক পোস্টার ও ছবি সেখানে লাগিয়ে দিব যাতে টুরিস্টরা আরো সচেতন হয় .. ধন্যবাদ সবাইকে.