বিছানাকান্দি এই যেন এক ভিন্নরকম সৌন্দর্য

এই শহরে ইশকুলের বারান্দা দিয়ে বেশি দূর দেখা যায়না। ইটের পর ইটের স্থাপনা ছেয়ে আছে চারপাশ।মাঠ আছে নামমাত্র কিছু ইশকুলে বেশিরভাগের ত মাঠই নেই… চারিদিকে মরচেধরা গন্ধ আর বিষাক্ত বাতাস।

অথচ কোনো কোনো স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ালেই চোখে পরে বিশাল সব পাহাড়ের দলের। স্কুলের সামনে থাকে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। সাথে বুক ভরে নেয়ার মত ফ্রেশ অক্সিজেন ত আছেই।

হ্যা ঠিক এমন স্কুলের দেখা পেয়েছিলাম বিছানাকান্দি বাজার থেকে বিছানাকান্দি জিরো পয়েন্ট (যেখানে সবাই যায়) হেঁটে হেঁটে যাওয়ার পথে। (ছবি দেয়া আছে)

ইশকুল দেখে মন চাচ্ছিলো এই ইশকুলে কিছুদিন ক্লাস করে যাই।ফিরে যাই শৈশবে।ইশকুল ছুটিরপরে বন্ধুদের সাথে ফুটবল নিয়ে ছুটবো এই দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠে।

এছাড়াও পথিমধ্যে সবুজ ঘাসের চাদর বিছানো মাঠ পাবেন।সেটা সীমান্ত পিলারের সাথেই। সেই মাঠে শুয়ে মেঘলা আকাশ দেখার অভিজ্ঞতাটা মন্দ নয়।আর যদি বৃষ্টি হয় তবে হবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

এবার আসি মূল কথায়—

বিছানাকান্দির সিজন প্রায় চলে এসেছে। অনেক ভ্রমণ প্রিয় ভাইবোনেরা হয়ত এবার বর্ষায় বিছানাকান্দি যাবেন। যারা যাবেন তারা যদি লেগুনা বা সিএনজি থেকে নেমে নৌকায় করে না গিয়ে হেঁটে হেঁটে বিছানাকান্দি জিরো পয়েন্ট যান তবে অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া আরেকটা সুবিধা হল নৌকা নিয়ে গেলে মাঝি আপনাকে ফেরার জন্য প্যারা দিবে।কিন্তু পায়ে হেঁটে গেলে প্যারা দেয়ার কেউ নেই। ইচ্ছেমত সময় কাটাবেন শান্ত শীতল জলে এরপর যখন খুশি তখন ফিরবেন।

ফেরার পথেই সিঙারার দোকান পাবেন।পানিততে দাপাদাপি করে ক্ষুধার্ত পেটে।গরম গরম সিঙারার স্বাদ অসাধারণ ছিলো।
অনেক সময় নৌকা ঘাট থেকে বা বাজার থেকে জিরো পয়েন্ট যাওয়ার জন্য বাইক পাওয়া যায়। কেউ হাটতে না চাইলে বাইক নিয়েও যেতে পারেন। তবে আমার মতে হেটে যাওয়াটাতে বেশি ভালো লাগবে। ফেরার পথে ক্লান্ত লাগলো বাইকে করে চলে আসবেন।

বিছানাকান্দির ট্রলার গুলো যেখান থেকে ছাড়ে সেখান থেকে ৩০-৪০ মিনিট হাটলেই জিরো পয়েন্ট পৌছে যাবেন।
পথ ভুলে গেলে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে। এছাড়াও গুগল ম্যাপস এ স্থানটির ম্যাপস সেভ করে নিতে পারেন।

★পরিবেশ মহান স্রষ্টার দান।আমাদের সুবিধার জন্যই তিনি সৃষ্টি করেছেন এসব।তাই এসব রক্ষা করা আমাদেরই দায়িত্ব। আসুন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি চারপাশ।নির্ধারিত স্থানে ফেলি ময়লা আবর্জনা।

Source: Tahir Muhammad Tawkir‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment