বিস্ময়কর এক পাহাড়ি সৌন্দর্যের নাম নাফাখুম জলপ্রপাত

রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর নাফাখুম জলপ্রপাতে। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহই এই নাফাখুম। নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে নেমে গেছে প্রায় ২৫-৩০ ফুট, প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত! সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে বর্ণিল রংধনু! ভরা বর্ষায় রেমাক্রি খালের জলপ্রবাহ নিতান্ত কম নয়। প্রায় যেন উজানের সাঙ্গু নদীর মতই। পানি প্রবাহের ভলিউমের দিক থেকে নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত।

কিভাবে যাওয়া যাবে: ১. বাসে করে ঢাকা টু বান্দরবান যেতে হবে। (রাতে রওনা হলে পরদিন সকালে পৌঁছাবে।) ২. বান্দরবান থেকে থানচি যেতে হবে চাঁদের গাড়িতে। সময় লাগবে ৪ ঘন্টার মত। (দুপুর ১ টার মধ্যে যাওয়া যাবে।) ৩. থানচি থেকে ১টা বোট ঠিক করে নিতে হবে রেমাক্রী যাওয়ার জন্য। থানচি চেক পোস্ট এ নাম-ঠিকানা লিখতে হবে। থানচি থেকে তিন্দু হয়ে রেমাক্রী বাজার পৌছাবে। সব কিছু ঠিক থাকলে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা। (ওই দিনই রউনা হলে প্রথম দিনই রেমাক্রী বাজার যাওয়া যাবে, অথবা রাতে থানচি থেকে পরদিন খুব সকালে রওয়ানা করা যাবে। ) ৪. রেমাক্রী বাজার এ ১ টা রেস্ট হাউস আছে। রেস্ট হাউস খালি না পেলেও ২০/২৫ টা বাড়ি আছে যার প্রায় প্রতিটিতেই ভাড়া থাকার মত রুম আছে । তাও খালি না পেলে ১ টা স্কুল আছে, স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে থাকা যাবে। ৫. রেমাক্রী বাজার থেকে পায়ে হেটে নাফাখুম রওনা হতে হবে। যাওয়া ২ ঘন্টা ও ফিরে আসা ২ ঘন্টা , মোট ৪ ঘন্টা লাগবে। ৬. ফেরার জন্য বোট আগে থেকে টিক করে রাখতে হবে। সকালে উঠে রউনা হলে দুপুরের আগেই থানছি পোছানো যাবে। দুপুরের খাওয়া শেষ করে বান্দরবন এর গাড়িতে উঠতে হবে। প্রতিদিন ১টা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাস চলে। ওই সময়ের মধেই বাস ধরতে হবে। ৭. সন্ধায় বান্দরবান এসে রাতের গাড়িতে ঢাকা রওনা হতে হবে। পরদিন সকালে ঢাকা পৌঁছাবে।

Post Copied From:Asad Islam>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment