ভারত ভ্রমনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত

#ভারত_ভ্রমনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
#ইন্ডিয়া_ট্রাভেল

ইদানিং কালে ভারতে যাওয়া আসা একদম সহজ হয়ে গেছে, ভিসা জটিলতা কমে গেছে, যখন খুশি মন চাইল চল ঘুরতে যাই, শপিং করতে যাই।
সব কিছু সহজ হওয়া সত্ত্বেও বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে যাবার সময় কিছু কিছু খুঁটিনাটি বিষয় না জানার কারনে কিছু হেনস্থা পোহাতে হয়।
ভারতে যাবার আগে যে সব বিষয় খেয়াল রাখা উচিতঃ
১। আপনার পাসপোর্টে যদি ডলার এন্ডোরস করা থাকে তাহলে অবশ্যই ডলার সাথে রাখবেন, নইলে অযথা আপনার কাছ থেকে টাকা খাবে ভারতীয় ইমিগ্রেশন।

২। সাথে ইন্ডিয়ান রুপি থাকলে কখনোই তা স্বীকার করবেন না, দরকার হলে লাগেজে লুকিয়ে রাখবেন, মানি ব্যাগে রাখবেন না। ওরা এমনই সরকারী ডাকাত আপনার পার্স, মানিব্যাগ নিজেই হাতড়ে টাকা বের করে নিবে। যদিও আইন অনুযায়ী ১০,০০০ রুপি রাখতে
পারবেন, কে করে তার কেয়ার, তবে ফ্লাইটে গেলে ভিন্ন কথা।

৩। একদম নতুন নতুন সব কাপড় নিয়ে যাবেন না। এগুলো নিয়েও ঝামেলা করে। ট্যাগ থাকলে তো আরও ঝামেলা।

৪। যারা প্রথমবার যাচ্ছেন তাদের বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন অবশ্যই জিজ্ঞেস করে কি করেন, ছুটির কাগজ আছে কিনা, কেন যাবেন। আর যদি কেউ এসব প্রশ্নের সন্মুখিন হতে না চান তবে আমাদের জনতার বন্ধুরা তো আছেই ১০০ টাকা আর পাসপোর্ট ধরিয়ে দিলেই ব্যাস।
৫। যাদের মেডিক্যাল এটেন্ডেন্ট ভিসা তারা ভুলেও রোগী ছাড়া যাবেন না, তাহলে বাংলাদেশ ইমগ্রেশন ই আপনাকে ফিরিয়ে দিবে।
৬। ভিসার মেয়াদ ১ মাস থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
৭। যারা ফেয়ারলি প্যালেস থেকে টিকেট করতে যাবেন তারা অবশ্যই ১২ টার আগে যাবেন। আর এখন থেকে সাথে পাসপোর্টের কপি+ভিসার কপি+ এরাইভাল সিল যে পেইজে আছে তার ফটোকপি নিয়ে যাবেন, নতুবা টিকেট দিবেনা।

৮। ভ্রমণ কর ঢাকায় সোনালি ব্যাংক থেকেই দিয়ে যান, তাহলে বর্ডারে সোজা ইমিগ্রেশনে চলে যেতে পারবেন।

৯। ভারতের ইমিগ্রেশন শেষ হবার পর কারো হাতে পাসপোর্ট আর টাকা ভাঙাতে দিবেন না। যতই বলুক বাসের লোক অমুক তমুক, টাকা ভাঙিয়ে নিয়ে যান, রশিদ লাগবে টাকা ভাঙানোর সব ফালতু, ভুলেও কেউ তাদের কথায় কান দেবেন না।

১০। নিউ মার্কেট এরিয়া বাদ দিয়ে একটু আশে পাশের এলাকায় হোটেল নিন, কম টাকায় থাকতে পারবেন।

১১। কলকাতায় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার থেকে ডলার বা টাকা ভাঙাবেন ভাল রেট দেয় এখন পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা তাই, ব্যবহার ও ভাল।
১২। বনগাঁ টুঁ শিয়ালদহ লোকালে ২০ টাকায় যেতে পারবেন মাত্র ২ ঘন্টা লাগে, যে খানে তথাকথিত দাদাদের ভলভো বাসে ৪ ঘন্টা লাগে ভাড়া ৩৪০-৩৮০ টাকা। বর্ডার থেকে ৩০ টাকা অটোতে বনগাঁ স্টেশন।
১৩। ঢাকা , সিলেট , কুমিল্লা অঞ্চলে যারা আছেন তারা ইন্ডিয়ার ভিসা করার সময় আগরতলা ত্রিপুরা সীমান্ত উল্লেখ করলে ভাল, কলকাতা পর্যন্ত যাবার ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন। আগরতলা থেকে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লীর ফ্লাইটের টিকেট একটু আগে আগে করে রাখলে বেশ কমে পাওয়া যায়।

১৪। আর একটা ব্যাপার বর্ডার থেকে কেউ সিম কিনবেন না । কলকাতা থেকে প্যাকেজ বুঝে শুনে কিনবেন।

Post Copied From: Aazad Mahbubul‎ > Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment