মহেড়া জমিদার বাড়ি,নাটিয়াপাড়া,টাঙ্গাইল
ঢাকা ফেরার পালা পথে মহেড়া জমিদার বাড়ি দেখে ঢাকা ব্যাক
মহেড়া জমিদার বাড়ি,নাটিয়াপাড়া,টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল ঘুরার জন্য গিয়েছিলাম এবং ৪ দিন সাইকেল নিয়ে ঘুরেছিও অনেক….
আর টাঙ্গাইলের সবচেয়ে সুন্দর হলো “মহেড়া জমিদার বাড়ি”…
আগেই বলে টাঙ্গাইল যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যে ছিলো “মহেড়া জমিদার বাড়ি” দেখা…
যমুনা সেতুর এ পাড় মানে টাঙ্গাইকের ভূয়াপুর থেকে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্য…
টাঙ্গাইল -ঢাকা হাইওয়ে সংলগ্ন নাটিয়াপাড়া নামক জায়গায় মহেড়া জমিদার বাড়ির অবস্থান….ভূয়াপুর থেকে এক টানে নাটিয়াপাড়া এসে রেস্ট নিয়ে গুগল মামার বিশেষ অবদানে মানুষের বাড়ি মাঝে দিয়ে কারও টয়লেটের পিছন দিক দিয়ে “মহেড়া জমিদার বাড়ি” পৌছালাম…..
মহেড়া জমিদার বর্তমানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নামে সবাই জানে কারণ এখানে পুলিশদের ট্রেনিং দেয়া হয়…টিকেট কেটে এবং সাইকেল পার্ক করে ১ম বারের মতো জমিদার বাড়িতে ডুকলাম….
ডুকার মুখেউ পড়ে “সিংহদ্বার কালীচরণ লজ”… ভিতরে ডুকালাম..কালীচরণ লজের ভিতরটা আমাদের স্বাধীনতা বিজয়ের ইতিহাস এবং ” মহেড়া জমিদার বাড়ি”-র ইতিহাস আছে…
পুরো জমিদার বাড়ি দেখতো এত পরিমাণ সুন্দর যা লিখে বুজাতে পারবো নাহ…আর বড় বড় দালানগুলোর কারুকার্য সত্যি প্রশংসার অনেক অধিকারী…
নিম্নে “মহেড়া জমিদার বাড়ির” সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লিখছি আাশা করি পড়বেন..
→→→ভৌগোলিক অবস্থানঃ-
ঢাকা – টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত নাটিয়াপাড়া-ফতেহপুর রাস্তা ধরে পূ্র্বদিকে ৩ কিলোমিটার পথ পেরোলেই মহেড়া জমিদার বাড়ি।
→→→নামকরণঃ-
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি মহেড়া জমিদার বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
→→→ইতিহাসঃ-
১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়ীতে হামলা করে এবং জমিদার বাড়ির কূলববধু সহ পাঁচজন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তারা লোহজং নদীর নৌপথে দেশত্যাগ করেন।এখানেই তখন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিলো।
এ জমিদার বাড়িটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যগ গ্রহণ করা হয় ১৯৭২ সালে এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয় ১৯৯০ সালে।
বাকি সব তথ্য ছবিগুলোতে দেয়া আছে….
মহেড়া জমিদার বাড়িতে ১ ঘন্টার মতো ঘুরে দেখি যদিও ঢাকা সন্ধ্যার আগে ব্যাক করার জন্য তাড়াতাড়ি করে চলে আসি….
বিকাল ৩ টা নাগাদ ১২৬ কিঃমিঃ সাইক্লিং করে বাসায় চলে আসি..
আর সর্বশেষ মহেড়া জমিদার বাড়ি দেখে আমার ৪ দিনের টাঙ্গাইল ট্যাুরের পরিসমাপ্তি ঘটলো…
সুন্দর বাংলাদেশ
ঘুরে দেখুন
ইতিহাস জানুন এবং অন্যদের জানান
দয়া করে যেখানেই গিয়ে যান কোনো প্যাকেটজাত দ্রব্য খাওয়ার পর তা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিস্ট ডাস্টবিনে ফেলুন….মনে রাখবেন নিজেরা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে দেখলে আরও অনেকে সচেচন হবে….
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকার গাবতলী অথবা মহাখালী থেকে টাঙ্গাইলের অনেক বাস পাওয়া যায় ভাড়া সম্ভবত ১২০-১৭০ টাকা হবে আর এসি সম্ভবত ২৫০ টাকা….
বাসে করে নাটিয়াপাড়া বা ফতেহপুর নামক জায়গায় নামলে সিএনজি তে করে ডাইরেক্ট জমিদার বাড়ির সামনে নামতে পারবেন…আর গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা আছে….
ভিতরে ঢুকতে ৮০ টাকার একটি টিকেট কেটে নেয়া লাগবে….
এবং ভিতরে খাওয়া দাওয়ার আলাদা জায়গা আছে….
একদিনের ট্যুরের জন্য বেস্ট জায়গা বলে মনে হয়….আর বাসে গেলে সারাদিনে ৭০০-৮০০ টাকায় কাভার সম্ভব(খাওয়া-দাওয়া সহ)
ধন্যবাদ(ভূল-ত্রুটি হলে ধরিয়ে দিবেন এবং ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন)
source: Md Reazul Islam <Travelers of Bangladesh (ToB)