মাত্র ১৬ হাজার টাকায় ৮ দিনের জন্য ঘুরে আসুন কলকাতার কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে

১)কলকাতা(হাওরাব্রীজ,ইডেন গার্ডেন,বিদ্যাসাগর ব্রীজ,ভিক্টোরিয়া পার্ক)
২)দিল্লী(আগ্রা তাজমহল,ইন্ডিয়া গেট,লোটাস টেম্পল,আগ্রা ফোর্ট)
৩)মানালী(সোনাংভ্যালী,রোথাংপাস)
আমরা সফরসঙ্গী ছিলাম ২ জন।

১ম দিন:
রাতের খাবার খেয়ে বাসে (হানিফ নন এসি ৫০০ টাকা) রওনা দিলাম সকালে বেনাপোল বর্ডারে পৌঁছাই। নাস্তা করে (৪০টাকা) ইমিগ্রেসন এ যাই।
মোট খরচ: ৫০০+ ৪০= ৫৪০ টাকা

২য় দিন:
বর্ডার পার হলাম (৫০০ টাকা) এরপর অটোতে করে বনগাঁ রেলস্টেশনে গেলাম (৩০রুপি)। বনগাঁ থেকে লোকাল ট্রেনে করে শিয়ালদাহ স্টেশনে এসে নামলাম (২০ রুপি)। সকাল ১১টা বাজে তখন। আমরা দেরি না করে একটা ট্যাক্সি রিসার্ভ করে (১০০/২=৫০ রুপি)মারকস্ট্রীট আসলাম। সোহাগ কাউন্টার-এর অপর পাশে একটা ট্যুরিস্ট এজেন্ট থেকে দিল্লীর রাজধানী ট্রেন এর টিকেট কাটলাম (এসি ৩ টায়ার ২৩০০ টাকা)। আমাদের ট্রেন বিকাল ৫টায়, তাই আমরা হোটেল না নিয়ে ব্যাগগুলো ট্যুরিস্ট অফিস-এ রেখে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম(১০০ রুপি থালি)। খাবার খেয়ে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করলাম ইডেন গার্ডেন আর হাওড়া ব্রিজ যাওয়ার জন্য(১৫০/২=৭৫ রুপি)। আসার সময় ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আসলাম(৮০/২=৪০ রুপী) এরপর ট্রেন এ উঠার জন্য শিয়ালদাহ (৭০/২=৩৫ রুপী)গেলাম। ট্রেন এ কমপ্লিমেন্টারি খাবার ছিল।
খরচঃ ২৬৫০*১.২=৩১৮০+৫০০=৩৬৮০ টাকা।

৩য় দিন:
সকাল ১০টায় নিউদিল্লী ষ্টেশনে নামার পর রাস্তা পার হয়ে একটা এজেন্সির অফিসে যাই। এজেন্সি থেকে মানালী যাওয়া আসার টিকেট কেটে নেই(আসা যাওয়া ২২০০ রুপি)
আমরা ২ ঘন্টার জন্য একটা হোটেল ভাড়া করি(৩০০/২= ১৫০ রুপি) জরুরী কাজ আর গোসল সেরে আমরা একটা অটো ভাড়া করি (২৫০/২=১২৫ রুপি) ইন্ডিয়া গেট আর লোটাস টেম্পল নিয়ে যাওয়ার জন্যে। জায়গাগুলো ঘোরার পর মেট্রোরেলে করে দিল্লী (পাহারগন্জ) ফিরে আসি( ৩০ রুপি) আসতে আসতে ৫টা বেজে যায়। পাহারগন্জ থেকে মানালীর গাড়ি স্টপেজ যাওয়ার জন্যে অটো রিজার্ভ করলাম(৬০/২=৩০রুপি)। ৫.৩০ এ পৌঁছাই স্ট্যান্ডে। দুপুরের খাবার(১২০ রুপি) খেয়ে গাড়িতে উঠি। প্রায় ১৩ ঘন্টা আঁকা-বাঁকা পাহাড় পেরিয়ে মানালী পৌঁছাই (রাতের ব্রেকে রাতের খাবার খেয়েছিলাম ২০০ রুপি)
খরচ: ২৮০৫*১.২=৩৩৬৬ টাকা।

৪র্থ দিন:
সকালে মানালী পৌঁছে হোটেল ঠিক করার জন্য বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরে যাই(১০০/২= ৫০ রুপি)
১০০০ রুপির হোটেল পেতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল (১০০০/২=৫০০)
সকালের নাস্তা (৫০ রুপি)করে ট্যাক্সি শেয়ার করে রওনা দেই রুথাংপাস আর সুনাংভ্যালীর উদ্দেশ্যে (৩৩০০/৩=১১০০ রুপি)। ঘুরে আসতে আসতে বিকাল পার হয়ে যায়। খাবার খরচ ১০০রুপি। রাতে হোটেল থেকে বের হয়ে শহরটা ঘুরে দেখলাম পায়ে হেঁটে। রাতের খাবার ১৪০ রুপি।
খরচ:১৮০০*১.২=২১৬০ টাকা।

৫ম দিন:
ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে (৫০ রুপি) বের হলাম মানালীর আশেপাশে ঘোরার জন্যে। একটা অটো নিয়ে আশেপাশে ঘোরার জন্য বের হলাম (২৫০/২=১২৫ রুপি)মানালীতে জুসটা ভালো হয়। সাথে ছিল চেরি ফল এগুলো মিস করলাম না(১৫০ রুপি সব মিলে)। বের হওয়ার আগে চেক আউট করে ব্যাগ হোটেলের নিচে রেখে গিয়েছিলাম তাই কোন চিন্তা না করে দুপুরের খাবার বাহির থেকে খেয়ে (১২০ রুপি) বিকালে হোটেল থেকে ব্যাগ নিয়ে সন্ধায় রওনা দিলাম দিল্লীর উদ্দেশ্যে। টিকেট আগেই কাটা ছিল। রাতের খাবার ব্রেক টাইমে খেয়ে (১০০ রুপি) সকালে দিল্লী পৌঁছালাম।
মোট খরচ : ৬৫৪ টাকা।

৬ষ্ঠ দিন:
দিল্লী এসেই প্ল্যান করলাম আগ্রা যাবো। তাই নাস্তা করে (৪৫ রুপি) দিল্লী থেকে আগ্রা যাওয়ার ট্রেনের টিকিট (৫০ রুপি) এবং আগ্রা থেকে কলকাতা (১৪০০ রুপি)যাওয়ার টিকিট কেটে নিলাম। ১২টায় আগ্রা পৌঁছালাম। একটা অটো রিসার্ভ করলাম (৩০০/২=১৫০ রুপি) তাজমহল এবং আগ্রা ফোর্ট ঘোরার জন্যে। তাজমহল এন্ট্রি ফরেইনারদের ৫০০ রুপি। তবে বিশেষ উপায়ে ১৫০ রুপি দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। আর রেড ফোর্টের প্রবেশ ৫০রুপি। খাবার খেয়ে (১২০ রুপি) বিকাল ৫টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠি। ট্রেনেই রাতের খাবার খেয়ে নেই(১০০ রুপি)।

৭ম দিন:
সকাল ১০টায় এসে পৌঁছালাম শিয়ালদাহ। ফিরে এলাম আবার মার্কস্ট্রিট (১০০/২=৫০ রুপি)। হোটেল ইরামে রুম নিলাম (১০০০/২=৫০০ রুপি এসি)। নাস্তা করে(৫০ রুপি) শপিং-য়ে বের হলাম।
দুপুর+রাতের খাবার(২০০ রুপি)
মোট খরচ (৬ষ্ঠ+৭ম দিন) : ২৮৬৫*১.২=৩৪৩৮টাকা

৮ম দিন:
সকালের নাস্তা (৫০ রুপি) করে চলে আসলাম শিয়ালদাহ (৮০/২=৪০ রুপি)। লোকাল ট্রেনে করে বনগাঁ (২০ রুপি)। অটোতে করে (৩০ রুপি) বর্ডারে এসে বর্ডার পার হয়ে চলে আসলাম আমার দেশে। দুপুরের খাবার খেয়ে(১০০ টাকা) সোহাগ (৫৫০ টাকা নন এসি)বাসে করে চলে আসলাম ঢাকা।
খরচ:(১৪০*১.২=১৬৮+১০০+৫৫০=৮১৮ টাকা)
সব মিলিয়ে পুরো ট্রিপের খরচ : ৫৪০+৩৬৮০+৩৩৬৬+২১৬০+১৬৫৪+৩৪৩৮+৮১৮=১৫৬৫৬ টাকা
অলিখিত হিসাব+১৫৬৫৬ টাকা = ১৬০০০ টাকা।

Share:

Leave a Comment