মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত তেওতা জমিদার বাড়ি
যারা শহরের কোলাহল ও একঘেয়েমি থেকে নিজেকে খানিক স্বস্তি দিতে চান, তাদেরকে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত তেওতা জমিদার বাড়িতে স্বাগতম। তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত।
তেওতা জমিদার বাড়ি কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলা দেবির স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এ প্রাসাদেই কবি কাজী নজরুল নজরুল ইসলাম প্রমীলা দেবীর প্রেমে পড়ে লিখেছিলেন
“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়/সেকি মোর অপরাধ”
দৃষ্টি নন্দন তেওতা জমিদার বাড়িটি মোট ৭.৩৮ একর জমি নিয়ে স্থাপিত। মূল প্রাসাদের চারপাশে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা ও একটি বড় পুকুর।প্রাসাদের মূল ভবনটি লালদিঘী ভবন নামে পরিচিত। এখানে একটি নটমন্দিরও রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে নবরত্ন মঠ ও আর বেশ কয়েকটি মঠ। সবগুলো ভবন মিলিয়ে এখানে মোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি। যা সহজেই আপনার একঘেয়েমির অবসান ঘটাবে।
কিভাবে_যাবেন_তেওতা_জমিদার_বাড়ি
আরিচার শিবালয়ে অবস্থিত ঢাকা থেকে তেওতা জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি, যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইনের বাসে চড়ে ৩ ঘন্টা সময়ে আরিচা ঘাট আসতে জনপ্রতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা বাস ভাড়া লাগে। আরিচা ঘাট থেকে ২০ – ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় সরাসরি তেওতা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
কোথায়_থাকবেন_এবং_কোথায়_খাবেন
রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তেওতা জমিদার বাড়ি দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসা যায়। এছাড়া আসে পাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। খাবারের জন্য এখানে রয়েছে সাধারণ ও মাঝারী মানের বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।
দ্রষ্টব্যঃ জায়গাটি খুব একটা পরিচিত না হওয়ায় পরিচ্ছন্নতা এখনো নষ্ট হয়নি। তাই বেড়াতে গেলে নিজে এবং দলের সবাইকে অপচনশীল দ্রব্য ফেলা এবং নোংরা করা থেকে বিরত থাকবেন, রাখবেন। প্রকৃতির মৌনতা আর নিজস্বতাকে সম্মান করবেন, বিরক্ত করবেন না। ঠিক যেমন আপনি আপনার বাসায় নিজের মত সময় কাটাতে কারো অহেতুক উপদ্রব পছন্দ করেন না!