মুম্বাই ও গোয়া ভ্রমন বিতান্ত

১০ দিনের মেঘালয়, মুম্বাই আর গোয়া ভ্রমন শেষে মাত্রই গতকাল দেশে ফিরলাম। অফিসের ছুটি শেষ হতে আর মাত্র এক দিন বাকী। তাই ভাবলাম এই সময় টাতে মুম্বাই, গোয়া ভ্রমন অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখা যায়।

কর্মস্থল এবং আবাসস্থল দুটোই – সিলেট হওয়ায় আমারা ৩ জন চাকুরিজীবী বন্ধু অফিস ছুটি ম্যানেজ করে ডাউকি- শিলং- গোয়াহাটি -মুম্বাই – গোয়া – গোয়াহাটি – শিলং- ডাউকি — এই রুটে ভ্রমন প্ল্যান সাজালাম।

মেঘালয় ভ্রমন অনেকটাই কমন এবং তুলনামূলক কম ঝামেলাপূর্ণ বিধায় আমি এই লেখায় মেঘালয় পার্ট টা স্কিপ করে কেবল মুম্বাই, গোয়া নিয়ে কিছুটা ইনফরমেশন বেইজড লিখার চেস্টা করব।

দেশ থেকেই গোয়াহাটি টু মুম্বাই এবং গোয়া টু গোয়াহাটি ফ্লাইটের টিকিট কনফার্ম করে গিয়েছিলাম। স্পাইস জেটে গোয়াহাটি টু মুম্বাই এবং গোয়া টু গোয়াহাটি ফ্লাইট ভাড়া সব মিলিয়ে জনপ্রতি ১৬,৮০০ টাকা পড়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিজে করলে ভাড়া আরো কম পড়ত। নিজে ব্যাংক ব্যবস্থাপক হয়ে ও ক্রেডিট কার্ড ইউজ না করে এজেন্সির মাধ্যমে ওভারসিস ডমেস্টিক ফ্লাইটের টিকিট করে এক্সট্রা পে করাটা বড়সড় রকমের বোকামি ই ছিল বটে । ওভারসিস ডমেস্টিক লাইনের এয়ার টিকিটের ক্ষেত্রে চেস্টা করবেন নিজেরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করে নিতে।

দুই দিনে ডাউকি- শিলং দেখা শেষ করে পরের দিন সকাল ৯ টায় শিলং পুলিশ বাজার থেকে কার নিয়ে রওয়ানা হয়ে দুপুর ১২.৩০ এ গোয়াহাটি বিমানবন্দর পৌছালাম। স্পাইস জেট এর আমাদের ফ্লাইট গোয়াহাটি থেকে ৩ টায় ছেড়ে ৬.১০ এ মুম্বাই ছত্রপতি শিবাজি এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে। এয়ারপোর্ট থেকে এক্সিট হতে ১০ নং গেইট এবং সরাসরি এয়ারপোর্টের ভেতর হতে ট্যাক্সি সার্ভিস নিয়ে গন্তব্য স্থলে পৌছাতে হলে ৪ নং গেইট ব্যবহার করতে হবে। আমরা ৪ নং গেইট ইউজ করে সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নিয়ে আমাদের হোটেলে চলে গিয়েছিলাম। ভাড়া ছিল ৩ জনে ৫৫০ রুপি। এয়ারপোর্টের ট্যাক্সি সার্ভিস খুবই ভালো এবং ভাড়া ও যুক্তিসংগত।

মুম্বাইয়ে আমরা ওল্ড মুম্বাই এ Crawford মার্কেটের পাশে পুলিশ কমিশনার অফিসের অপজিটে হোটেল ‘বসন্তাশ্রম’ এ ছিলাম। দেশ থেকেই বুকিং দিয়ে গিয়েছিলাম ‘এগডা’এর মাধ্যমে। মুম্বাইয়ে হোটেল বুকিং দিয়ে যাওয়া টাই শ্রেয়। এই এলাকায় আমাদের হোটেলের কাছাকাছি হোটেল ‘New Bengal ‘ নামে আরও একটি হোটেল আছে। এখানে অনেক বাংলাদেশি মুম্বাই গেলে থাকে। মুহাম্মদ আলী রোড ও আশেপাশে । মুম্বাইয়ে মূলত বাংলাদেশিরা এই সার্কেল টাতেই বেশি থাকে। আর লোকেশন টাও অত্যন্ত ভ্রমন উপযোগী। মুম্বাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব পর্যটন প্লেস – হোটেল তাজ, গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া, বিখ্যাত মেরিন ড্রাইভ রোড, CST ট্রেন স্টেশন সব এই এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত ।।যাই হোক, ট্যাক্সি আমাদের হোটেলের ঠিক সামনে নামিয়ে দিয়েছিল। গুগল ম্যাপ চালু রেখে সহজেই হোটেলে পৌছে গিয়েছিলাম। মুম্বাইয়ে গুগল ম্যাপের একুরেসি দারুন।

খাবারের ব্যাপারে হোটেল থেকেই জেনে নিয়েছিলাম যে, hotel New Bengal এর ঠিক নিচে একটা মুসলিম হোটেল আছে, সেখানেই আমরা মুম্বাই থাকা কালীন সময় খাবার খেয়েছিলাম। খাবার বেশ ভাল লেগেছিল আর প্রাইস ও রিজেইনেবল ছিল।

ওই রাতেই আমরা আরো দুই টা কাজ করেছিলাম। মুম্বাই ভ্রমনের জন্য মাঝখানে পুরো এক দিন হলেই চলে। আর পুরো মুম্বাই এক দিনে দেখতে মুম্বাই সিটি ট্যুরিজম বাস ‘মুম্বাই দর্শন’ সম্ভবত বেস্ট অপশন। আমরা প্রথম রাতেই পরের দিনের ‘মুম্বাই দর্শন’ এর সারা দিনের ট্যুরের বুকিং দিয়েছিলাম। আর তার পরের দিনের মুম্বাই টু গোয়া এর স্লিপার বাস এর বিকাল ৫ টার টিকিট ও ওই রাতেই কনফার্ম করেছিলাম। যেখানে ছিলাম সেখানেই বাহিরে আশেপাশের রাস্তায় অনেক ট্রাভেল আর ট্রান্সপোর্ট বেইজড এজেন্সি আছে। চাইলে হোটেল ও করে দেয়।

উল্লেখ্য যে, মুম্বাই থেকে গোয়া এয়ার,বাস, ট্রেন সব ভাবেই যাওয়া যায়। কিন্তু ট্রেন এর টিকিট আগ থেকে না কাটলে পাওয়া যায় না।

খুব ভাল একটা ঘুম দিয়ে পরের দিন সকাল ১০ টা থেকে ‘মুম্বাই দর্শন’ এর বাসে উঠে পড়ি। বাস হোটেল গুলার সামনে থেকে ট্রাভেলার্স দের পিক করে। সারা দিন ঘুরিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে হোটেল এর সামনে ছেড়ে দেয়। গেট ওয়ে অব ইন্ডিয়া, হোটেল তাজ, জুহু বিচ, চৌপাট্টি বিচ, মেরিন ড্রাইভ রোড আর সাগরের উপর দিয়ে নর্থ আর সাউথ মুম্বাই কে সংযোগ কারী নতুন ঝুলন্ত ব্রিজ – এই স্পট গুলো সত্যি ভাল লাগার মত।

সারা দিন ঘুরার পর আমরা হোটেলের সামনে বাস থেকে নেমে হোটেলে না ফিরে রাত ৮ টার দিকে মিটার ট্যাক্সি করে মাত্র ২২ রুপি দিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডে যাই। রাতের মুম্বাই মেরিন ড্রাইভ রোড যে কতটা সুন্দর হতে পারে, তা সেখানে না গেলে বুঝানো যাবে না। মুম্বাইয়ে এটাই সব চেয়ে বেশি ভাল লেগেছে আমাদের।
রাত ৯.৩০ এ হোটেলে ফিরে কিছু সময় রেস্ট নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়ি হোটেল থেকে মাত্র ৫ মিনিট হাটা দূরত্বে মুম্বাই মেট্রো আইনক্সে ‘ সাহো’ মুভি এর ১১ টার শো দেখতে। রাত দুই টায় মুভি দেখে হোটেলে ফিরি। আইনক্সের লাক্সারিয়াস পরিবেশ দেখার মত ছিল।

পরের দিন বিকেল ৫ টায় গোয়া যাবার বাস ছাড়বে বিধায় পরের দিন সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘুমাই। সকাল ১০ টায় হোটেলে আমাদের ব্যাগেজ রেখে চেক আউট করি। ২ ঘন্টায় মার্কেটিং শেষ করে আবার গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া আর মেরিন ড্রাইভ রোডে সময় কাটিয়ে ৩ টায় হোটেল থেকে ব্যাগেজ নিয়ে বাস স্টপ এ চলে যাই। উল্লেখ্য যে, ওদের সব সিস্টেমই খুব আপডেটেড। বাস টিকিট কনফার্ম করার সাথে সাথেই আপনার মোবাইলে বাস অপারেটরের মেসেজ আসা শুরু হবে। কোন স্থান থেকে উঠতে হবে তা ও জানানো হবে। ট্যাক্সি করে সেই স্থানে চলে গেলে তারা আপনাকে পিক করবে।

মুম্বাইয়ে যে ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে তা হল ট্যাক্সি সার্ভিস। সব ট্যাক্সি মিটারে চলে আর ওরা খুবই অনেস্ট ।

আমাদের বাস টা ছিল পুরো টাই স্লিপার বাস। বাস সার্ভিস টা ভাল হলে ও আকা বাকা রাস্তা হউয়াতে সময় টা বেশি লাগে। ১৪ ঘন্টা পর আমরা সকাল ৯ টায় গোয়া পৌছি।

এবার গোয়া পার্টে আসা যাক।।

বুঝতে পারছি লেখাটা লম্বা হয়ে যাচ্ছে। তারপরও যেটুকু পারি এখানেই গোয়া সম্পর্কে টানা লিখে ফেলতে হবে,পাছে পরে আর লিখার সময় না পাই সেই ভয়ে।

গোয়া ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট রাজ্য। গোয়াতে তিনটা পার্ট। নর্থ, সাউথ আর ওল্ড গোয়া।

নর্থ গোয়াতে সবচেয়ে বেশি বিচ আর আর এখানেই ট্যুরিস্টরা বেশি থাকে। প্রস্ন জাগতে পারে- অনেক গুলা বিচের মধ্যে কোন বিচে থাকবেন?? মোটামুটি থাকার উপযোগী ভাল লাগার মত বেশ কয়েকটা বিচ আছে নর্থ পার্টে। তবে ক্যালাংগুট বিচের কাছাকাছি ক্যালাংগুটেতে সবচেয়ে বেশি পর্যটকরা থাকে। এই বিচটা বড় আর লোকেশন মাঝামাঝি হউয়াতে এর জনপ্রিয়তা তুলনামূলক বেশি।

আমরা ক্যালাংগুটে বিচ থেকে ১০ মিনিট হাটা দূরত্বে ‘ ক্যালাংগুটে তে Hostel Aerostel’ এ ছিলাম। বুকিং ডট কম থেকে বুক করেছিলাম রিভিউ খুবই ভাল দেখে। এটা একটা হোস্টেল। খুবই দারুন ছিল আমাদের অভিজ্ঞতা হোস্টেলে। ভাড়া ছিল ৪০০০ তিন রাতে তিন জনের জন্য। পুরোটাই ছিল পারফেক্ট ‘good value for money’।

মুম্বাই থেকে বাস গুলা গোয়াতে ৩ টা স্টপেজ এ থামে। ‘মাপুসা’ স্টপেজ হল ক্যালাংগুট থেকে সবচেয়ে কাছের দূরত্বের। ‘মাপুসা’ তে নেমে ৩৫০ রুপি দিয়ে ট্যাক্সি করে ক্যালাংগুটে আমাদের হোটেলে যাই।

গোয়া তে আমরা ৩ রাত আর ৪ দিন ছিলাম। প্রথম দিন হোটেল এ গিয়ে রেস্ট নিয়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ি ক্যালাংগুট আর বাগা বিচের উদ্দেশ্যে। প্ল্যান ছিল সমূদ্র স্নান টা সেরে নেবার। সেই প্রিপারেশন নিয়েই আমরা হোটেল থেকে হেটে ক্যালাংগুট বিচে যাই। বিচে গিয়ে বিচ ধরে ধরে হেটে ১০ মিনিটে বাগা বিচে পৌছে যাই। বাগা বিচ টা সত্যিই সুন্দর। একদিকে পাহাড় আর অন্য দিকে সাগর। থাইল্যান্ডের কিছু বিচের সাথে এই বিচের কিছুটা মিল আছে। বাগা বিচেই আমরা স্নানে নেমে পড়ি। বড় বড় ঢেউ এর সাথে লম্প ঝম্প পর্ব সেরে আবার বিচ ধরে হেটে ক্যালাংগুটে বিচে এসে বিকেল টা এখানে কাটিয়ে হোস্টেলে ফিরে আসি। প্রতি দিনের খাবার আমরা এই হোস্টেলেই খাই। হোস্টেলের owner খুবই ভদ্রলোক আর নিজেই খুব ভাল একজন শেফ।

আমাদের পরের দিনের নর্থ গোয়া আউটিং এর কারের ব্যবস্থা হোস্টেল মালিক নিজেই করে দিয়েছিলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাইট সিয়িং ভাড়া ছিল ২০০০ রুপি।

যে যে প্লেস গুলা দেখতে পারেন নর্থ গোয়াতে সেগুলা সিরিয়ালি তুলে দিলাম — এগুয়েডা ফোর্ট – সিনকুয়েরিম বিচ ( খুবই সুন্দর) -এগুয়েডা বিচ- ক্যান্ডলিম বিচ- বাগা বিচ – আঞ্জুনা বিচ- ভাগাতুর বিচ- চাপোরা ফোর্ট ( দিল চাহাতে মুভির শুটিং স্পট) ।
এই সিরিয়ালেই ড্রাইভার রা আপনাকে দেখাবে। এই সব স্পট গুলাই দেখাতে বলবেন। আর সব শেষে চাপোরা ফোর্ট রাখবেন। সেখানকার টপ ভিউ থেকে আরব সাগরে সূর্যাস্ত দেখে হোস্টেলে ফিরবেন। মনে রাখার মত একটা বিকেল হয়ে থাকবে।

সিনকুয়েরিম বিচ, এগুয়েডা বিচ, আঞ্জুনা বিচ, ভাগাতুর বিচ – এই বিচ গুলোতে তুলনামূলক সময় বেশি দেবার চেস্টা করবেন।

থাইল্যান্ডের অতি সুন্দর বিচ আর আইল্যান্ড গুলো সময় নিয়ে উপভোগ করার সুযোগ আমার আগেই হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও বলছি গোয়া পুরো শহর টাই প্রকৃতপক্ষেই ভাল লাগার মত একটা ভ্রমন স্থান।

পরের দিন অর্থাৎ গোয়া ট্যুরের ২য় দিন আমরা কোথাও না গিয়ে রিলাক্স আর সিটি roaming করে আর সমূদ্র স্নান করে কাটিয়েছি। বাগা বিচে ‘BRITTOS’ নামে একটা হোটেল আছে। নানান রকম সামদ্রিক মাছের আইটেম আছে। খুবই টেস্টি বাট দাম বেশি। টেস্ট করতে পারেন।

পরের দিন অর্থাৎ আমাদের গোয়া ট্যুরের শেষ দিন আমরা ওল্ড আর সাউথ গোয়ার কিছু পার্ট দেখেছিলাম। রাত ১১ টায় গোয়া এয়ারপোর্ট থেকে মুম্বাইয়ে ট্রানজিট সহ গোয়াহাটি তে আসার টিকিট কাটা ছিল বিধায় সারা দিন সাইট সিয়িং সহ রাত ৮ টায় এয়ারপোর্টে ড্রপ করে দিবে- এই শর্তে ৩৫০০ রুপি দিয়ে কার আগের দিন ঠিক করেছিলাম।

ওল্ড গোয়ায় দুইটা বড় চার্চ আছে। ভাল লাগার মত। এর একটি বেসিলিকা ডি বম। কাছাকাছি দূরত্বে থাকা এই দুটো স্থান ছবি তোলার জন্য খুবই সুন্দর প্লেস। আমার প্রোফাইলে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করা আছে। ঘুরে দেখলাম ডোনা পাওলা( সিংঘাম মুভির শুটিং স্পট), পানজি মার্কেট, ম্যাংগুয়েশি টেম্পল, মিরামার বিচ। আর সব শেষে গেলাম বোট ক্রুজে। যারা ইতিমধ্যে ব্যাংককে রিভার ক্রুজ করেছেন, তাদের কাছে এটা সেই অর্থে ভাল লাগবে না, যেমনটি আমার লাগে নি। বাকিরা চাইলে ক্রুজ করতে পারেন। খরচ ৫০০ রুপি।
সন্ধ্যা ৭ টায় রিভার ক্রুজ শেষ করে রাত ৮ টায় গোয়া এয়ারপোর্টে আমাদের নামিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য যে, সেপ্টেম্বরে দুধসাগর ফলস অফ থাকায় এইবার দেখা হয় নি।

খরচের ব্যাপারে এটাই বলব মুম্বাই, গোয়া কোনটাই আমাদের কাছে খুব একটা ব্যয়বহুল স্থান মনে হয় নি। গোয়াতে অন সিজন শুরু না হউয়াতে হয়তোবা কিছুটা খরচ কম পড়েছে। খরচের হিসেব টা এখনো সেই অর্থে মিলানো হয়নি। তবে বিমান ভাড়া সহ আর শপিং ছাড়া কেবল মুম্বাই( ২ রাত ৩ দিন) আর গোয়া( ৩ রাত ৪ দিন) এই দুই স্থানে সব মিলিয়ে জনপ্রতি ৩০,০০০ রুপি এর মত পড়েছে। উল্লেখ্য,খাবার সহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি ই খরচ করেছিলাম।

Source: Dipak Dash<Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment